shamseerbd@yahoo.com
করতোয়া এখনও একটি নদী। এর উপর পারাপারে এখনও সেতু প্রয়োজন। সবই সত্যি। শুধু সত্যি নয় একসময় এটি খরস্রোতা ছিল দুকূলে থৈথৈ পানি ছিল। এখন শুকনোর সময় একে বালির ভাগাড় বলা চলে।
সীমান্ত রেখা নির্দেশ কারী মহানন্দার ও একই দশা। ইচ্ছা হলে ডুবাই ইচ্ছা হলে ভাসাই। ভারতের বাঁধের কল্যানে এটিই এখন এ দুই নদীর নিয়তি।
টিপাইমুখ বাঁধ এর ফলে বাংলাদেশ এর তেমন কোন ক্ষতি হবেনা, পানি মন্ত্রী যখন এই কথা বলেন তখন ইচ্ছা হয় বলতে, চলুন দেখে আসি পদ্মা মহানন্দা করতোয়া। খুব জানতে ইচ্ছে করে আমরা কি ভয়ে নাকি প্রলোভনে এত নির্লজ্জ্ব।
ওরা ক্ষমতাবলে যা ইচ্ছা করুক হয়ত বাঁধা দিতে পারবনা, কিন্তু তাই বলে আমার প্রতিবাদের ভাষাও থাকবেনা এটা কেন।
করতোয়া:
মহানন্দা:
হাঁটু পানি মাড়িয়ে গেলে ঐ বালুচরটিই সীমান্তরেখা:
বাস থেকে নামলাম পঞ্চগড় শহীদ মিনারের সামনে। ২৬শে মার্চের সকাল। সবার ফুল দেয়া শেষ তখন। করতোয়া তার পাশে।
করতোয়ার কান্না সাথে নিয়ে তেঁতুলিয়া। তেঁতুলিয়ার তেঁতুল গাছের নীচে কিছুসময় কাটিয়ে রওয়ানা হই বাংলাবান্ধার পথে। দীর্ঘ সিলেট জীবনের কল্যানে তেঁতুলিয়ার চা বাগান আর আমাদের সময় কেড়ে নিতে পারেনি। ভ্যানে করে জিরো পয়েন্ট। এপার ওপার তাকানো, সীমানা পিলার, কাঁটাতারের বেড়ার কল্যানে ভারতীয় কয়েক ঘরের নিজভূমে পরবাস, বিডিআর, বিএসএফ, মহানন্দা , পাথর সন্ধানী,কাজী ফার্ম , সোনালী গম, সবুজ ধান, আর তামাবিল থেকে রূপসা-টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া জয় করে আমরা।
পাথর উত্তোলনকারী। পাথর তুলে টিউবে ভাসিয়ে রাখা হয়
কাঁটাতারের বেড়া আর বিএসএফ ওয়াচ টাওয়ার
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।