একট হাসি, অলস দুপুর, এক ফোঁটায় জলের পুকুর।
আজকের দিনটা সকাল থেকেই মেঘ মেঘ। রোমান্টিক রোমান্টিক আবহাওয়া।
এমুন দিনে মুনিয়ার সাথে রিকশায় উঠলেই চিক্কুর দিবে, নাহিন এমুন একটা দিন আর আমার সাথে তুই আর তোর সাথে আমি? আমাদের এমুনই ফাটা কপাল?
এরপর তার শুরু হয় আফসুসের কিস্তি ।
আজকেও এমন কিছু হইবো ভাবসিলাম।
কিন্তু ক্লাসের পরে ঘটনা যা হইল, তাতে আমিও টাশকিফাইড ।
কাহিনী এমন বিশাল কিছু না, ক্লাশে ম্যাডাম চলে যাওয়ার পরে আমার ভয়ংকর ক্ষুধা লাগলো। আমি দেখসি যে মুনিয়া, শারিকা বের হয়ে গেসে। আদবানা তো অনেকক্ষণ ধরেই লা-পাত্তা। আমি সিমি, সিয়াম আর তুলির সাথে লান্চ করতে গেলাম অস্ট ব্যাঞ্জন।
বীফ খিচুড়ী খাইলাম বৃষ্টি উপলক্ষে।
ফেরত আসার পথে দেখি আদবানাও ফিরতেসে রিকশায়। আশরাফের দোকানে চা খেয়ে স্টুডিও তে ঢুকে দেখি বাকি দুই বদমাসও আমাদের ওয়ার্ক স্টেশনে বসা।
তাসটা বের করে শুরু হলো আমাদের খেলা আর জি-টক। আড্ডা - বোলে তো সেরম।
হাসতে হাসতে মানুষের পেটে খিল ধরে, আমাদের বুকে-পিঠেও ব্যাথা শুরু হয়া গেল যেন।
মানুষরে পঁচানীর লিমিট থাকে, আমাদেরটা যে কই আমরাও খুইজ্জা পাই না।
আদবানার কার্ডের ভাগ্য সেরম। আমি বাঁটতে থাকি আর তার মুখে ভালোবাসার ফুলঝুরি শুরু হয়। সেই ভালোবাসা এমনই তীব্র যে শ্রবণসীমায় কোন ছেলে থাকলে সে নির্ঘাৎ বেগুনি হয়া যাইত।
অনেকক্ষণ আড্ডা এবং খেলার পরে আদবানার মনে পড়লো যে সে আদতে জিনিস প্তর নিয়ে বাসায় যাবে বলে স্টুডিও তে এসেছিলো।
আমরা বাকিরাও বের হয়ে পড়লাম। শারিকার ক্ষুধা লেগেছে দেখে ফেরার পথে আবার আশরাফের দোকান বসে চা-পুরি-জিলাপী-চপের আড্ডা।
বেশ অন্ধকার হয়ে আসছে দেখে আদবানার মনে পড়লো যে সে পড়াতে যাবে বলে সব গুছিয়ে বাসায় যেতে চেয়েছিলো, সুতরাং সে দিলো দৌড়। আমরা বাকি তিনজনে কথা কন্টিনিউ করলাম পলাশী পর্যন্ত।
রিকশা নেয়ার সময় মনে হলো আমার বাসা পর্যন্ত একসাথেই আসা যায়, এরপরে দু'জনের বাসা দু'দিকে। সুতরাং তিনটে ল্যাপটপ নিয়ে তিনজনে এক রিকশায় ।
তখনই হঠাৎ করে মুনিয়া বলে উঠলো, এরকম একটা দিনে আমার সাথে কিনা তোরা?
আমি কইলাম, তুই কি বলতে চাস যে আমাদের থেকে ভালো কেউ তোর পাশে থাকতে পারতো??
মুনিয়াই বললো, না পারতো না। রোমান্টিসিজমে হয়তো মজা আছে, কিন্তু চার বিখাউস বন্ধুতে রোমান্টিসিজমের বারোটা বাজানোতে মজাটা আরো অনেক বেশি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।