আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

লুলু পাগলার এক্সক্লুসিভ স্বাক্ষাৎকার

.

জবাবদীহি: (পাঠক এই অংশ না পড়লেও পারেন)লুলুর এই স্বাক্ষাতকারকে এক্সক্লুসিভ বলছি এই কারণে যে লোকটা ইতোমধ্যে মারা গেছে। যদ্দুর মনে পড়ে ২০০৫ সালে। কোন একদিন। দিন তারিখ মনে নেই। তার সঙ্গে আমার দেখা হয়েছিল ২০০২ সালের ১৫ এপ্রিল।

কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে। সম্মেলনের নাম পাগল সম্মেলন শুনে কৌতুহল সৃষ্টি হয়েছিল খুব। আমি তখন বেশ কয়েকদিন কুষ্টিয়া ছিলাম অন্য একটি এ্যাসাইনমেন্টে। আমার কৌতুহলের কথা জানতে পেরে,আন্দোলনেরবাজার পত্রিকার সম্পাদক আমার খুবই ঘনিষ্ট মানুষ,মঞ্জুরুল এহসান চৌধুরী তার পত্রিকার একজন সাংবাদিকের সঙ্গে ভিড়িয়ে দিলেন। সম্মেলনস্থলে যাওয়ার জন্য একটা হোন্ডাও দিলেন।

আবার ফিরে আসার পর বল্লেন দুই স্লিপ লিখে দাও। আমি তাড়াহুড়ো করে লিখেছিলাম। তা ছাপাও হয়েছিল পরের দিন। ২০০২ সালের ১৬ এপ্রিল। ব্লগে লুলু পাগলা নিকে একজন ব্লগার আছেন।

তার নাম দেখে আবার লুলু পাগলের কথা মনে পড়ে। তার একটা লেখায় কমেন্ট করে জানাই আমার ব্লগে যে ছবিটি ব্যবহার করি তা লুলু পাগলের স্বাক্ষাতকারের সময় তোলা। ছবি থেকে লুলুকে কেটে বাদ দিয়ে দিয়েছি। ব্লগার বন্ধুটি কোন রিপ্লাই না করলেও তা নজরে পড়ে আমার নাম্ভার ওয়ান বন্ধুর। সে যা বলে তা আমাকে করতে হয়।

তিনি আমাকে জিঙ্গেস করেন,লুলু কে?ব্যপারটা কী?আরো বলেন,ছবি,লেখা,ভিডিও ফুটেজ কী আছে সত্বর দেখাও। আমি বাসায় রাখা পুরাতন গোটা দশেক বাক্স থেকে অর্ধযুগ আগের নোট বই খুঁজে বের করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হই। অবশেষে আবার মঞ্জুরুল ভাইর সহযোগীতা চাই। তিনি গত মাসখানেক অফিস স্টাফদের অমানুষিক খাটিয়ে নিখোঁজ তারিখের পত্রিকাটির হদিস বের করে দেন। আজ পাঠান ফ্যাক্স করেন,স্ক্যান করে মেইল করেন।

এতোদিন আগের লেখাটি পড়ে আমার অনেক কিছুই মনে পড়ে। মাত্র ছয় বছর আগেও রোদ্র কত উজ্জল ছিল আমার দুই চোখে!লুলুর সম্পর্কে অনেকেই জেনে থাকবেন। আবার অনেকে নাও জানতে পারেন। লুলুর কথা সবাইকে জানাকে ইচ্ছা করলো। আমার সেই লুলু বন্ধুটিতো পড়বেই  মমতাজের চুলে মুঠি ধরে ঝাঁকিয়ে বলল... ক্যামেরায় ছবি উঠানোর জন্য তুই সামনে বইছিস ফয়সল নোই কুমারখালীতে একটি মানসিক হাসপাতাল স্থাপনের দাবি নিয়ে গতকাল এলাকার ফুলকুড়ি আইডিয়াল স্কুল মাঠে এসে জড়ো হয়েছিলেন প্রায় ৫০ জন মানসিক প্রতিবন্ধী।

তারা দিনভর পালন করেন নানা কর্মসূচি। পাগল পরিচর্যা ও পুনর্বাসন কমিটি তাদের কর্মসূচি পালনে সহযোগিতা করে। কমিটির পক্ষ থেকে বেশ কয়েকদিন আগে থেকে গতকালের কর্মসূচিকে পাগল সম্মেলন হিসেবে প্রচারনা চালানোর কারণে এ সম্মেলনকে ঘিরে এলাকায় ব্যাপক কৌতুহলের সৃষ্টি হয়। অনুষ্ঠানের মূল তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে মোহসিন উদ্দিন লুলু পাগলের নাম প্রচার করায় এলাকাবাসীর কৌতুহল আরো অধিক হয়। লুলু পাগল তার বৈচিত্রময় উদ্ভট জীবন-যাপন ও আচরণের কারণে কুমারখালীসহ আশপাশের এলাকায় বিশেষ পরিচিত।

গতকাল সম্মেলনের দিন সকাল থেকেই ফুলকুঁড়ি আইডিয়াল স্কুল মাঠে দুরদুরান্ত থেকে আসা লোকজন ভিড় জমাতে শুরু করে। মাঠে চা, পানি, সিগারেট, ফুচকা, চটপটিসহ বিভিন্ন খাদ্য দ্রব্যের হকাররা তাদের পসরা সাজিয়ে বসে মেলার পরিবেশ সুৃষ্টি করে। স্কুলের সামনে পুনর্বাসন কমিটির পক্ষ থেকে টাঙানো হয় রঙিন সামিয়ানা। অনুষ্ঠানে আগতদের বসার জন্যে পাতা হয় চাটাই। মাঝখানে কাপড় দিয়ে ও পাশে মানসিক ভারসাম্যহীনদের ও অনুষ্ঠানের অতিথি-বক্তাদের বসার ব্যবস্থা করা হয়।

এদিকে, গতকাল অনুষ্ঠান চলাকালে লুলু পাগলের ব্যস্ততা সকলের দৃষ্টিা কাড়ে। তার বুকে ও পিঠে বাঁধা ছিল পাগল সম্রাট লুলু-লেখা সাইনবোর্ড। ভীষণ ব্যস্ততার মধ্যেও সাংবাদিকদের ইন্টারভিউ দিচ্ছিলেন লুলু। দিনভর তিনি বিভিন্ন এলাকা থেকে ভ্রাম্যমান ‘পাগলদে’র রশি দিয়ে বেঁধে ভ্যানে চাপিয়ে সম্মেলনস্থলে নিয়ে আসেন এবং বসে থাকতে বাধ্য করেন। লুলু পাগল কিছুক্ষণ করে অনুষ্ঠান স্থলে থেকে কখনও কুমারখালী বাজারে, কখনও পৌরসভা অফিসে চলে যাচ্ছিলেন।

কখনওবা উপজেলা কমপ্লেক্সের পুকুরে গিয়ে গোসল করে আসছিলেন। লুলু পাগল নিজের মাথায় সর্বদাই একটি ভেজা ন্যাকড়া চাপিয়ে রাখেন। এলাকাবাসীরা জানান, লুলু পাগল কখনও খুব শান্ত থাকেন, কখনও অধিক মাত্রায় পাগলামী করেন। তবে উত্তেজিত হয়ে কাউকে মারধোর করেছেন এমন ঘটনা কম। গতকালের অনুষ্ঠানে লুলু পাগল নিজের জন্যে মঞ্চে সামনের সারির একটি চেয়ার বেছে নেন।

একবার তিনি উপজেলা কমপ্লেক্সের পুকুর থেকে গোসল সেরে ফিরে এসে দেখেন মমতাজ নামের একজন পাগলী তার আসন দখল করে নিয়েছে। লুলু পাগল উত্তেজিত হয়ে মমতাজের চুলের মুঠি ধরে ঝাঁকিয়ে বলেন, ক্যামেরায় ছবি উঠানোর জন্যি তুই সামনে বইছিস। মমতাজ একথা শুনে উচ্চ শব্দে কেঁদে ওঠে এবং হাত-পা ছুড়ে বলতে থাকে, এখানে বসতে না দিলে সে থাকবে না। এমন সময় একজন সাংবাদিক এ ধস্তাধস্তির ছবি তুললে লুলু সাংবাদিকের চুলের মঠি ধরে ঝাঁকি দিয়ে জিজ্ঞেস করে কোন পত্রিকার সাংবাদিক?(আমার ) সাংবাদিকদের জবাব শুনে লুলু পাগল বলেন, কাইল পত্রিকায় ছবি না ছাপালি তোর হোলের বিচি উড়া দেবোনে। এরপর হঠাৎ স্মরণ হয়েছে এমন ভঙ্গিতে বলেন, টেলিভিশনের ক্যামেরা কই গেল? সইরি পড়লো নাকি? তাহলি আমরাও সইরি পড়ি! লুলুপাগল এরপর চিৎকার করে বলতে থাকেন, মাইকগুলো বাজেনা।

দর্শক স্রোতাদের মধ্য থেকে একজন বলেন, মাইকের পার্টস নষ্ট। লুলু বলে, তাহলি আমাদেরও সবারই পার্টস নাই। এর পর লুলু পাগল কিছুক্ষণ উত্তেজিত ভাবে কথা বলেন। তিনি বলেন, পাগলের লিস্টডা কই রাখলাম? পৌরসভার চেয়ারম্যানরে কইছিলাম ট্রাক দিতি। কতো পাগলরে যে আনতি পারলাম না।

লজ্জায় মুখ দেখাবোনা ক্যাম্মা। এমন সময় মাইক অপারেটর লুলুর হাতে মাইথপিস দিলে লুলু বলতে শুরু করেন, মেহেদি কইগো? আর এমপি হইছেন তো কি হইছে। কই ক্যামেরাম্যান কই ছবি তোল। পাশে বসা একজনকে লুলু ধরে দাঁড় করিয়ে মাইকে ঘোষণা করেন সাংবাদিকরা একটু মোতালেবের কথা লেখো। মোতালেব চামেলির প্রেমে পড়েছিল।

সে মোতালেবের ছ্যাক দেছে। চামিলি এখন অন্য জনের বউ। মোতালেবের মনে অনেক দুঃখ। লুলু পেছনের সারিতে বসা একজনের দিকে মাউথপিস এগিয়ে দিয়ে বলেন, এই কামাল তুই গান গা। আমি গোসল করি আসি।

ঢাকায় ইলেক্ট্রিক শট দিয়ে আমার মাথার অবস্থা খারাপ করি দেছে। পাগল হতি যায়ি বদর পাগলের লাটির যে বাড়ি খাইছি। কামাল পাগল ফজরের নামাজের নিয়ত ভক্তি সহকারে উচ্চারণ করে বলে, যারা ফজরের নামাজের নিয়ত জানে না তারা আমার কাছ থেকে শিখে নিতে পারেন। কামাল এরপর নেচে নেচে গান গাইতে শুরু করে আমি জনম হারাবো মরে যাবে-বাঁচাতে পারবা নাগো...। অনুষ্ঠান শেষ হয় বিকেল ৪টার দিকে।

পাগল পরিচর্যা ও পুনর্বাসন কমিটি পাগলদের বিরিয়ানি খাওয়ানোর ব্যবস্থা করেছিলো। পাগলদের কেউ বিরিয়ানি খেয়ে কেউ বা না খেয়েই লক্ষ্যহীন পায়ে হেটে ফিরে যায় নিত্য দিনের অবহেলা ও গঞ্জনা ভরা তাদের নিজস্ব বিভ্রান্তির দুঃসহ জীবনে। ... আন্দোলনেরবাজারের ১৬ এপ্রিল ২০০২ সংখ্যায় নিচের লেখাটিও ছাপা হয়েছিল। লিখেছিলেন নুর আলম দুলাল ও সোহেল হাবিব। পাগল সম্মেলন বিষয়ে অনেক তথ্য এই লেখাটিতে আছে বলে কৌতুহলী পাঠকের জন্য তুলে দিলাম।

কুমারখালীতে সুখ-দুখের প্যাঁচালী নিয়ে শেষ হল পাগল সম্মেলন পাগলদের মুরগী বিরানী ভোজন আর শাড়ী-লুঙ্গি পুরিয়ে সুখ-দুঃখের প্যাঁচালী নিয়ে সম্পন্ন হল কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার ঐতিহ্যবাহী তৃতীয় পাগল সম্মেলন। বাংলাদেশ পাগল পরিচর্যা ও পুনর্বাসন কমিটির উদ্যোগে আয়োজিত গতকাল সোমবার উপজেলার ফুলকুঁড়ি আইডিয়াল স্কুল চত্বরে সকাল থেকে পাগল সম্রাট লুলু পাগল বিভিন্ন এলাকা থেকে লিস্টভুক্ত এবং ভ্রাম্যমান পাগলদের ভ্যানের সাথে দড়ি দিয়ে বেঁধে সম্মেলন স্থলে আনতে থাকে। এবারে পাগলদের নিয়ে আসতে কুমারখালী পৌরসভার একটি ট্রাক নিয়োজিত থাকার কথা থাকলেও চেয়ারম্যান না থাকায় তা সম্ভব হয়নি। পাগল সম্মেলনে আমন্ত্রিত অতিথি এবং পাগলদের বসতে সম্মেলন চত্বরে রঙিন কাপড় দিয়ে একটি প্যান্ডেল তৈরি করা হয়। বিভিন্ন ঢং-এর প্রায় ৫০টি পাগল জড়ো হয়েছিল এখানে।

১৯৭৪ সালে তৎকালীণ কুমারখালী খোকসা উপজেলার প্রয়াত সংসদ সদস্য গোলাম কিবরিয়ার নেতৃত্বে সর্ব প্রথম পাগলদের জমায়েত করান এবং ভোজন করিয়ে পাগল সম্মেলন করার চিন্তা-ভাবনা করেন। তার মৃত্যুর পর তা আর সম্ভব হয়নি। এরপর পাগল সম্রাট লুলু জানিয়ে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় ১৯৯৪ সালের ৮ আগস্ট বিভিন্ন পাগলদের একত্রিত করে কুমারখালী জিলাপী তলায় পাগল সম্মেলনের আয়োজন করে। সম্মেলনের পুরো অনুষ্ঠানটি টিভি ব্যক্তিত্ব হানিফ সংকেত উপস্থিত থেকে ভিডিও চিত্র ধারণ করেছিলেন। ভিডিও চিত্রটি টিভিতে প্রচার হলে দেশব্যাপী এ পাগল সম্মেলনের কথা মানুষ জানতে পারে।

এরপর ২য় পাগল সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল ঐ জায়গায় ১০ ফেব্র“য়ারি ১৯৯৯ সালে। প্রায় শতাধিক পাগলের পাগলামীতে মুখরিত হয়ে উঠেছিল জিলাপী তলা। ঐ সম্মেলনে পাগল সম্রাট লুলু পাগলদের অধিকার আদায়ের জন্য ৩৬ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করে। তাতে সভাপতি হয় লুলু নিজেই। সম্পাদক হয় শিক্ষিত পাগল মোতালেব।

এছাড়া কুমারখালী, কুষ্টিয়া, শিলাইদহের ৩৪ জন পাগল এই কমিটির বিভিন্ন পদে আসীন হয়। গতকাল পাগল পরিচর্যা ও পুনর্বাসন কমিটির উদ্যোগে ফুলকুঁড়ি আউডিয়াল স্কুলের সামনে দুপুরে আগত পাগলদের গোসল করিয়ে নতুন লুঙ্গি-শাড়ী পরিয়ে সম্মেলনে আনা হয়। সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন কুমারখালী-খোকসা আসনের সংসদ সদস্য সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমী। পাগল পরিচর্যা ও পুনর্বাসন কমিটির সভাপতি সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান লুৎফর রহমান, সাধারণ সম্পাদক ইউপি সদস্য খলিলুর রহমানসহ দীপু মালিক, হাবিব চৌহান উপস্থিত ছিলেন। এবারে সম্মেলনের পাগল সম্রাট লুলু তার পাগলামী ভাষায় নানা কথা বলতে থকে।

পাবনা, হাসপাতাল থেকে আসার পর পাগলরা যাতে ভালো খেতে পায়, ভালো পোষাক পায় সেজন্য ব্যবস্থা করতে হবে। সে বলে আমি স্বার্থের পাগল, পাগলদের পাগল বলা যাবে না, মানসিক রোগী বলতে হবে, কুমারখালীতে সরকারিভাবে একটি মানসিক হাসপাতাল নির্মাণ করতে হবে। একুশে টেলিভিশনে পাগল সম্মেলনের প্রচার চাই বাড়ী যাওয়ার সময় ভালো সদাই নিলে বউ ছেলে মেয়েরা খুব খুশী হয় না নিলে দাঁত খিচুনি, চোখ রাঙানো দেখতে হয়, আইতাল, পাইতাল, নুরজাহানের পায়তাল ইত্যাদি। শেষে আয়োজক কমিটির আয়োজনে পাগলদের মুরগীর বিরানী দিয়ে ভুরি ভোজন করানো হয়। সবশেষে: সম্মেলনের পর একই দিন লুলুর বাড়ি গিয়েছিলাম।

লুলুর স্ত্রী,কন্যার সঙ্গে কথা বলে ছিলাম। তারা বলেছিল,কোন সাংবাদিক কোথায় লিখেছিল বাড়িতে ভাল খেতে না দিলে লুলু স্ত্রীকে মারধর করে। এটা দেখে লুলু খুব মন খারাপ করেছিল। তারা বারবার অনুরোধ করছিল কোনকিছু যাতে না লিখি। তারা দেখিয়েছিল,যে খানে যাই ছাপা হোক,লুলু পেপার কাটিং সংগ্রহ করতেন।

বাড়িতে দুটো তাঁত ছিল। মনে পড়ে একটা তাঁত টানছিলেন লুলুর এক মেয়ে,যিনি কিনা স্বামী পরিত্যক্তা। আর লুলু একটা চাকরি জোগাড় করতে পেরেছিলেন গড়াই নদীর ফেরি পারাপারের লাইনম্যান হিসেবে। বেতন ছিল বোধ হয় আটাশশ টাকা। তার চাকরী জোগাড় করার পদ্ধতিটাও ছিল চমকপ্রদ।

সড়ক ও জনপদের উর্দ্ধতন একজন কর্মকর্তা এলাকায় গেলে লুলু তার গাড়ির সামনে শুয়ে পড়েছিলেন। বলেছেন,বউ-বাচ্চা নিয়ে বাঁচা যাচ্ছেনা। চাকরি না দিলে রাস্তা ছাড়বেন না। অগত্যা গড়াই নদীর পাড়ে গাড়ির সিরিয়াল রাখার কাজ পেয়েছিল লুলু। তার স্ত্রী আমাকে জানিয়েছিলেন,লুলু যেখানেই ঘোরাঘুরি করুন না কেন।

একটা সময় চাকরি করতে যাবেনই। আর প্রতি দিন বাসায় কোন না কোন একজন পাগল নিয়ে যেতেন। লুলুর স্ত্রী আরো জানিয়েছিলেন,বেতনের টাকা খরচ করতে পছন্দ করতেন না তিনি। ব্যাংককে একটা একাউন্টও ছিল তার। বেতনের সব টাকা ব্যাংকে রেখে দিতেন লুলু।

প্রচার যেমনি আছে সে অনুযায়ি লুলু আসলেই কতটা মানসিক প্রতিবন্ধি ছিল এনিয়ে আমি নিশ্চিত নই। তবে সে যে কটা সম্মেলন করেছে প্রত্যেকটিতে জোড়ালো দাবি ছিল একটা মানসিক হাসপাতাল স্থাপনের। কিন্তু সবাই সম্মেলনগুলো উপভোগ করেছে চরম কৌতুক নিয়ে।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.