আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

রাজ্যহীন রাজা



হায়রোগ্লিফিক্সের চেয়েও আদি অথচ প্রথম প্রেম ছায়ার উষ্ণতায় বাষ্পীভূত হলে আকাশেতে মেঘ করে। জলাধারে নির্বিবাদে গবাদির তৃণ খাওয়া দেখে তৃষিত ফড়িঙ উড়ে যায়। পরে থাকে বৃষ্টির সংসারী জল, ঘাসপিতার কোলে। ওদিকে বাতাসের ব্যালেড্যান্সে ছুটে যায় বৈদ্যুতিক সাপ মেঘেরও অলক্ষ্যে; আমাদের রহস্যাকাশে শুধু বাইনস্টার ফুটে রয়! চেয়ে দেখো নার্সারির গোলাপ বাগানের দিকে- কতখানি ইউরিয়া নির্ভর? এইকথা বলে উড়ে গেলো প্রাণভ্রমরা পত্রহীন বৃক্ষের কাছে। যার তলে জীবছায়া বিচরণ করে, বাদুরেরা কোলাহল থামিয়ে আঁকে নিশাচর নদী।

অথচ মনের সুখ মরে যায় মাঠে; শখ চলে যায় জানালায় মাথা রেখে থেমে থাকা দৃশ্যের গহীনে। মাথার শিয়রে বসে থাকা ধর্মগ্রন্থ ভাবে, একদিন এইসব পুঁথি ভেসে যাবে হাওয়ার ঘরে। জ্বলে উঠবে লন্ঠনভাতি। ওদিকে ধীবরের ছুড়ে দেওয়া উড়ন্ত জাল একরাশ শুন্যতা নিয়ে সমুদ্রের উপকণ্ঠে পড়ে। এই দেখে উড়ে যায় দুইটি সারস একটি সূর্যের ডাকে।

বহু পুরাতন আমি... বহুবার নানারূপে এসে ফিরেও গিয়েছি এইসব রেখে। নিঃশব্দে অজস্র্ নদীর থেকে তুলে দেয়া পথে রাখা হলে পা অফেরা গ্রাম শুধু ডাকে। সেইখান থেকে দুইহাতে তুলে দেখি প্রকৃত চাঁদের রঙ কতখানি সূর্যের মতো! শুনে চলি অফুরান বিস্ময়ে নক্ষত্রের হাসি, ছুটে চলা যুগ্ম শালিকের দিকে চেয়ে। যা-যা কিছু বর্ণের বাইরে, রূপের অলক্ষ্যে তার কিছুই দেখি নি আমি। যেমন দেখে না পাতা, ঝড় শুরু হয়ে গেলে শিকড়ের ভীত মুখখানি।

জীবনের অবসাদলিপি পাঠ করে নেমে আসে অন্ধকার আর বাদুরেরা ফিরে পায় আলোকরশ্মি। জনাকীর্ণ পৃথিবীর চূড়ান্ত ধ্বংসযজ্ঞের মাঝে দাঁড়িয়েও আমি এক রাজ্যহীন রাজা, করে চলি রাজার সাথেই তাই জেহাদ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.