আজও নিজের মাঝে অসাধারণতার ছাপ খুঁজে বেড়াই কিন্তু প্রতিবারই নিজেকে খুব সাধারণরূপে আবিষ্কার করি। মন্দ কি...ভালই তো আছি।
মোবাইলটা হাতে নিয়েই দেখি সুমাইয়ার ৭ টা মিস্ִড কল! ফোনটা সাইলেন্ট করা ছিল বিধায় রিসিভ করতে পারিনি। সবেমাত্র কল ব্যাক করব তখনই আবার বেজে উঠল।
- ওই তুই কই থাকিস হ্যা? আমার কোন দরকারেই কি তোরে পাব না! পুরোই ইরেসপন্সিবল একটা পোলা।
- আরে আরে আগে কি হয়েছে সেটা বলবে তো আজব! আর আমার কি কোন কাজ থাকতে পারে না?
- থাক তুমি তোমার কাজ নিয়ে। আমাকে আর ফোন দিবা না। বাই।
- এই শোন শোন হ্যালো।
টুট টুট…লাইনটা কেটে দিল।
ঠিক বুঝতে পারছি আবার কোন ঝামেলা পেয়েছে যার দরুন উনার মাথায় দাউ দাউ করে আগুন জ্বলছে। পরে জানতে পারলাম এক আননোন নম্বর থেকে নাকি খুব জ্বালাচ্ছে। বয়ফ্রেন্ড আছে বলে আচ্ছা মত ঝাড়ি দেয়ার পরও প্রেমিক পুরুষের ডুগডুগি বাজানো থামছেই না। আরও উল্টো দেবদাস টাইপ মেসেজ পাঠানো শুরু করেছে। মেসেজ এর শব্দ চয়নগুলো এক নজর দেখে আসা যাক।
(এক)
জানো একটা মানুষ কখন কাঁদতে পারে? ভালবাসার আগুনে জ্বলে পুড়ে তার যখন আর বলার মত কিছু থাকে না তখনই সে কাঁদে।
(দুই)
ভালবাসার জন্য চোখের দেখার দরকার হয় না। ভালবাসার মত একটা মন থাকলেই হয়। আমি আমার মনের চোখ দিয়ে তোমাকে দেখে নিয়েছি। প্লিজ এই অসহায় আমাকে ফিরিয়ে দিও না।
তার এই উথাল পাথাল রকম প্রেম নিবেদনের নমুনা শোনে হাসতে হাসতে আমার পেট ব্যাথা হয়ে গেছে। আর পাগলীটা তো রেগে ফায়ার যা আগেই বললাম। আমার হাসি যেন তার রাগে আরও কেরোসিন ঢেলে দিচ্ছে।
ভেবে পাই না মানুষ এত ফালতু পিকুলিয়ার হয় কি করে! কোন রকম একটা মেয়ের নম্বর পাইলেই হইলো। ছোটলোকের মত নিজেকে নর্দমার কীট হিসেবে উপস্থাপন করতে একটুও বিবেকে বাঁধে না।
ভেবে আশ্চর্য হই এরা নাকি পুরুষ! যত্তসব অন্ডকোষবিহীন ছাগল কোথাকার।
প্রাথমিক ট্রিটমেন্ট হিসেবে ওই উল্লুক কা পাঠ্ঠার মোবাইল নম্বর দিয়ে বিক্রয় ডট কম এ বাংলালায়ন ওয়াইম্যাক্স মডেম বিক্রির বিজ্ঞাপন দিছি। পরবর্তী অবস্থা বুঝে ঢাকায় ব্যাক করে যথাযথ ব্যবস্থা (মাইরপিট না আবার) নিব। আপনাদের কাছে কোন সাজেশন থাকলে প্লিজ ফিল ফ্র
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।