আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

একজোড়া সেন্ডেল, টিশার্ট, ঢাকাক্লাবের প্রেসকনফারেন্স ও ড্রেস কোড কালচারে আমার পরাজয়

তারাঁদের ইসকুলে আমি এক লবন চাষীর ছেলে,ক্ষয়ে যাওয়া চাঁদ! সে আমার মা...

একজোড়া সেন্ডেল, টিশার্ট, ঢাকাক্লাবের প্রেসকনফারেন্স ও ড্রেস কোড কালচার। বিষয়টি তেমন কিছুই নয়। তবে আজ আমাকে অসর্তকতার জন্য নিজের কাছে অপমানিত হতে হওয়ায় দমে যাচ্ছি। তাই এ লেখার পক্ষে শক্ত যুক্তি না থাকায় শুরুতেই ক্ষমা চাচ্ছি। আজ ঢাকা ক্লাবের সুরমায় চিত্রশিল্পী মাহামুদুল হকের ডাকা সংবাদ সেন্মেলন কভার করতে গিয়েছিলাম আমি এবং সমকালের আজিজুল পারভেজ।

সময় বেলা ১টা। অনুষ্ঠান সুরমায়। বিষয় কোরিয়ায় বাংলাদেশী শিল্পীদের প্রদর্শনী। সুরমার অভ্যার্থনায় আমাদের আটকে দেয়া হল - ড্রেস কোডের কথা বলে। পারেভজ ভাই আমার দিকে তাকিয়ে দেখল আমার গায়ে টি-শার্ট।

পরনে সেন্ডেল। দারোয়ান আমাকে বলল, আপনি যেতে পারবেন না। ড্রেস কোড মিলছে না। পারভেজ ভাইর পরনে ও সেন্ডেল, কিন্তু গায়ে কলার ওলা পলো শার্ট। তাই তাকে দেখাতে হলো সেন্ডেলে ফিতা আছে কী না।

তিনি উৎরে গেলেন। আমার মন খারপ হলো। ঢুকতে না পারার জন্য নয়। ঢাকার এলিটরা স্বাধীনতার ৩৮ বছর পরও বৃটিস নিয়মে চলছে দেখে ও নয়। পারভেজ ভাই যখন ঘোসনা করলেন, চলেন মাসুদ! আমরা এ প্রোগ্রাম কভার করবনা।

এটা শুনে। বেচারা আমার অসর্তকতার জন্য ভোগান্তিতে পড়ল এজন্য। আমরা হাটতে হাটতে রিপোটার্স ইউনিট চলে গেলাম। সারা পথ আমার মন খারাপ। পারভেজ ভাই আমাকে সান্ত্বনা দিচ্ছেন।

আমার ৫ বছরের সাংবাদিকতায় এই প্রথম ড্রেস কোডের কবলে পড়া। আমি বুঝতে পারছিলামনা এমন জায়গায় সংবাদ সম্মেলন করা সাংবাদিকদের অভিজাত করার প্রয়াস কিনা! আমার ভুল পরে বুঝেছি। যখন সবাই বলছিল ভুল আমারই। ওই ড্রেস কোড ভাঙ্গার চেষ্টা একটুও ঠিক নয়। কারণ ঢাকা ক্লাবের সদস্যরাই দেশ চালান গণতান্ত্রিক ও তত্ত্বাবধায়ক আমলে।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।