মুক্ত কর ভয়/ আপনা মাঝে শক্তি ধর/ নিজেরে কর জয়।
গত ১১ তারিখ শুভ্র ভাই উয়ারি-বটেশ্বর নিয়ে একটা পোস্ট দিয়ে ব্লগারদের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন.. যারা যারা যেতে চায় অতিসত্ত্বর যেন ঘুরে আসেন। কারণ, তারা সেখানে বেশিদিন থাকবেন না।
অনেকেই সেখানে যেতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন.. কিন্তু, এখনো কেউ যাননি!! হুট করে কাল কাক-ভূষন্ডির প্রস্তাবে আমিও সায় দিয়ে আজ ঘুরে এলাম সেখান থেকে।
কি দেখলাম, কেমন দেখলাম এই নিয়ে বলব না.. কারণ, কিছু বললে হয়ত অতিরঞ্জিত শোনাবে.. আবার, অনেক ক্ষেত্রে শুভ্র ভাই বলবেন.. কম বলেছো!! শুধু এটুকু বলি.. খ্রিস্টপূর্ব ৪৫০ বছর পুরোনো জিনিসপত্রের ছবি, কাঠামো, উল্টো পিরামিডাকৃতির স্থাপনা দেখে শিহরিত হবেন নিশ্চিত।
তারচেয়ে কিছু টিপস..
১. যারা যেতে ইচ্ছুক, অবশ্যই সকাল ৮ টার মধ্যে ঢাকা ছাড়বেন।
২. বাস ছাড়ে মহাখালী থেক। নাম 'চলনবিল'। নামবেন 'মরজাল' নামক স্থানে। সেখান থেকে রিকশা করে 'উয়ারি খনন এলাকা'।
ভাড়া চাইবে ৮০ টাকা। ৬০ টাকায় রাজি হয়ে যাবে। আমাদের মত রিকসা না নিয়ে ভুল কর্বেন না।
৩. শুভ্র ভাইকে ভুলেও ফোন করে জিজ্ঞেস কর্বেন না.. কত দূর?? কতক্ষণ লাগবে?? 'মরজাল' থেকে রিকসা না নিয়ে ভাগা-ভাগিতে টেক্সিতেও যেতে পারেন। সেক্ষেত্রে আপনাকে নামিয়ে দেবে 'বেলাব'তে।
ভাড়া নেবে ১২ টাকা। সেখান থেকে ভ্যান/ রিকসা করে যেতে পারেন। সেক্ষেত্রে রিকসায় ভাড়া নেবে ৩০ টাকা। ভ্যানের ভাড়া আলোচনাসাপেক্ষ।
৪. সাথে করে অবশ্যই নিজেদের খাবার নিয়ে যাবেন।
কারণ, ওনারা যারা কাজ কর্ছেন.. তাদের খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা গ্রামবাসীরাই কর্ছেন। কাজেই নিজেরা খাওয়া নিযে য়াওয়াই ভাল।
৫. সাথে করে ছাতা নেবেন্। মাথার ক্যাপ নেবেন। আর অবশ্যই ক্যামেরা নেবেন।
সাথে করে চার্জার। এত অপূর্ব সুন্দর গ্রাম খুব কম পাবেন। কাজেই প্রত্নতাত্ত্বিক সামগ্রী দেখার আগেই ছবি তুলে ক্যামেরার চার্জ করে ফেলতে পারেন নিদ্বির্ধায়!!
একটু ব্যাখ্যা: ২০ মিনিট কেন??
আমরা যখন 'মরজাল' নামি। শুভ্র ভাইয়াকে ফোন.. 'কতক্ষণ লাগবে??'
- এই তো ২০ মিনিট!!
টেক্সি করে 'বেলাব' যেতে লাগে ১২-১৫ মিনিট!! সেখান থেকে একটু এগিয়ে রিকশা নিতে যাব.. আবার ফোন করে প্রশ্ন.. 'কতক্ষণ লাগবে??'
- এই তো ২০ মিনিট!!
আমরা হাঁটা শুরু করি.. প্রায় ১০ মিনিট হাঁটার পর এক দোকানে এক পিচ্চিকে প্রশ্ন.. 'কিরে.. ঐখানে যেতে কতক্ষণ লাগবে??'
- হাঁইটা গেলে তো ১ ঘন্টা!!
ভ্যান নেই একটা.. শীমূলতলা নামক একটা জায়গায় নামিয়ে দেয় ভ্যান। সেখান থেকে আরেকটা রিকসা নিয়েই ফোন.. 'ভাইয়া.. আমরা তো এখানে।
কতক্ষণ লাগবে??'
- ও.. এইখানে?? এই তো ধর.. ২০ মিনিট!!
আবার ফিরতি পথে.. আমরা এবার চালাক.. আর ভুল করি না.. সরাসরি রিকশা নেই.. পথিমধ্যে বৃষ্টি শুরু হয়.. রিকশাওয়ালাকে জিজ্ঞেস করি.. 'মামা কতক্ষণ লাগবে??'
- এই তো ..
অ:ট: যারা যাইতে পারেন নাই। যারা যাইতে পারবেন না.. তারা আসলে এই ভ্রমণ কাহিনীরে আঙ্গুর ফল টকের সাথে তুলনা কর্তারেন!! তয়, আজ আঙ্গুরের সাথে কইরেন না.. জলজ্যন্ত 'লটকন'-এর সাথে তুলনা করেন!!
গাছে থোকা থোকা ঝুলে থাকা লটকন..
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।