১. * শূন্য আরণ্যক লিখেছেন,' ‘আমাদের সব জায়গায় কিছু জবাবদিহিতা আছে; সেনাবাহিনী এক মাত্র প্রতিষ্ঠান যাদের মনে হয় জবাবদিহিতা নাই; বা থাকলেও কেউ সাহস করে না প্রশ্ন করতে'’.
* রাগ ইমন বলেছেন, '‘সেনা অফিসাররা অপরাধ করলে সাধারন মানুষের মত তাদেরও বিচার হওয়া উচিত’'.
রাগ ইমনের মন্তব্যে সহমত ছাড়া গতি কী? তবে এখানে তথ্য-ঘাটতি আছে, তাদের দোষ দেই না, সামরিক আদালতের বিচারের ফলাফল যেমন মিডিয়ায় দেয়া হয় না, সে তথ্য জানতে মিডিয়ারও কোন আগ্রহ আছে বলে জানা নাই. এমন কি, সেনাবাহিনীতেও এসব প্রচারের নিয়ম সাধারণভাবে নাই. সেনা অফিসারের চাকুরি যেতে রাষ্ট্রপতির অনুমোদন লাগে -– তারপরেও গত দু’বছরে যৌথবাহিনীর দায়িত্ব পালনকালে বিভিন্ন অভিযোগে যত জন সেনা অফিসারের চাকুরি গিয়েছে এবং যতজনের কোর্টমার্শাল এখনও চলমান –- সেই সংখ্যাটা, শুধু বলব, যারা জানেন না তাদের বিস্মিত করবে. আমি নাম বলে অধিকাংশের অপরাধ ও শাস্তির খতিয়ান দিতে পারি – কিন্তু তা হবে অবৈধ ও অনৈতিক. এই বিচার সেনাবাহিনী নিজেই নিশ্চিত করেছে. আর আমি এও জানি, আর কোন সরকারি/বেসরকারি কর্মকর্তা/কর্মচারি তার/তাদের অন্যায় ও অবৈধ কর্মকান্ডের জন্য কোন শাস্তি পায়নি, পায় না, পোলেও আদালতের ফাঁক গলিয়ে বেড়িয়ে যায়. এই জবাবদিহীতাই সেনাবাহিনীর শৃঙ্খলার উৎস. আমার বক্তব্য বিশ্বাসভাজন হল কিনা জানি না, পরিচিত সেনা-অফিসারদের থেকে এ বিষয়ে যাচাই করে দেখতে পারেন.
‘কেউ সাহস করে না প্রশ্ন করতে’ –- এটা সত্য না মিথ্যা, গত দু'’মাসের পত্রিকার খবরগুলো তার প্রমাণ. প্রমাণ শূন্য আরণ্যকেরা নিজেরাও. কারণ, তারা শুধু সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে প্রশ্নই করেননি, রীতিমত হেইট ক্যাম্পেইন চালাচ্ছেন, দেশে বসেই, দীর্ঘ দিন ধরে.
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।