প্রজন্মের আন্দোলন ৭ম দিনে...
......
......
......
......
......
......
......
......
.....
...
...
...
৭১ সালের সংঘটিত মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধকারী দোষীদের কঠোর শাস্তি এবং তাদের রাজনৈতিক চেতনাকে ধুলিস্যাৎ করার যে আন্দোলন শাহবাগ চত্ত্বরে শুরু হয়েছে তা সপ্তম দিনের মত অবিরাম চলছে। সকল প্রজন্ম-যোদ্ধাদের স্যালুট। সদুর প্রবাসে শুধু অনলাইনে সক্রিয় থেকে এর সাথে একাত্ব থাকতে হচ্ছে।
জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের জন্ম চায়নি। এর বিরুদ্ধে তারা সশস্ত্র অবস্থান নিয়ে মারাত্মক মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছে কিন্তু শেষে হেরেছে।
সেই পরাজিত শক্তি নানা কায়দায় বাংলাদেশে এখনও আছে, রাজনীতি করছে, ব্যবসা করছে। কিন্তু চেতনার যায়গা থেকে সরে আসেনি। ৭১ এর অপরাধের জন্য কখনও অনুতপ্ত হয়নি, জাতির কাছে ক্ষমা চায়নি। ফলে একটি স্বাধীন দেশের মধ্যে দুধ-কলা দিয়ে সাপ পোষার মত তারা ফুলে ফেলে উঠেছে। ক্যান্সার যেন ছড়িয়ে পড়েছে সাড়া দেহে।
বাংলাদেশের নতুন প্রজন্ম হিসেবে আমরা তা হতে দিতে পারিনা।
আমি ৭১ দেখিনি। কিন্তু, সাতদিন ধরে গণজাগরণ আন্দোলনের বিরুদ্ধে জামাত-শিবিরের যে ন্যাংকারজনক অপতৎপরতা দেখছি তাতে ৭১-এ তাদের ভুমিকার জোড়াল প্রমাণ দিচ্ছে। আন্দোলনকারীদের নেশাখোর, মাতাল আখ্যা দিয়ে প্রচার, মেয়েদেরকে নিয়ে কুৎসিত প্রচারণা, গণ-আন্দোলনকে সাজানো নাটক, ইসলামের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হিসেবে দেশে-বিদেশে প্রচার, ইত্যাদি ইত্যাদি। সময়ে সময়ে মিথ্যা কল্প-কাহিনী বানিয়ে, ছবি এডিট করে ইন্টারনেটে ছড়াচ্ছে।
কোটি কোটি টাকা ব্যায় করছে এসবের পেছনে । অবলা, নির্বোধ, বুদ্ধি-প্রতিবন্ধী কিছু তরুণ, যারা শিবির কর্মী বলে নিজেদের যোদ্ধা মনে করছে, বাছ বিচার ছাড়াই এসব অপপ্রচারে লিপ্ত আছে। অবশ্য এর থেকে তাদের কাছ থেকে আর কী আশা করা যায়? স্বাধীন দেশে জন্মে যারা পরাজিত শক্তির লেজুরবৃত্তি করে, তারা কু-চক্রের আবর্তে নিমজ্জিত। তাদের জন্য দুঃখ।
ফ্ল্যাশব্যাকঃ শিবির...
কিশোর মনে কিশোর কন্ঠ, ফুলকুরি, এর পরে ধর্মের দাওয়াত, নামাজ, মসজিদে আসা যাওয়া, সুফি সুফি চেহারার বড় ভাইদের সাথে পরিচয়, ইসলাম, নিয়মানুবর্তিতা বিষয়ক বয়ান, লেখাপড়ায় সহযোগিতা।
একটু বড় হলে, ভালো কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে সহযোগিতা, লেখাপড়া চালানোর জন্য টিউশনি, আর্থিক যোগান সাথে মওদুদী গলধকরণ, আস্তে আস্তে র্যাং ক এর উন্নতি, সমর্থক টু কর্মী টু সাথী টু সদস্য। একসময়ের একটু ধর্মীয় আবেগীয় ভালোলাগা থেকে এখন রাজনৈতিক কর্মী, ইসলামের নামে জামায়াতের যোদ্ধা! মাথার মধ্যে আস্তে আস্তে গুজে দেয়া হয়েছে মরনাস্ত্রের মতো ধ্বংসাত্বক কিছু উপাদান, মুক্তিযুদ্ধের সিদ্ধান্ত ভুল ছিল, বঙ্গবন্ধু ভারতের দালাল, আওয়ামীলীগ ভারতের দালাল, দেশ স্বাধীন হয়েছে ভারতীয় বাজারের জন্য, জাতীয় সঙ্গীত হিন্দু কবির। কিশোর থেকে যৌবন ছকে বাঁধা সিলেবাস ভিত্তিক কিছু নির্দিষ্ট গ্রন্থ ছাড়া অন্যকিছু পড়া হয়নি। তাই মগজ হয়নি যুক্তিবাদী, বিচক্ষণ, বিশ্লেষণাত্বক, স্বাধীন। হয়েছে নির্বোধ, প্রভুভক্ত, পরাধীন, কুৎসিত, একরোখা।
শিক্ষাজীবন শেষে যৌবন যখন টগবগে লোভনীয় চাকরি অথবা ব্যাবসা আছে রেডি। কখনও যদি একটু হলেও খোলা হাওয়ায় শ্বাস নিতে চায় মন, উপায় নেয়। দিনে দিনে অনেক ঋণে আবদ্ধ করেছে শিবির-জামাত। পালাবে কোথায়? তাই টিকে থাকতে হলে নেতারা যা বলে তাই মানতে হবে, গিলতে হবে, মরতে হবে, মারতে হবে!
মরণব্যাধি ক্যান্সারের মত এই অপশক্তিকে ক্যামিওথেরাপী দিয়ে শুধু আটকীয়ে রাখলে চলবে না। একেবারে নিঃশেষ করতে হবে।
সোজা হিসাব, একাত্তর মাননি, স্বাধীনতা চাওনি, সেই চাওয়া তোমাদের পুরণ হয়নি। এখন তোমরা অফ যাও। যুদ্ধাপরাধির কঠোর শাস্তি হবে, নব্য রাজাকাররা এদেশকে ভালোবাসতে না পারলে বিদেশে চলে যাও।
বিঃদ্রঃ লন্ডনে যেসব নব্যরাজাকার ফালাফালি করছে তারা যেন লন্ডনেই থেকে যায়। ভুলেও বাংলাদেশ না যায়।
প্রজন্মের বাংলাদেশে রাজাকারের ঠাই নেই।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।