জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স ১ম বর্ষ পরীক্ষার ফরম পূরণে জয়পুরহাট কলেজে নিয়ম বহির্ভূত ফি আদায়ের প্রতিবাদে সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট সহ প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠনের নেতৃত্বে ‘বর্ধিত ফি বিরোধী ছাত্রছাত্রী সংগ্রাম পরিষদ’ এর ব্যানারে শক্তশালী ছাত্র আন্দোলন দানা বেধেঁ উঠেছে।
অনার্স ১ম বর্ষ পরীক্ষার ফরম পূরণের ফি ঢাকার ইডেন কলেজে বিজ্ঞান বিষয়ে যেখানে নেয়া হচ্ছে ১১৩০ টাকা সেখানে জয়পুরহাট কলেজে আদায় করা হচ্ছে ২২০০ টাকা। কলেজ প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তে বিরুদ্ধে সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট সহ প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠনের নেতৃত্বে জয়পুরহাট কলেজের ছাত্রছাত্রীরা সম্প্রিত আন্দোলন শুরু করে , যা কলেজ প্রশাসনের বিরাট দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দেখা দেয়। কলেজ প্রশাসন এই চলমান ছাত্র আন্দোলন কে নসাৎ করার নীল নকশা হিসাবে ছাত্রলীগ-ছাত্রদল-ছাত্রসমাজ-ছাত্রশিবিরের শরনাপন্ন হন। উল্লেখ্য , এ চার টি ত্র সংগঠন কলেজ প্রশাসনের সহযোগিতায় ভর্তি বাণিজ্যে যুক্ত।
প্রতি বছর কলেজ প্রশাসনের নিকট হতে ছাত্রলীগ-ছাত্রদল-ছাত্রসমাজ-ছাত্রশিবিরের নেতৃত্ববৃন্দ নিজেদের পছন্দ মত ১০০ ছাত্র অনার্সে ভর্তি সুযোগ পায় এবং অধিকাংশ ক্ষেত্রে ছাত্রনেতৃবৃন্দ ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকার বিনিময়ে এ সকল আসনে ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি করা হয়ে থাকে।
‘বর্ধিত ফি বিরোধী ছাত্রছাত্রী সংগ্রাম পরিষদ’ এর আন্দোলনের অংশ হিসাবে ১১ জুন ২০০৯ জয়পুরহাট কলেজে ক্যাম্পাসে শত শত ছাত্র-ছাত্রীর অংশ গ্রহনে বিক্ষোভ মিছিল করা হয়। মিছিল
চলাকালে করেজ প্রশাসন মিছিলে বাধা দেয় । এক পর্যায়ে শিক্ষক ও পুলিশের উপস্থিতিতে কলেজ ছাত্রলীগ-ছাত্রদল-শিবির ও ছাত্রসমাজের কর্মীরা হামলা চালায় রা য়ৌথভাবে ‘বর্ধিত ফি বিরোধী ছাত্রছাত্রী সংগ্রাম পরিষদ’মিছিলে হামলা চলায়।
মিছিলে ছাত্রলীগ-ছাত্রদল-শিবির ও ছাত্রসমাজের কর্মীদের হামলায় সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট জয়পুরহাট কলেজ শাখার সভাপতি তাজিউল ইসলাম, সহ সুমন চন্দ্র, নয়ন সরকার, উৎপল কুমার, অশ্বিনী রায়, সাব্বির হাসান মুন, টুটুল সিংহ,সামসুল আনাম, পংকজসহ ২০ জন ছাত্র আহত হয়েছেন।
ঘটনা এখানেই শেষ নয়, আহত ছাত্র-ছাত্রীদের হাসপাতালে নেয়া হলে ছাত্রলীগ-ছাত্রদল-শিবিরের সন্ত্রাসীরা সেখানেও পুনর্বার হামলা চালায়। এমনকি জরুরী বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসকও হামলাকারীদের বাধা দিতে গিয়ে আহত হন।
জয়পুরহাট কলেজে বর্ধিত ফি বিরোধী আন্দোলনে ছাত্রলীগ-ছাত্রদল-শিবির ও ছাত্রসমাজের কর্মীদের ন্যাক্কারজন হামলার প্রতিবাদে গত ১২ জুন ২০০৯ ঢাকায় প্রগতিশীল ছাত্রেজাট বিক্ষোভ মিছিল করে।
গত ১৮ জুন ২০০৯ ‘বর্ধিত ফি বিরোধী ছাত্রছাত্রী সংগ্রাম পরিষদ’ পক্ষ থেকে ছাত্রলীগ-ছাত্রদল-শিবির ও ছাত্রসমাজ হামলা ও নিয়ম বহির্ভূত ফি আদায়ের প্রতিবাদে জয়পুরহাট শহীদ মিনারে সংহতি সমাবেশ আয়েজন করা হয়। একই স্থানে একই সময় ছাত্রলীগ-ছাত্রদল-শিবির ও ছাত্রসমাজ যৌথভাবে 'সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্যের নামে সভা আহবান করলে।
জেলা প্রশাসন থেকে ১৪৪ ধারা জারী করা হয়। ঢাকা থেকে সংহিত প্রকাশ করতে জয়পুরহাট যাওয়া প্রগতিশীল ছাত্র জোটের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের সংহতি সমাবেশে পুলিশ হামলা করে। যাতে ৫০ জন আহত হয় এবং গুরুতর আহত দুজন কে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
সম্প্রতি বিভিন্ন ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগ-ছাত্রদল-শিবির যৌথভাবে ভর্তিবাণিজ্য করছে এবং ফি
বৃদ্ধিসহ ছাত্রদের যৌথ আন্দোলনে হামলা চালাচ্ছে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবি যখন জোরালো হচ্ছে তখন ছাত্রলীগ-শিবিরের এই আঁতাত বিস্ময়কর ও আশংকাজনক।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।