আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ইসলামী ব্যাংকে সন্দেহজনক শতাধিক অ্যাকাউন্ট, ৭০ শতাংশ শেয়ার বিদেশিদের!

অন্যায়ের বিরোধে প‌্রতিবাদি হতে চাই ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে কোটি কোটি টাকা বিদেশে চলে যাচ্ছে। ব্যাংকটির প্রায় ৭০ শতাংশ মালিকানা বিদেশিদের হাতে। তাই প্রতি বছর ব্যাংকটি যে আয় করছে, তার বেশিরভাগই চলে যাচ্ছে বিদেশে। সহযোদ্বা হিসাবে আমার পাশে থাকার অনুরোধ রইলো Click This Link বাংলাদেশ ব্যাংক এবং ইসলামী ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট সূত্র এটি নিশ্চিত করেছে। সূত্র জানায়, ইসলামী ব্যাংকের প্রায় তিন চতুর্থাংশ মালিকানা রয়েছে বিদেশি নাগরিক এবং প্রতিষ্ঠানের হাতে।

অথচ ইসলামী ব্যাংক এটি সাধারণ মানুষকে বুঝতে দিচ্ছে না, এখানে বিদেশিদের মালিকানা রয়েছে। ব্যাংকটি দেশি না বিদেশি তাও স্পষ্ট নয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি সূত্র জানায়, ইসলামী ব্যাংকের বিভিন্ন শাখায় শতাধিক সন্দেহজনক হিসাব রয়েছে। সেগুলো নিবিড় তদারকিতে রাখা হয়েছে। তথ্য-প্রমাণ পেলে যে কোনো সময় এর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবে বাংলাদেশ ব্যাংক।

সম্প্রতি অর্থ মন্ত্রণালয়ের নির্দেশের পর আরো কঠোরভাবে মনিটর করা হচ্ছে ইসলামী ব্যাংকের কর্মকাণ্ড। ব্যাংকটি প্রতি বছর যে বিপুল পরিমাণ মুনাফা করছে, তার চার ভাগের তিন ভাগ বাইরে চলে যাচ্ছে। আর এর বিদেশি মালিকরা ডলারে তাদের মুনাফা নিয়ে যাওয়ায় বাংলাদেশ ব্যাংকের রির্জার্ভে চাপ তৈরি হয়ে থাকে। বিদেশিদের মালিকানা না থাকলে ওই পরিমাণ ডলার বাংলাদেশে থেকে যেত। জানা গেছে, ২০১২ সালে ইসলামী ব্যাংকের পরিচালনা মুনাফা হয়েছে প্রায় এক হাজার ৮০০ কোটি টাকা।

এর ৭০ শতাংশ দাঁড়ায় এক হাজার ২৬০ কোটি টাকা। অর্থাৎ ইসলামী ব্যাংকের বিদেশি মালিকরা ওই পরিমাণ লভ্যাংশ নিয়ে গেছেন। একই ভাবে ২০১১ সালে ব্যাংকের মুনাফা ছিলো প্রায় ১৫০০ কোটি টাকা। সে হিসেবে সে বছর দেশের বাইরে গেছে প্রায় এক হাজার ৫০ কোটি টাকা। জানা গেছে, ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে রয়েছেন সৌদি আরবের নাগরিক ইউসুফ আব্দুল্লাহ আল রাজি।

এছাড়া এর পরিচালক হিসেবে রয়েছেন বিদেশি নাগরিকদের মধ্যে আব্দুল্লাহ আব্দুল আজিজ আল রাজি, ড. আব্দুল্লাহ হামিদ ফুয়াদ আল খতিব, মোহাম্মদ আদনান মিদানি, মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল জালামা এবং সালাউদ্দিন আহমেদ রয়েছে। এর অংশীদার প্রতিষ্ঠান হিসেবে রয়েছে ১২ বিদেশি ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে জেদ্দার ইসলামী ডেভেলপমন্টে ব্যাংক, কুয়েতের ফাইন্যান্স হাউজ, জর্দানের ইসলামী ব্যাংক, কাতারের ইসলামী বিনিয়োগ ও এক্সচেঞ্জ করপোরেশন, বাহরাইন ইসলামী ব্যাংক, সৌদি আরবের ইসলামী ব্যাংকিং সিস্টেম ও আন্তর্জাতিক হোল্ডিং প্রতিষ্ঠান, জেদ্দার শেখ আহমেদ শাহ জমজম, ফুয়াদ আব্দুল্লাহ আল খতিব, দুবাই ইসলামী ব্যাংক, সাফাতের পাবলিক ইন্সটিটিউট, কুয়েতের ওয়াকফ মন্ত্রণালয় এবং মিরর বিভাগ। সূত্র আরও জানায়, ইসলামী ব্যাংকের বিদেশি একাধিক পরিচালক এবং শেয়ার হোল্ডারের বিরুদ্ধে তাদের দেশে বিভিন্ন সময় নানা অপরাধের অভিযোগও উঠেছে। তারা জঙ্গি ও সন্ত্রাসে অর্থায়নে জড়িত বলে বিভিন্ন সময় তথ্য বেরিয়ে এসেছে আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমগুলোতে।

অন্যদিকে, বাংলাদেশেও ইসলামী ব্যাংকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় নানা অভিযোগ উঠেছে। এর বিরুদ্ধে জামায়াত ও শিবিরের কর্মকাণ্ডে অর্থায়নের অভিযোগ রয়েছে। ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট বোমা হামলার সঙ্গে জড়িত জঙ্গি সংগঠন জামাতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশের প্রধান শায়খ আব্দুর রহমান এই ব্যাংকের মাধ্যমে হিসাব পরিচালনা করতেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক গোয়ান্দা বিভাগের তথ্য মতে, বর্তমানে এই ব্যাংকে শতাধিক সন্দেহজনক হিসাব রয়েছে। সেগুলোর লেনদেন তদারকির মধ্যে রাখা হয়েছে।

যে কোনো সময় তথ্য-প্রমাণসহ প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে এর বিরুদ্ধে। এ ব্যাপারে ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আব্দুল মান্নানকে টেলিফোন করেও পাওয়া যায়নি। তবে সম্প্রতি ব্যাংকের পক্ষে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘ইসলামী ব্যাংকের ৭০ শতাংশ শেয়ার বিদেশি উদ্যোক্তাদের হাতে রয়েছে। ’ ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.