যারা অসংখ্য মানুষের ভালবাসা অর্জন করে তারা হলো সৌভাগ্যবান, আর যারা মানুষকে ভালবাসতে পারে তারা হলো আকাশের মতো মহান। আমি কোন যোগ্যতা ছাড়া অকারণেই খুব সৌভাগ্যবান, তাই এখন স্বপ্ন দেখি আকাশ হবার... ও ব্লগার ভাই-বোনেরা, নব্য রাজাকাররা তো আমাদের বিরুদ্ধে ট্যাংক-মিসাইল নিয়ে নামছে। তাড়াতাড়ি গেরিলা যুদ্ধের ট্রেইনিং নিয়ে যান, পারলে কিছু টেকনিক শিখাতেও পারেন।
কে বলছে দেশে নব্য রাজাকার নাই?এই যুগের রাজাকারদের কিছু নিদর্শনঃ
গতকাল উপরের শিরোনামে একটা লেখা দেবার পর অনেক নব্য রাজাকার এর চিরবিড়ানি শুরু হয়েছে, কমেন্ট বক্সে কখনো হাসে,কখনো কান্দে আরো কতো আস্ফালন। ওদের রেসপন্স দেখে মনে হচ্ছে অর্গানাইজড মাফিয়া ওয়্যার শুরু করতে যাচ্ছে।
প্রবলেম নাই, মাসুদ রানা-মারিও পুজো-জেমস বন্ড আমরাও কম পড়িনাই। আসেন এইবার কাজে লাগাই।
ট্যাকটিস ঠিক করার আগে নিজেদের একটা পরিচয় ঠিক করা দরকার। ধরুন আমরা নিজেদেরকে “এন্টি রাজাকার সাইবার সোলজার” নাম দিলাম। ইংলিশে দিলাম দেখে আবার অন্য কিছু মনে করবেন না।
লজিক হচ্ছে, অশিক্ষিত নব্য রাজাকারগুলো ডিকশনারী দেখতে বসবে, এই ফাঁকে আমাদের প্ল্যানিং সেরে নেই।
প্রথমেই শ্ত্রুপক্ষের স্ট্রেনথ এবং উয়ীক পয়েন্ট জানতে হবে। নব্য রাজাকারদের স্ট্রেনথ হলোঃ
১. একটা সুপ্রতিষ্ঠিত আইনগত সিদ্ধ অর্গানাইজেশন আছে ওদের।
২.প্রচুর ফান্ড আছে।
৩.ওদের কোন ন্যায়-নীতি বোধ নেই।
৪.পরিচয় গোপন রেখে কাজ করে।
৫.ধর্মের লেবাস কাজে লাগায়।
৬.মগজ-ধোলাই করা কিছু কর্মী আছে।
৭.ইত্যাদি।
উয়ীক পয়েন্টঃ
১.নিজেরাও জানে ভুল করছে, তাই কনফিডেন্স নাই।
২.জাতে মাতাল,হুজুগে,ফ্যানাটিক, আসলে কোন শিক্ষা-দক্ষতা নাই।
৩.ধর্ম বেচতে চায়, কিন্তু সবাই এখন সচেতন,তাই বেইল নাই।
৪.পরিচয় দিতে লজ্জা পায়, বেনামে এক্টিভিটি করে, সুতরাং আসলে এরা ভীরু।
৫. আমি বিশ্বাস করি ওদের মধ্যে অনেকেই আছে যাদেরকে বোঝালে নিজেরাই ভুল বুঝতে পারবে,বাকিদের বিরুদ্ধে তখন লড়বে।
৬.মিথ্যার পরাজয় হবেই।
৭. ইত্যাদি।
এবার আসেন ওদের বর্তমান কার্জক্রম পর্যালোচনা করি। ওরা চাইছে যেখানে যত রাজাকার বিরোধী পোস্ট সব জায়গায় বেনামে কিছু নির্দিষ্ট, গৎবাধা, মেকি, ধর্মের আবরণ দেয়া পোস্ট দিতে,ধর্মভীরু মানুষের সেন্টিমেন্ট কাজে লাগাতে। সেইসাথে প্রধান দুইটি পলিটিক্যাল পার্টির মধ্যের দন্দ্বকে পূজি করতে। সেইসাথে যারা এই আন্দোলনে সক্রিয় তাদের গায়ে কালিমা লেপন করতে।
একটা জিনিস মনে রাখতে হবে, একজন ব্যক্তি লীগ,দল,বাম,জামায়াত করতে পারে;মুসলিম,হিন্দু,খ্রীস্টান হতে পারে; কিন্তু রাজাকার বিরোধী আন্দোলনে অন্য পরিচয় গৌণ। কারণ, সব রাজাকার এবং নব্য রাজাকার ই ছাগু,কিন্তু সব ছাগুই রাজাকার নয়!
গেরিলা স্টাইল সাইবার যুদ্ধঃ
১. ওদের বিরুদ্ধে অনলাইন এ সমানে প্রচার চালাতে হবে, ছবি, পোস্ট এ লাইক-শেয়ার দিতে হবে। লাইক দিতে কি জুকারবার্গ টাকা নেয় নাকি? সংখ্যায় আমাদের নখের যোগ্যও না ওরা। আমাদের পোস্টে ওরা খড়কুটোর মতো উড়ে যাবে।
২.বেনামে যতগুলো কমেন্ট করে ডাইরেক্ট রিপোর্ট করে দিতে হবে।
অনেক পোস্ট আছে সামুতে ওদের লিঙ্ক দিয়ে, ওগুলো দেখে কাজে নেমে পড়তে হবে।
৩.ওদের একটা লেখা-পোস্টের বিরুদ্ধে ৫০ টা পোস্ট এবং রিপোর্ট করতে হবে।
৪.অ্যাটাক ইজ দ্যা বেস্ট ডিফেন্স, তাই ওদের পোস্ট দেয়া পযর্ন্ত বসে থাকা যাবে না। আগেই আমাদের দিতে হবে।
৫.প্রস্তুত থাকেন সব সময়, ওরা আরো অর্গানাইজ হচ্ছে।
৬.ধর্ম ওদের বাপ-দাদার সম্পত্তি না, এই ইমোশন কাজে লাগাতে চাইলে উলটা বয়ান দিতে হবে।
৭.হ্যাকার বন্ধুরা বুইঝা নেন...বললাম না!
বাকিটা আপনি কমেন্টে লেখেন, আমরা শিখি
এটাও দেখতে পারেন-
কে বলছে দেশে নব্য রাজাকার নাই?এই যুগের রাজাকারদের কিছু নিদর্শনঃ ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।