দিল ঠান্ডা তো দুনিয়া ঠান্ডা।
আগেই বলে রাখি,আমি নিজেকে একজন সিনেমা ক্রিটিক বলে দাবি করি না। সিনেমা ক্রিটিক হতে হলে আবেগের রাশ টেনে নিরপেক্ষ হতে হয় অনেকখানি। এই কাজটি আমি একদমই পারি না। সিনেমা দেখে আবেগপ্রবন হয়ে যাওয়া আমার বেশ পুরনো অভ্যাস।
বেশ অনেক দিন পরে আবারও একটি সিনেমা দেখে আগেবপ্রবন হয়ে পড়লাম। যতক্ষন চলছিল, একটা মুহুর্তও চোখ সরাতে পারি নি। তবে চোখ নড়াতে না পারাটা নিতান্তই আমার ব্যক্তিগত ব্যর্থতা, সিনেমার কোন কারিকুরি আছে কিনা তা বলতে পারবো না।
সিনেমা চলার এক পর্যায়ে প্লেয়ার স্ক্রীন ছোট করার দরকার হয়েছিল। দেখি, শেষ হতে আর মিনিট ত্রিশেক বাকি।
সাথে সাথেই মনে হল আহা.. আর কিছু বেশি বড় হলে কি সমস্যা ছিল!
এই সিনেমা এক তরুন লেখক কে নিয়ে, যার গার্লফ্রেন্ড তাকে জানিয়েছে, তার পক্ষে আর তার সাথে থাকা সম্ভব না। এই রকম সময়ে সে চলে যায় তার অসুস্থ বিকারগ্রস্থ দাদিমার কাছে, নিজেকে একটু সময় দেবার জন্য।
সেখানে তার পরিচয় হয় পাশের বাসার মহিলার সাথে, সারাহ। এরপরে ধীরে ধীরে সারাহ এর মেয়ে টিন এজ লসি এবং তার ছোট বোন পেগির সাথে পরিচয় এবং তাদের জীবনে জড়িয়ে যাওয়া।
দাদিমা, সারাহ, লুসি এবং পেগি.. এই চারজন আর নেপথ্যে সোফিয়ার (প্রাত্তন গার্লফ্রেন্ড) উপস্থিতিতে চলতে থাকে সিনেমার কাহিনী।
সিনেমা ভাল কি মন্দ আমি বলতে পারবো না। তবে আবেগ এ দোলা দিয়েছে। আমি যেহেতু আবেগপ্রবন মানুষ, তাই আমার কাছে বেশ ভালই লেগেছে।
সুক্ষ্ন ক্রিটিক এর মারপ্রাচ বুঝি না। তবে একবার দেখার চেষ্টা করার অনুরোধ টুকু করতেই পারি সবাইকে।
মেগ রায়ান, ক্রিস্টিন স্টুয়ার্ট (ট্যুইলাইট) আছে এই ছবিতে। ছেলেটির অভিনয় কে করেছে চিনতে পারি নি।
টরেন্ট লিংক দিলাম।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।