চলছি, যেমন চলছে। ইমেইল: lostindrk@gmail.com
আজকে অফিস থেকে ক্লান্ত দেহে পিসিতে গেইম খেলছিলাম। এতো বুড়ো বয়সে গেমস খেলার জন্য মা-বাপের বহু ঝাড়ি খেয়েছি। সেই কি সেই! আজকেও এর ব্যতিক্রম হয়নি। কথা নেই, বার্তা নেই খেলার মাঝে চলে গেলো বিদ্যুত।
আমাদের এখানে বিদ্যুত বিভাগ সবসময়ই বিমাতা সুলভ আচরণ করে। আজকেও করবে বলে মনে হলো।
মনের সুখে চেয়ারে পিঠ হেলিয়ে বেশ একটা রিলেক্স ভঙ্গিতে এলিয়ে কান চুলকানো শুরু। কটন বাডের বান্ডিল থেকে একটা স্টিক নিয়ে বাম কানটা ভালো করে ডলে ডলে পরিস্কার করছিলাম। আয়েশে চোখ কেমন যেন বন্ধ হয়ে যাচ্ছিল।
জমে থাকা ময়লাগুলো তুলতেও যে এত শান্তি, আজকের মতো কখনোই টের পাইনি। মনে পড়লো, আমার এক কলিগের কান চুলকানোর অদ্ভুদ ও ফেটিশ ধরণের তৃপ্তি কথা।
"কান পরিস্কার, কান পরিস্কার লাগবে!!!" কিছু লোক থাকে, যারা ব্যাগে করে তুলা, কিছু সরু সুন নিয়ে ঘুরে বেড়ায়। পাঁচ-দশ নিয়ে কিভাবে যেন রাজ্যের ময়লা কান থেকে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে বের করতো। এদের সাধারণত বাস বা ট্রেন স্টেশনে দেখা যায় বেশি।
এতো শিক্ষিত হবার পরেও, আমার কলিগ বন্ধু রাস্তার ধারে বসে তাদের কাছ থেকে কান পরিস্কার করাতো। অস্বাস্থ্যকর জানতো, তারপরেও কান পরিস্কারের বাতিকে ভুগতো।
কান চুলকানো নিয়ে একটা জোকস বলা যাক।
: বলো তো সেক্স করার সময় ছেলে না মেয়ে কে বেশি আনন্দ পায়?
: অব্যশই মেয়ে ।
: কেন ?
: যখন কাঠি দিয়ে কান খোঁচাও আরামটা কোথায় লাগে, কানে না লাঠিতে ??
স্টিকটা যখনই ডান কানেই ঢুকাতেই ক্যাচালটা লেগে গেলো।
কটন বাডের তুলোটা ডান কানের ভিতরেই আটকে ভিতরেই রয়ে গেছে। এটাকে কোনভাবেই বের করতে পারলাম না। ঘরের মুরুব্বি আবার চোঁখে ঠিক মতন দেখে না। আমার তখন ছেড়ে দে মা, কেঁদে বাঁচি। আবার এই অবস্থায় ঘরের সবার আইডিয়া পপ কর্নের মতো ফুটতে লাগলো।
একজন তো কানে জোর করে পানি ঢেলে দিলো। এতে নাকি তুলা নরম হয়ে বের হয়ে আসবে!!
ডান কানে পর্দার মধ্যে দমদম আওয়াজ করছে। এদিকে বিদ্যুত নেই। দৌড়ে গেলাম হাসপাতালে। ইএনটি স্পেশালিস্ট তখনও আসেনি।
কষ্টে দুঃখে নিজের ছোট চুলকে টেনে টেনে লম্বা করছি।
এতো পেইনের মাঝেও আবার আরেক জোকস মনে পড়লো।
দুই বিদেশি যুবক জাহাজডুবি হয়ে এক দুর্গম দ্বীপে আশ্রয় নিয়েছে। কয়েকদিনের মধ্যেই তারা স্থানীয় জংলি সর্দারের সুন্দরী মেয়ের প্রেমে পড়ে গেলো। শুরু হলো উদ্দাম শারীরিক প্রেম।
ঘটনা জানতে পেরে সর্দার গুন্ডা পাঠিয়ে ধরে আনলো দু’জনকেই।
“বিদেশি!, সর্দারের একমাত্র মেয়ের সাথে তোরা ভারি অন্যায় করেছিস। ” গম্ভীর কন্ঠে জানালো সর্দার। তোদের শাস্তি হবে। বেছে নে বিদেশি, মরণ অথবা বোঙ্গাবোঙ্গা!”
প্রথম যুবকটি ভাবলো, বোঙ্গাবোঙ্গার মত শাস্তি থাকতে মরণ কেন? সে বেছে নিলো বোঙ্গাবোঙ্গা।
কিন্তু ব্যাপারটা যে আসলে কী রকম, জানতো না বেচারা। বোঙ্গাবোঙ্গা মানে হচ্ছে পাকা বাঁশ পশ্চাদ্দেশ দিয়ে প্রবেশ করানো। তা-ই করা হলো তাকে। জল্লাদ বাঁশ কেটে নিয়ে শাস্তি দিলো। মাটিতে শুয়ো যন্ত্রণায় কাতরাতে লাগলো বেচারা।
অপরজন ভাবলো, কোনও দরকার নেই অমন শাস্তির, এরচেয়ে মরণই ভালো। বেছে নিলো সে মরণকে।
এবার সর্দার জল্লাদের দিকে তাকিয়ে ক্রূর হেসে বললো, “না মরা পর্যন্ত এটার ওপর বোঙ্গাবোঙ্গা চালানো হোক!”
অবশেষে ডাক্তার এলেন। কানের মাঝে তেড়া-বেড়া টাইপ কাঁচির মতন কি যেন দিয়ে কুট করে তুলাটি বের করে আনলেন। আমার কষ্টের অবসান হলো।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।