ডুবোজ্বর
২৭০২০৬-১
পটমঞ্জরী বটের পাতায় উড়ছে বেজে
কর্ণপত্র কাঁপছে তির তির
পটমঞ্জরী একটি প্রাচীন রাগ
দুর্বিষহ সহবাস মুগ্ধতাকে খায় অবশেষে
ছায়াছবি পটে আঁকা ছবি হয়ে যায়
....................................................................
২৭০২০৬-২
তাকে খুলে দাও
তারপর ধাক্কা দিয়ে ফেলো পৃথিবীতে
তার বদলে আমাকে নাও
বিছিয়ে দাও নৈর্ঋতে
......................................................................
২৭০২০৬-৩
সে পৃথিবীতে এসেছে নিতান্ত শূন্য
একটা শব্দও তার কাছে নেই
তাকে ধরো শব্দবন্ধনে
মালা হতে সে খুলে নেবে মাতাল বকুল
....................................................................
২৭০২০৬-৪
ফুলদানিতে সুক্ষ্ণ একটা চিড় লক্ষ্য করেছি
ঠিক করেছি প্লাস্টিক রঙ লাগাবো
সূর্যে স্নান দিয়ে ঘরের কোণে রেখে দেবো
চমৎকার শোপিস
ভিতরের কথা শুধু জানবো আমি
তার সুদক্ষ্ণ কুমোর সেও জানবে না কিছু
.............................................................
২৭০২০৬-৫
এখানে লবণের মাঠ ছিলো বিরান
গাছ লাগাতে গেলাম
চারাগাছ মরে গেলো
রাতে বৃষ্টি হয়েছে
বৃষ্টির আগে ঝড়
ঝড়ের টানে উড়ে আসে পাতাদল
তারা জনে না একটি কথা
এইখানে একদিনও গাছ ছিলো না
...............................................................................
২৭০২০৬-৬
আমার ভিতরে নির্জনতা শয্যা করেছিলো
শয্যা ছিলো খড়ের
শুয়ে ছিলো দূরাগত কোনো প্রেতের জন্যে
প্রেতের আগুনে ভীতি
দেয়ালে এঁকে রেখেছি বৃষ্টি আর হিমালয়
আর আমি মুখোশ পরে নেচেছি শয্যাময়
...............................................................................
২৭০২০৬-৭
আমি তার যন্ত্রণার অংশ হতে পারি নি
সূর্য চোখ তোলে
তার দিতে তাকায়
আর সে অবলীলায় স্বপ্নহীন গোধূলি
হাতে তার রামধনু
সে ভেঙে গুড়িয়ে দেয় বিদেহি ইমারত
তার যন্ত্রণা আমাকে ভিন্ন করে
পাঠায় স্বপ্নময় রথ
......................................................................
২৭০২০৬-৮
সাতাশটি রাতের মৃত্যুতে ভোর
ভোরের শরীর একই প্রকার
নিশাচর প্রবেশ করি দিনের অন্দরে
ওখানে আমাকে গ্রহণ করে আলো
আমি আলোকে প্রত্যাখান করি
দাঁড়াই আলোর পাশে
..........................................................................
২৭০২০৬-৯
আর সে বললো নদী
আর ইহা নদীবেষ্টিত
একটি শব্দ গ্রাস করে এইসব শকল
একটি বিশ্বাস নষ্ট হয় দূরাগত রশ্মিতে
শব্দটি তৈরি করে নৈঃশব্দ্যের বিস্তার
নদী চিরদিন খুঁজে তার দেহের আকার
......................................................................
২৭০২০৬-১০
আলো উড়ছে কুয়াশায়
সে পথ চেনে না
সে পশ্চিমে হাঁটে
জন্মাবধি হাঁটে
সূর্যের দিকে হাঁটে
রাত আর পায় না যৌবন
সে চাষ করে রঙ মধু গ›ধ
সে বণ্টন জানে না
তার কাছেই আসে
তার কাছেই ধরা দেয়
................................................................................
২৭০২০৬-১১
আলো সব ধুইয়ে দাও
খুলে পড়ুক প্রকৃত লাবণ
ওখানে অন্ধকার বড়ই নরোম
আঁধারের কোমলতা অপেমান
ভূমিতলে জলের পরত
ওইখানে কোমলতা নৈঃশব্দ্য
তোমরা নৈঃশব্দ্যের রঙ পান করো
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।