যখন বিকাল হতে থাকে, হতে হতে সূর্যটা ঢলে পড়ে, পড়তে থাকে
একসময় ল্যান্ড ফোনের কানেকশন নিতে বছরের পর বছর অপেক্ষায় থাকতো হতো। ডিমান্ড নোট থেকে শুরু করে প্রতিটা জায়গায় টাকা গুনে অবশেষে লাইনম্যানদের হাত-পা ধরতে হতো। অবস্থা এখন পাল্টেছে। এবং পাল্টেছে অবিশ্বাস্যগতিতে।
বরিশালে অবতরণের পরেই শুনলাম মাইকিং এর আওয়াজ।
ল্যান্ড ফোন ফ্রি দিচ্ছে। আগ্রহীদের বাড়ীর হোল্ডিং নম্বর, দুইকপি পাসপোর্টসাইজ ছবি আর ভোটার আইডিকার্ড নিয়ে ফোন অফিসে যোগাযোগ করতে বলছে। আমি কয়েকজনকে জিজ্ঞেস করে যা জানলাম তা হলো ফ্রি ঘোষণাও তেমন উৎসাহ সৃষ্টি করতে পারেনি। কেউ কেউ বলে উল্টো কিছু দিলেও নেবে না। কারণ হিসাবে ল্যান্ড ফোনের ফিক্সড চরিত্রকে দুষছে।
মোবাইলের মবিলিটি ল্যাল্ডফোনকে পথে বসিয়েছে।
জানি না অন্য কোথাও ফ্রি ল্যান্ডফোন দিচ্ছে কিনা। অফিস ছাড়া বাসায় ল্যান্ডফোন ব্যবহার এক প্রকার ভীতিকরও হয়ে উঠেছে। সাধারণ চাদাবাজরা ল্যান্ডফোনে হুমকি দিয়ে থাকে। এছাড়া সবচেয়ে বড় যে অসুবিধাটা হলো ল্যান্ডফোনটা একজনের নয়, পরিবারের সবার।
অথচ ফোন এখন হয়ে উঠেছে একান্ত আপন, অঅংশীদারযোগ্য একটা ব্যক্তিগত সামগ্রী, মানিব্যাগ, চশমা, হাতব্যাগের মত। ল্যান্ডফোনে সেই প্রাইভেসীটা নেই।
বরিশাল যখন ছিলাম তখন মোবাইল চালু হয়নি। একটা ল্যান্ড ফোনের জন্য অনেক দিন টিএন্ডটি অফিসে ঘুরতে হয়েছিলো। আর এখন সেই ফোন বাসার দরজায় গিয়ে নক করছে।
মাত্র দশ বছরে একদম বিপরীত চিত্র দেখতে হলো।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।