[অন্যর দোষ না খুঁজে আগে যদি সবাই নজের দোষটা খুঁজত তাহলে বোধহয় সব সমস্যার সমাধান হয়ে যেত]............... [পথের শেষ নেই, আমার শেষ আছে, তাইত দ্বন্দ্ব] http://mamunma.blogspot.com/
আমরা মুখোমুখি ছিলাম,
তবে আমার মুখটা একটু নিচে আর
তারটা একটু উঁচুতে আমার চেয়ে...
তার উচ্চতা হবে এই কত আর -আড়াই ফুট,
আর আমি তার দ্বিগুনের থেকেও অনেকটা বেশী।
আমি বসেছিলাম দোকানের পাটাতনে
আর সে দাঁড়িয়ে সম্মুখে খালি দেহে ময়লা গায়
বয়স -রাতে আমার একত্রিশ পূর্ণ হবে আর
তার হয়তো এখনও এগারোই হয় নি।
অথচ তার চাঁহুনীতে যে দীপ্ত রশ্মি আমি দেখলাম
তার কোন হদিস আমি পাইনি ৩০ বছরেও
আত্ম আঁখিদ্বয়ে...অথচ তার ঠোঁটে যে নির্লিপ্ত
বাস্তবতার হাস্য রুদ্ধতা দেখলাম তার তুলনায়
কত তুচ্ছ আমার আপোষ আর আপোষে গড়া
ঠোঁটের উজ্জ্বল হাসি। আমি তখনও এ সন্ধ্যায়
নিজের অবস্থান নিয়ে মনক্ষুন্ন; আর তখন সে তার
অন্ধ মায়ের হাত ধরে পেটের পূজায় মগ্ন ; তাই
তার হাতে দেখি ভিক্ষের সঞ্চয় থেকে খুচরা আধূলি
আর আমি পাশে দাঁড়ানো বন্ধুদের ধোঁয়ায় খরচ করি
তার চেয়েও অধিক পরিমান কিছু কাগজের নোট।
এ অসাম্য অতিবিপুল জাগতিক বাস্তবতার ক্ষুদ্র ছবি
যদিও, তবু আমি ছেলেটার দৃষ্টি তীক্ষèতায় একটু ভাবি..,
সে ভাবনা আমার অজ্ঞতার তীব্র কষ্ট
ব্যর্থতার অকারণ ঘুনে পোকার নিষিক্ত ডিম
অথবা সেই এক বন্ধুর চরম উক্তি “তুই আসলে ভন্ড”
মনে পড়ে যায় আর আবার অন্যভাবে চিন্তা করি
- ইস এই বয়সে ছেলেটার কি না কষ্ট!
দীপ্ত কালো ছেলেটা চলে যায় মার হাত ধরে
আমি ও আমরা বসে থাকি সন্ধ্যা আড্ডায়
আর যদি বলি এই অসাম্য আমাকে কাঁদায়
অথচ আমার দুটো শক্ত সামর্থ্য হাত আর
কাগুজে বিদ্যের মুখস্ত জজ্ঞালে ভরা মাথা আছে,
তখন আর নিজেকে ভন্ড না ভেবে কি উপায়?
১৫/০৫২০০৯
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।