নৌকা আর ধানের শীষে ভোট দিয়ে সোনার বাংলার খোয়াব দেখা আর মান্দার গাছ লাগিয়ে জলপাইর আশা করা একই! বিস্ময়ের ব্যাপার হল দিনের পর দিন আমরা তাই করছি!!
সার্বজনীন মামুর ডেকচি বিএনপির মৌচাক এখনো জমে উঠেনি। যুদ্ধপরাধের দায় নিয়ে দৌড়ের উপর জামায়াত। খন্ডকালীন দালালির পরিবর্তে ফুলটাইম আওয়ামী যাবতীয় বাম। হুজুররা হুজরায় তসবীহ্রত। না কেউ নেই।
মাঠে একটাই বল। একটাই দল। একটাই গোলবার। আওয়ামীলীগ আর আওয়ামীলীগ। আকাশে, বাতাসে, সবখানে, সবক্ষনে।
বিধ্বস্ত দক্ষিনবাংলা। ঘর, জমি, পুকুর সবই শেষ। যথারীতি ফটোসর্বস্ব ত্রান কার্যক্রম। ২০ টাকা বিতরনে ৮০ টাকার প্রচার ও ব্যবস্থাপনা।
গলায় দড়ি দেয়ার টাকাও যোগাড় হচ্ছেনা ধান বিক্রির অর্থে।
ধান নির্ভর কৃষি অর্থনীতির বারোটা বাজানোর পরও অগ্নিকন্যার হুংকার, হাবাগোবা রাজ্জাকের নির্বোধ হাসি। কালো মাল সাদা করার মহান ব্রতে লিপ্ত মাল।
দেশে দেশে আদম প্রেরণ, রপ্তানী বাজার উম্মোচন, বিনিয়োগ আনয়ন, আত্নপরিচয় উন্নয়নের মৌল পররাস্ট্রকর্ম চাপা পড়েছে পুতু পুতু হাসির হাট্টিমা টিম টিম কথামালায়। ছুটি, ত্যাগ, মা, ছেলে, খালার পারিবারিক নাটক মঞ্চায়নের মাল মসলা জোগাড় ও বাটার ব্যস্ততায় ফুরসৎ মিলছেনা খুন, জখম, দস্যুতার বাস্তবে চোখ ফেরানোর।
বাসে উঠলেই বুলগেরিয়া, ট্রেনে চাপলেই টোকিও, এয়ার পোর্ট থেকে উড়ে উড়ে যাত্রাবাড়ী, দুর বঙ্গোপসাগরে রিজিওনাল মহাপোর্ট! আরে ব্যাটা হারামজাদা ঘরের কাম কর আগে।
সবাইরে ভাত দে, পানি দে, কাজ দে, বিদ্যুৎ দে, গ্যাস দে নইলে গদি ছেড়ে দে!
চিরবৈরী পেশীবাজ প্রতিবেশী গলাটিপে ধরেছে গঙ্গা, তিস্তা, মনুর প্রবাহ। জোগাড়যন্ত্র চলছে সুরমা, কুশিয়ারা, মুহুরীর উজানে। ধমনী টিপে ধরার পরও চিৎকার করছেনা আক্রান্ত! এ কেমন মহাদাস।
মিউঁমিউঁ স্বর 'ও কিছুনা', 'কমিটি হবে'! নাপিতের কাঁচির আওয়াজ আরো বড় হয়। ধিক্কার শীল বংশের কুলাঙ্গার।
মুখে খৈ সোনার বাংলা মনে কি সমৃদ্ধ ভারত? তবুও স্বাধীনতার ধারক ও বাহক। ১৯৭১ এর রাজাকাররা গেলি কৈ ? দেখে যা মহারাজাকারের আগমন। তোরা কোন ছার! পুচঁকে সব!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।