সৎ দরিদ্র কাঠুরিয়ার কথাতো সবারই জানা, একবার কাঠুরিয়া নদীর ধারে কাঠ কাটার সময় কাঠুরিয়ার কুড়ালটি পানিতে পড়ে যায়, কাঠুরিয়া পড়ল মহা টেনশনে, কি করবে এখন, খাবে কি? এমন সময় এক পরী এল, সে কাঠুরিয়ার দুঃখ দেখে নদীতে ডুব দিয়ে একটা সোনার কুড়াল এনে দিল তাকে, তখন কাঠুরিয়া দেখে বলল : আরে এটা তো আমার কুড়াল না, তার পর পরী এনে দিল হীরার কুড়াল, কাঠুরিয়া নির্বিকার ভাবে আবারো বলল এটাও আমার কুড়াল না, এরপর পরী কাঠুরিয়ার ভাঙা কুড়ালটি এনে দেখালে কাঠুরিয়া বলল এটাই আমার কুড়াল। পরী তার আদর্শে মুগ্ধ হয়ে তাকে তার ভাঙা কুঠার এর সাথে সোনা আর হীরার কুঠার দুটিও দিয়ে দিল।
এ পর্যন্ত কাহিনী সবারই জানা, কিন্তু এর পরের কাহিনী অন্যরকম। কাঠুরিয়া সোনা আর হীরার কুঠার বিক্রি করে তখন অনেক ধনী। তারা শহরে চলে গেল, বাচ্ছাদের স্কলাসটিকায় ভর্তি করিয়ে দেয়া হল।
আর কাঠুরিয়ার বউ হয়ে গেল শপোহোলিক। এক শাড়ী আর দুইবার পরে না, রোজ বিউটি পার্লারে গিয়ে মেকাপ করে, ফেসিয়াল করে। তার নতুন ফ্ল্যাট চাই, নতুন গাড়ী চাই, কাঠুরিয়া এবার বিরক্ত হয়ে উঠল, কাঠুরিয়া ভেবে দেখল এভাবে চলতে থাকলে দশটা হীরার কুঠার বিক্রি করলেও কাজ হবে না। স্ত্রীর আবদার রক্ষা করতে করতে কাঠুরিয়ার জীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠল। এমন এক সময়ে তারা গ্রামে বেড়াতে গেলে সেই নদীর পাশ দিয়ে হেটে যাচ্ছিলো, হঠাৎ কাঠুরিয়ার ঊ পা পিছলে সেই নদীতে পরে গেল।
কাঠুরিয়ায় মুখ গোমড়া দেখে সেই পরী আবার এসে উপস্থিত। কাঠুরিয়া জানালো তার বউ নদিতে পড়ে ডুবে গেছে। এবার পরী নদিতে ডুব দিল, আর উঠে এল কারিনা কাপুর কে নিয়ে। পরী বলল এটা কি তোমার বউ, কাঠুরিয়া মহাখুশি হয়ে বলল, জ্বি মহামান্য পরী, এইটাই আমার বউ। কাঠুরিয়ার উত্তরে পরীর মনটা খারাপ হয়ে গেল।
পরী বলল, দেখ কাঠুরিয়া বেশ কিছুদিন আগে তোমার আদর্শে আমি মুগ্ধ হয়েছিলাম, আর আজ তোমার একি অধঃপতন? তুমি কারিনা কাপুরকে তোমার বউ বানিয়ে ফেললে?
কাঠুরিয়া দাত মুখ খিচে পরীকে বলল, দেখ পরী তুমি কি মনে করছ আমি তোমাকে চিনিনা, আমি তোমাকে হাড়ে হাড়ে চিনি, আমি যদি বলতাম এইটা আমার বউ না, তাইলে তুমি ডুব দিয়া উঠায়া আনতা ঐশ্বরিয়া রায়কে, তারপর আনতে রানী মূখার্জীরে, সবশেষে আনতে আমার বউরে, আর যাওয়ার সময় তিনটারেই গলায় ঝুলায়া দিতে, একটারে নিয়াই বড় মুশকিলে আছি, চার চারটা গলায় ঝুলিয়ে দিলে আমি নির্ঘাত মরে যেতাম, তাই নিরুপায় হয়ে কারিনারে বউ বলে স্বীকার করেছিলাম।
পলিশিত...........। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।