আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

নৈঃশব্দ্যের মিছিল

অমিয় বানী শুনি অন্ধকারের

ক্ষণিক নিরানন্দ ক্ষণিক আনন্দ বেঁধে দেয় সীমারেখা খুলে যায় অযুত পথে হতাশার উচ্ছল মিছিল গাছ বলেছিলো যাবো আর পাখি বলেছিলো এসো নদী নেমেছিলো সাগরে আর সাগর চুমু দিয়েছিলো বেলাভুমিকে মাঝখান দিয়ে তুমি কি পেলে? দেয়ালের ওপাশে দেয়ালের গায়ে জমে থাকা তত্ত্বের শ্যওলা খুটে খাওয়া পিঁপড়া ও শুঁয়োপোকা একসাথে বাসা বাঁধে তৃতীয় চোখের দৃষ্টিতে, অপরপক্ষে দেঁতো হাসি হাসে মরা গাছের শুকনো পুস্পরাজি। রাত কড়াইয়ে পুড়তে থাকে চাঁদের পরাটা দুধের বাটি উপচে দুধে ভেসে যায় চরাচর চন্দ্রভুকেরা পরাটা এবং দুধের নেশায় মাতাল থাকে সারাজীবন। নষ্টবীজের গায়ে শুভ্রতার অশেষ ইতিহাস জাগে, চোখ থেকে ঝরে পড়ে আরেকটা চোখ, সেখান থেকে আরো একটা, পৌণঃপুনিক ইতিহাসের চলা ফেরা সর্পিল পথের বৃত্তে, সিনথেসিস শুরু হয় কিংবা হয়না। ঘুড়িতে ভর করে উড়ে যাওয়া ভবিষ্যৎ বর্তমানের সুতো দিয়ে বাঁধা থাকে অতীতের লাটাইয়ের সাথে আধোরাতে সুতো ছিঁড়ে গেলে কল্পনায় ভেসে যায় বাস্তবতার মেঘদল ছুঁয়ে ছুঁয়ে অপারগ সূর্য স্পর্শের মানসে অন্ধ চোখে খেলা করে বহুমাত্রিক রঙমহল আর খোলা মনে জাগে আঁধারের উল্লাস ভেঙ্গে যাওয়া পথে নেমে আসে বৃষ্টির খরতাপ সাথে নতুন রিকশার উদ্দাম যৌনজীবন। জ্যা অংকিত বৃত্তচাপে খেলা করে জলফড়িং এর জীবনাচরণ মে-ফ্লাই উড়ে গেছে সাময়িক মরণের আকর্ষণে তুমি হেসে জানতে চাইলে দিন শেষে, কেমন থাকবো পাখিদের আলিঙ্গনে। কালপুরুষের কোমরবন্ধ ছুয়ে ছুটে যায় অন্ধকার আগুন নদীর মাঝে ঘুমিয়ে রাতচরা জেলেদের নৌ-যান আলেয়ার চোখের তারায় আল্পনা আঁকে, অনন্ত পৌষী হাওয়া খেলা করে নিঝুম মাঠের শুকনো ঘাসে ইকারুসের আর উড়ে যাওয়া হয়না সূর্যের কাছে।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।