শৈশব ভালবাসি
অদ্রিদের ঘাটলাটা অনেকটাই তুলসী মঞ্চ'র মতন। উঁচূ করে চোখ তুলে রাখার মতন পাড়ার প্রতিটি গন্তব্য নজরে আসে। অদ্রি পৃথিবীর অনেক সম্ভাবনা এখানে বসেই দেখেছে। ঘাসের ভেলায় পিপিলীকার সমুদ্র যাত্রা থেকে শুরু করে গাছেদের ধ্যানমগ্নতা। একবার অসত্থটির সাথে নানান কথা হয়ে গিয়েছিল তার।
পুরোটা এখন আর একসাথে মনে আসছে না। সে ভেবে পায়না গাছেরা কি করে জানে মৃধার কথা। এমন সব যা কিনা মেয়েটিই কখনো বলেনি তাকে। গাছেরা ধ্যান করে মানুষের, মৃধার চলন বুঝে নিতে গাছেদের যত আধ্যাত্মিতকা।
অদ্রি ঘাটলায় বসে ঠিক দূপুরের পর।
এসময়, মানে দুপুর থাকতেই অনেকে আসে এখানে। সকলের পরিচয় এখন ঠিক এই মূহুর্তে বিশদ হবেনা। অদ্রি ভাবে তাদের সকলের মধ্যকার সম্পর্কের কোন সূত্র নেই। তাই বলে অপরিচিতও কোনটি নয়। এখানে অভেদ নেই।
অদ্রির ভেদবুদ্ধি পাখীর মতন দীপ্ত। গাছেদের পাড়াতে সে নিজেকে প্রকৃত চেনে, মাছেদের বুদবুদ রেখে এবার সে অন্য স্বপ্ন বুনে।
একটি মাছের ডুব দেয়া দেখে বুঝে নেয় মৃধা এসে পেছনে দাঁড়াল।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।