আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মুসলিম সমাজের চরম অধঃপতন!!!



আমরা মুসলিম বা আমি মুসলমান (হয়তো প্রকৃত মুসলমান হতে পারিনি) এই কথাটি আমার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। অন্য কোন ধর্মাবলম্বীকে অবজ্ঞা করে নয় বরং সম্মান করেই আমি বলছি। মুসলমান পরিবারে জন্মগ্রহন করে শুধু মুসলমান নামধারী হয়ে থাকাটা কলঙ্কজনক। আমাদের জানতে হবে আমাদের প্রকৃত কাজ কি? আমাদের দায়িত্ব কি? এবং আমরা তার কতটুকু পালন করছি? কিন্তু কিছু নামধারী মুসলমান যখন মুসলিম ইতিহাসকে বিকৃত করে খোদ মুসলমানদেরই বিরুধ্যে আট-ঘাট বেধে নেমে পড়ে তখনতো চুপ করে থাকাটা মূর্খতার শামিল। আর এই মুসলমান নামধারীদের কারনে অনেক সুযোগ সন্ধানীরা মুসলমানদের ঘায়েল করার এই সুবর্ণ সুযোগ হেলায় হারায়না।

মুসলিম ইতিহাস এত পরিমানে সমৃদ্ব ও সুসজ্জিত যে আমার এই ক্ষুদ্র জ্ঞানের স্বল্প পরিসরে তা বর্ননা করা প্রায় অসম্ভব। তারপরও আমার সামান্য চেষ্টা কিছু ব্যক্ত করার। এই সমৃদ্বশালি ইতিহাসের সবচেয়ে বড় কথা হল সকল জ্ঞান-বিজ্ঞানের মূল উৎসই ছিল মুসলমানদের জ্ঞান চর্চা এবং তাদের আবিষ্কার। মুসলমানরা যতদিন মুসলমানের মত মুসলমান হয়ে জ্ঞান চর্চা করেছিল ততদিনই কালজয়ী জিনিস আবিষ্কার করতে পেরেছিল। যখনই মুসলমান তার পথ থেকে সরে গেছে তখনই সকল কর্তৃত্ব হারিয়ে ফেলেছে।

আর সহজ হিসাব যে যারা সাধনা করবে কর্তৃত্ব তাদের হাতেই থাকবে। এটা পানির মত পরিস্কার ও স্বচ্ছ। আমাদের বর্তমান অবস্থা হল ধার করা সংস্কৃতি দিয়ে বিভ্রান্তির বেড়াজালে মিশ্রিত ধর্মকে পুঁজি করে অহংকার আর বিলাসিতায় গা ভাসিয়ে চলা। গবেষণা? - সেতো বিদেশীদের কাজ। আমরাতো শুধু তাদের আবিষ্কারগুলো ব্যাবহার করতে জানি।

কারণ আমরা এখন আর আবিষ্কার করতে জানিনা। পড়াশুনা? - আমরা আমাদের শিক্ষা ব্যাবস্থা থেকে কিছুই শিখতে পারিনা কাজে লাগাবো কি? কারন এই শিক্ষা ব্যাবস্থাতো বিদেশী প্রভুদেরই তৈরী করা। আসলে আমরা আমাদের মুসলিম ইতিহাস কখোনো পড়েও দেখিনা, পড়ি শুধু অন্যদের গদবাঁধা ইতিহাস। মুসলমানরা দীর্ঘ ৮০০ বছর প্রায় অর্ধেক পৃথীবি শাসন করেছিল। আর তখনই বর্তমান সকল আবিষ্কারের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপিত হয়েছিল।

যেমন বীজগনিত, পরিমিতি, ত্রিকোনমিতি, পাটীগনিত, রসায়ন, পদার্থ বিদ্যা, চিকিৎসা সাস্ত্র, দর্শন সাস্ত্র এবং এইরকম আরো অনেক গুরুত্বপূর্ন বিষয়ে মুসলমানদের যুগান্তকারী আবিষ্কার ছিল যা জ্ঞান-বিজ্ঞানের চর্চায় গতি সঞ্চার করেছিল। এ সবই এখন ইতিহাস। কিন্তু আমাদের বর্তমান অবস্থা অতীব করুন আর এত ভয়াবহ যে তা ভাবলেও গা শিওরে ওঠে। এইখানে তার ছোট্ট একটি নমুনা। এতকিছুর পরও কি আমাদের চৈতন্য ফিরবেনা? আমরা আমাদের নীচতা, হিংসা-হানাহানি, পরশ্রী কাতরতা সহ বিভিন্ন প্রকার হীন মন মানসিকতার জন্য চিরকাল শুধু মার খেয়েই যাবো? মার খেতে খেতে আমাদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে।

তারপরও কি আমাদের জ্ঞান ফিরবেনা? আমাদের কি জেগে ওঠা অত্যাবশ্যকীয় নয়? কখনোও কি আমাদের এতটুকুও লজ্জা লাগেনা যে আমরা কত নিচে নেমে গেছি? নাকি লজ্জা পায় এখন শুধু গেঁয়ো লোকেরাই। আর মডার্ন হতে হলে লজ্জার আবরন ছুড়ে ফেলে অপসংস্কৃতিতে গা ভাসিয়ে চলতে হয়!!! ধিক এইসব আধুনিকতাকে। স্বীয় স্বকীয়তা বজায় রেখে আমাদেরকে মানুষের মত মানুষ এবং তার চেয়ে বড় কথা হল প্রকৃত মুসলমান হতেই হবে। এর অন্যথা সম্ভব নয়। আর এর জন্য সঠিক উপায়ে প্রকৃত জ্ঞান-আহরনই আমাদের একমাত্র সম্বল।

এগুলোকে আমাদের জীবনে বাস্তবরুপে প্রয়োগ করতে হবে। আর তার জন্য প্রকৃত শিক্ষা চর্চা অত্যাবশ্যকীয়। সবশেষে বলতে হয়: "জাগো মুসলিম সমাজ"

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.