:)
সব মানুষের না হলেও, কত মানুষের জীবনেই কত দুঃখজনক ঘটনা থাকে আমরা জানিনা।
যে মানুষটা মিছিলে আপনার বিশ্বস্ত কমরেড, সে আবার আপনার সবচেয়ে কাছের বন্ধুও। হঠাৎ এক বিচিত্র দুপুরে জানতে পারলেন সে খুন হয়েছে পয়েন্ট ব্ল্যাংক রেন্জের গুলিতে। চোখ ফেটে কান্না আসতে চায় কিন্তু চোখের পানি কখন শুকিয়ে গেছে। আশা করেন, ধরা পড়বে খুনী।
মেধাবী সহপাঠী, সতীর্থরা চারদিক কাঁপিয়ে উঠবে- এমন আশায় বুক বাঁধেন। যতটুকু আশা, ততটুকুই আশাভংগ। সহপাঠী, সতীর্থরা হত্যার বিচারের দাবীকেও নোংরা পলিটিক্স বানাতে দ্বিধা করেনা। মানুষের বিচিত্র চেহারা দেখেন। দিন যায়।
মাস যায়। মাস গড়িয়ে বছর। বছরের পর বছর। হ্ত্যার বিচারের যে কোন দাবী ছিল এটাই সবাই ভূলে যায়। হয়ত আজো কাঁদেআপনার বন্ধুটির মা-বাবা-ভাই-বোনেরা।
আপনার বুকটা ভারী হয়ে আসে কোন নির্জন রাতে। অথবা ব্যস্ত এক দুপুরে। মনের ভিতর কে যেন বলে, একদিন ঐ খুনী নিশ্চয়ই সাজা পাবে। এ জীবনে, অথবা আরেক জীবনে।
একটি শিশু।
সদ্য কথা শিখেছে। বাড়ির প্রথম শিশু। সবার আদর-ভালবাসা সব তাকে ঘিরে। একসময় জানা গেল সে ভূগছে মস্তিষ্কের জটিল অসুখে। পৃথিবীর সব চিকিৎসা, সব চেষ্টাকে বৃথা প্রমাণ করে একদিন সে পৃথিবীর মায়া ছেড়ে চলে গেল অন্য পৃথিবীতে।
চার বছরের সন্তানের মৃতদেহ হয়ে উঠে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ভারের নাম। তবু একসময় জীবন স্বাভাবিক হয়ে ওঠে। সেই বাবামার ঘর আলো করে আসে আরো সন্তান।
আবার শুরু হয় স্বপ্ন দেখা। আশা করা।
শুধু কি এরাই, যে বাবামা তার একমাত্র সন্তানকে হারান তার ১৮ বছর বয়সে তারাও একসময় শুরু করেন স্বাভাবিক জীবন যাপন করা।
আডডায় যাকে দেখেন সবচেয়ে উঁচু গলায় হাসতে, ভাবেন সে খুব সুখী। সে জানেনা তার মৃত্যর পর তার পংগু সন্তান টির ভার কে নেবে? তবু সেও স্বপ্ন দেখে।
পেশাগত জীবনের শেষ দিক। পুরোপুরি ব্যর্থ একজন মানুষ আপনি।
তবু মনে করেন, একদিন একটা অন্যরকম দিন আসবে। জীবনে সফলতার মুখ দেখবেন। শেষ হবে অবিচারের পালা। আপনার বহু বছরের অমানুষিক পরিশ্রমের যোগ্য প্রতিদান পাবেন।
মানুষের জীবনই তাই।
শুধু স্বপ্ন দেখে যাওয়া, শুধু আশা করে যাওয়া। এছাড়া যে আমাদের বাঁচার আর কোন উপায় নেই।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।