আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সরকারি তদন্ত কমিটির রিপোর্ট : “নাসিরুদ্দিন পিন্টু বিদ্রোহীদের পালিয়ে যেতে সাহায্য করেন”



বিডিআর সদরদপ্তরে ২৫-২৬ ফেব্রুয়ারির হত্যাযজ্ঞের মূল উদ্দেশ্য ছিল চেইন অফ কমান্ড ধ্বংস করে বিডিআর-কে অকার্যকর করা, সেনাবাহিনী ও বিডিআর কর্মকর্তাদের সাংঘর্ষিক অবস্থানে দাঁড় করানো, সামগ্রিকভাবে সেনাবাহিনীকে ক্ষতিগ্রস্ত করা এবং নব নির্বাচিত সরকারকে অস্থিতিশীল করা। বুধবার বিকেলে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ ব্রিফিং-এ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে জমা দেয়া এ রিপোর্ট সাংবাদিকদের কাছে প্রকাশ করতে গিয়ে তদন্ত কমিটির প্রধান আনিস-উজ-জামান জানান, তারা বিডিআর বিদ্রোহ ও পিলখানায় সংঘটিত হত্যাযজ্ঞে জঙ্গি বা কোন বিদেশী শক্তির সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পাননি। কমিটি এ ‘জঘন্য হত্যাকাণ্ডের’ বিচার দ্রুত সেনা আইনে করার সুপারিশসহ রিপোর্টে স্বল্পমেয়াদি ৮ দফা ও দীর্ঘমেয়াদি ১৫ দফা সুপারিশ করেছে। বিভিন্ন জাতীয় সংকট মোকাবেলায় সর্বোচ্চ পর্যায়ে অবিলম্বে একটি ‘জাতীয় সংকট মোকাবেলা কমিটি’ গঠনের সুপারিশও করা হয়েছে এ তদন্ত রিপোর্টে। সাবেক এই সচিব আরও বলেন, বিডিআর বিদ্রোহের আরও লক্ষ্য ছিল দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা নষ্ট করা এবং বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করা। মহাপরিচালকসহ বিডিআর সেনা কর্মকর্তাদের হত্যা ও অন্যান্য জঘন্য অপকর্মের পরিকল্পনা শুধুমাত্র কিছু ‘হার্ডকোর বিদ্রোহীর’ জানা ছিল বলেও তিনি সাংবাদিকদের জানান। এই বিদ্রোহে পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নকারীদের মধ্যে নেতৃস্থানীয় ২৩ জনের নামও প্রকাশ করা হয় ব্রিফিং-এ। পিলখানার বিদ্রোহ ঢাকার বাইরে ছড়ানোর জন্য গণমাধ্যমকে দায়ী করেছে তদন্ত কমিটি। তদন্ত রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে পিলখানা থেকে বিদ্রোহীদের পালিয়ে যেতে নৌকা দিয়ে সহায়তা করেছেন বিএনপির সাবেক সাংসদ নাসিরউদ্দিন আহমেদ পিন্টু।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.