সুদুরে সকালের ডাক শোনা যায়, ভোরের লাল আভার পরেই শুভ সকাল
পানি কে হানি বলতে শুনে কেউ হাসাহাসি করবেন না। কারন সামান্য পানিকে আমরা Honey বা মধুর মতো মনে করি। পানি হানি হয়েছে বলে “পেঁপে” কিন্তু “হেহে” নয়। পেপেকে নেয়াখালিতে “হাবিয়া” বলে। অতএব, হাবিয়া শুনে ‘হাবিয়া দোজোখ’ মনে করার কোন কারন নেই।
নিচে এরকম আরো অনেক নতুন শব্দের তালিকা প্রদান করা হলঃ
শব্দের বাংলারূপ শব্দের নিউক্যালিয়ানরূপ
বিবাহ = হাংগা / বিয়া
হাতপাখা = বিচইন
বজ্রপাত = ঠাডা
ঝাড়ৃ = হিছা
কাঁদা = হেঁক
মাটি = মাডি
পুকুর = হুইর
খালি = খাইল্লা
কড়াই = কইয়া
হাড়ি = হান্ডি
পাতিল = হাতিল
পাখি = হইক
কলস = ঠিল্লা
কাক = কাউয়া
বক = বগা
কবুতর = কইতর
বিড়ার = মেহুর
*নেয়াখালিতে “শ” সব সময় “হ” হলেও (“শালা” এর পরিবর্তে “হালা” বলা) কিছু কিছু ক্ষেত্রে এর ব্যতিক্রম আছে। অনেকে মনে করে থাকেন ‘শ’ এবং ‘হ’ এক্সেঞ্জ হওয়ার কারনে নোয়াখালির লোকেরা লালশাগ (লালশাকের কথ্যভাষা) কে লালহাগ বলেন। আসলে তা নয় নোয়াখালিতে লালশাক-কে "ডুল্লা" বলা হয়।
নোয়াখালিতে “ফেনী” কে বলে “হেনী”
ফুলকে বলে “হুল”
“আমি” কে বলে “আঁই” (ইংরেজীর সাথে মিল আছে)
কিন্তু সে হল “হ্যাতে”
*একটি বিষয় লক্ষনীয় যে, বাংলা "না" কথাটার জন্য নোয়াখালীর লোকেরা কিছুটা বিকৃত ভাবে ইংরেজী “নো” ব্যবহার করে থাকে। যেমনঃ
পারবনা হল “হাইত্তন্ন”
করিবনা হল “কইরতন্ন”
পরিবনা হল “পইরতন্ন”
পড়িবনা হল “পইড়তন্ন”
খাবনা হল “খাইতন্ন”
ঘুমাবনা হল “হুইতান্ন”
“মই” কে নোয়াখালির লোক ছংগা / ছঙ্গ বলে।
খেজুরের রসকে বলে “রই”।
কিছু কমন শব্দঃ
শোয়া = হোতা
দুষ্টুমি = খান্নশি / শয়তানী
শুধু শুধু = হুদামিছা
সত্যি সত্যি = হাচাহাচ
নোয়াখালির গননা পদ্ধতিঃ
১টা = এইজ্ঞা / ওজ্ঞা
২টা = দুগা/ দু¹া
৩টা = তিঙ্গা
৪টা = চাইরগা
৫টা = হাঁচগা
৬টা = চোগা
৭টা = হাতগা
৮টা = আইস্টেগা / আস্টোগা
৯টা = নোগা / নগু
১০টা = দোশগা
১৫টা = হোন্ডোগা
সবগুলো = ব্যাগ্গুন
আশাকরি আমার এ লেখা থেকে বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষ নোয়াখালির ভাষা "নিউক্যালিয়্যান ল্যাংগুয়েজ" শিখতে আগ্রহী হবেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।