ধুমপানে বিষপান
ছাত্রদলের শীর্ষপদে জঙ্গি কানেকশন আরো পাকাপোক্ত হলো!
ছাত্রদলের নতুন কমিটি নিয়ে নানা মহলে আলোচনা-সমালোচনার অন্ত নেই। এই কমিটির ১০১ সদস্যের মধ্যে ‘টপ ফাইভ’ নামে পরিচিত যে পাঁচ জন নেতাকে নতুন কমিটিতে স্থান দেয়া হয়েছে। তাদের কেউই অভিযোগ মুক্ত নয়। তবে এদের মধ্যে সবচেয়ে গুরুতর ও নিন্দিত অভিযোগ রয়েছে শীর্ষ পদে আসীন ছাত্রদলের কাণ্ডারী সুলতান সালাউদ্দিন টুকুর বিরুদ্ধে। এরকম অভিযোগ করছেন ছাত্রদলের তৃণমূল নেতারা।
তারা বলছেন, টুকুর সঙ্গে জঙ্গি কানেকশন রয়েছে। তিনি ২০০১ সালে আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলা মামলার প্রধান আসামি বর্তমানে কারান্তরীণ আব্দুস সালাম পিন্টু ও হরকাতুল জিহাদ (হুজি) নেতা মাওলানা তাজউদ্দিনের ছোট ভাই।
সূত্র জানিয়েছে, টুকু পারিবারিকভাবেই গ্রেনেড ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। বর্তমানে টুকু রহমত নামের এক সন্ত্রাসীর গাড়িতে যাতায়াত করেন। রহমত বিভিন্ন হত্যা মামলার আসামি।
তিনি একজন পেশাদার অস্ত্র ব্যবসায়ী। গত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে র্যাবের হাতে আটক হলেও বিএনপির সংস্কারপন্থী মান্নান ভুঁইয়া ও মেজর (অব) হাফিজউদ্দিনের তদবিরে তিনি র্যাবের হাত থেকে মুক্ত হন। এমনকি ১৯৯৪ সালে টুকুর ভাই তোফার বিরুদ্ধ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্রাশ ফায়ার করে ৫ জনকে হত্যার অভিযোগ রয়েছে।
এদিকে গ্রেনেড হামলা মামলার সূত্রে জানা যায়, এই মামলার একাধিক আসামির জবানবন্দিতে সুলতান সালাউদ্দিন টুকুর নাম রয়েছে। যদি আওয়ামী লীগের আইনজীবীরা গ্রেনেড হামলা মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে অধিকতর তদন্তের দাবি জানায় এতে ছাত্রদলের নব সভাপতি টুকুও ফেঁসে যেতে পারেন বলে অনেকে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন।
সুত্র: আমার দেশ
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।