www.choturmatrik.com/blogs/আকাশ-অম্বর
“All truth passes through three stages. First, it is ridiculed. Second, it is violently opposed. Third, it is accepted as being self-evident.”
- Arthur Schopenhauer
হ্যাঁ, মেক্সিকোর ভেরাক্রুজ অঙ্গরাজ্যের একটি বিশাল শুকরের খামার থেকে H1N1 ইনফ্লুয়েঞ্জার একটি নতুন প্রজাতির সন্ধান পাওয়া গেছে গত মার্চ মাসে (মার্চ ২০০৯)। এটার একটা নামকরণও হয়েছে, 2009 Swine Flu Outbreak। যে খামার থেকে এটার উৎপত্তি, যার নাম হচ্ছে Confined Animal Feeding Operation (CAFO), সেটাকে সত্যিকার অর্থে খামার না বলে কারখানা বলাই ভাল। শুকরগুলোকে স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে বড় করার জন্য জবাইয়ের আগে পর্যন্ত তাদের এন্টিবায়োটিক খাওয়ানো হত এবং যে জায়গায় রাখা হত সেখানে নাকি ক্রমাগত দ্বন্দযুদ্ধ হত জীবাণু এবং ওষধীর মধ্যে। আরও একটা কথা জানতাম, এন্টিবায়োটিকের উপস্থিতিতে ভাইরাসের রূপান্তর বা mutation নাকি ত্বরান্বিত হয়।
সে যাই হোক, কারখানার মালিক এবং মেক্সিকোর সরকারের মতে, এটা একটা কাকতালীয় ব্যাপার এবং এই রোগ চীন থেকেই আগত। এখনও পর্যন্ত মেক্সিকোতে ১৪৯ জন মানুষ এর বলি হয়েছে এবং আবারো শংকা যে এটা হয়তোবা মহাদেশ ব্যাপ্ত ব্যাধি হবে।
হ্যাঁ, ভ্যাক্সিন বানানোর জন্য দরকারী সব পদক্ষেপই নেয়া হচ্ছে WHO’র তত্ত্বাবধানে। সুইজারল্যান্ডের নোভারটিস বলেই দিয়েছে যে তাদের কাছে জেনেটিক কোড চলে এসেছে এই নতুন প্রজাতির ভাইরাসের এবং খুব জলদিই তারা পরীক্ষামূলক উৎপাদনে চলে যাবে এটার ভ্যাক্সিনের। নোভারটিস ছাড়াও পৃথিবীতে নিদেনপক্ষে আরো ২০টি প্রতিষ্ঠান ফ্লু-ভ্যাক্সিন বানায়।
হ্যাঁ, তাদের কাছেও নিশ্চয়ই চলে যাবে জেনেটিক কোড, তারাও নিশ্চয়ই বানানো শুরু করবে ফ্লু-ভ্যাক্সিন। এদের মধ্যে নিশ্চয়ই থাকবে গ্লাক্সো, ব্যাক্সটারদের মতন কোম্পানি। বার্ড-ফ্লু মোকাবেলা করতে ফ্লু-ভ্যাক্সিন তৈরীর জন্য এই নোভারটিস-গ্লাক্সোকেই ২০০৭ সালে The Department of Health and Human Services, USA দিয়েছিল $১০০ মিলিয়ন। আরও কত কি !
আর Deerfield, Illinois এর সেই ওষুধ কোম্পানী ব্যাক্সটার ইন্টারন্যাশনাল এর মত কেউ কি আবার “ভুলবশত” জীবিত এভিয়ান ফ্লু-ভাইরাস পাঠাবে ভ্যাক্সিন হিসেবে সাজিয়ে পৃথিবীর ১৮টি দেশে?
জোসেফ মারকোলা’র বই The Great Bird Flu Hoax এ লেখক দাবী করেছেন এক বিশাল চক্রের, যে চক্রের ভেতর আছে মাল্টিন্যাশনাল ড্রাগ কোম্পানী, ফুড কর্পোরেশন থেকে শুরু করে সাধারন বিজ্ঞানী যাদের কেনা হয় ঐসব ড্রাগ কোম্পানীর রুচি অনুযায়ী বৈজ্ঞানিক রিপোর্ট প্রদানের জন্য। সর্বপরি, সরকার – ভীতি সৃষ্টি করার মাধ্যমে।
বার্ড-ফ্লুর সময়, USA কিনেছিল $২ বিলিয়ন মূল্যের ড্রাগ ট্যামিফ্লু, H5N1 ভাইরাসের বিপক্ষে যার কার্যকারিতায় ছিল প্রভূত সন্দেহ। কেনা কিন্তু হয়েছিল সেই কোম্পানী থেকে যার প্রেসিডেন্ট ছিলেন সেই ডোনাল্ড রামসফেল্ড।
আমি শুধু মুক্ত বাতাসে বিচরণ করতে পারলেই মুক্ত।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।