আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

একখান সুপারহিট খাটি ঢাকাইয়া সিনেমা দেখার সুপারফ্লপ কাহিনী

যখন বিকাল হতে থাকে, হতে হতে সূর্যটা ঢলে পড়ে, পড়তে থাকে
আমরা সিনেমা দেখতে গেছিলাম। খাটি ঢাকাইয়া বাংলা। ছবির নাম "মন বসেনা পড়ার টেবিলে"। শাবনুর রিয়াজ। হল ভর্তি দর্শক।

লাইনে দাড়ানো দর্শক। সব মনে হইলো গার্মেন্টসের শ্রমজীবি। সুপারডুপার হিট। কিন্তু লগে বিশালদেহী ক্যামেরা আটকে গেলো পাইরেসী বিরোধী নোটিসে। খাটি ঢাকাইয়া ছবি শেষ দেখছিলাম ফার্মগেটের আনন্দতে।

কি ছবির নাম, কত টাকা টিকিট কইতে পারুম না। তবে পর্দার তুলনায় আশেপাশের সিটে দেখছিলাম বড় সিনেমা। এইবার দেখলাম হলের বাইরে অপেক্ষমানদের মধ্যে সিনেমা দেখার খাঁটি বিনোদনের আকাঙা। জাতে তারা আমগো চাইতে ভালনারেবল মনে হইলো। পোষাকে-পরিচ্ছেদে আমরা কিছুটা এলিয়েন।

তাদের ভাবটা এমন যে কেন আমরা ছবি দেখতে আইছি, আমরাও ভাবতেছিলাম, কেন আমরা আইছি! টিকিট কাটলাম ত্রিশ টাকা দিয়া। আসল দাম ২৮টাকা। ব্লাকে দুইটাকা বেশী। ডিসি। মানে সিনেমার সবচেয়ে অভিজাত আসন।

ত্রিশটাকায় শাবনুর রিয়াজরে দেখমু - সিনেমার শিশ শুনমু - সেরম উত্তেজনা। হল ভাঙলে পাবলিক লাইন দিয়া নামতেছে। ডিসের সামনে লাইন দিয়া দর্শক দাড়াইয়া রইছে ভিতরে ঢোকার জন্য। আমরাও দাড়াইলাম। কিন্তু বেরসিক পাইরেসী বিরোধী এজেন্ট শরৎ এর ক্যামেরা ভিডিও ক্যামেরা ধইরা বইলো।

ছবির প্রযোজকের থাইক্কা সে নিযুক্ত। কথা কইলাম প্রযোজকের ম্যানেজারের সাথে ফোনে। তারা কোনমতেই ঢুকতে দেবে না। শেষ কইলাম পত্রিকার সাংবাদিক। তাতেও কাম হইলো না।

শেষ কইলাম ভাইজান কিছু পয়সা লন, উহু! তাতেও না। ওদিকে শরৎ এর হাতের জিপ্পো দেইখাও তাদের মাথাব্যাথা - ম্যাচ, গ্যাসলাইট লইয়াও ঢোকা যাবে না। নানাভাবে তৈল, প্রলোভন আর নেতামী দেখাইয়াও কাবু করা গেল না। বুঝলাম ছবি ভালই চলতেছে। যাদের মন বসে না পড়ার টেবিলে তারা ঝাপাইয়া পড়ছে নায়ক-নায়িকার মন না বসার আসল কারণ উদ্ধারে।

কিন্তু আমাদের কি হইবে? আমাদেরও তো মন বসে না। কিন্তু উপায় নাই গেলমান আজম, মন বসাইতেই হইলো। আরো একখান ফটুক তুইলা ৬০ টাকার দুইখান টিকিট আবার ৫০ টাকায় বেইচা ব্যর্থ মনোরথে ফিইরা আইলাম। এক
 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।