চলছি, যেমন চলছে। ইমেইল: lostindrk@gmail.com
- কি দুঃখু, কেমন আছো? শুনলাম নাকি বিয়ে করছো?
মুরুব্বিদের টাইপের এই জাতীয় প্রশ্ন আমি সাধারণত এড়িয়ে চলি। এরা মাথার ঘিলুকে ফ্রাই করে ফেলে। তারপরেও বললাম,
- জ্বি না, এখনোও কিছু ঠিক করিনি।
- বিয়ে করে কি করবে? আশেপাশে কিছু দেখনা নাকি?
- বুঝলাম না ...
- শোন বলি,
"যদি তোমার প্রেমিকা থাকে, ধীরে ধীরে সে তোমায় মানসিকভাবে চাপ দিবে বিয়ে করার জন্য।
তুমি হয়ত আরেকটু হাওয়া বাতাস খেতে চাইবে, কিন্তু ধরা একদিন ঠিকই পড়বে। কায়দা করে তোমাকে তার কেন্দ্র করে ঘুরাবে। বিয়ের পরে তোমার যৌন জীবনেও বাধা ধরার ব্যবস্থা করবে। অনেকটা রোবটিক টাইপ হয়ে যাবে। মেয়েরা আবার বোরিং মানুষদের পছন্দ করে না।
তোমায় ডিভোর্স দিয়ে আরেকজনের কপাল পুড়ানোর জন্য চলে যাবে। তার সুখের জীবন কখনোও শেষ হয় না। আর, পুরুষেরা আস্তে আস্তে হার্ট এটাক করে।
তুমি যদি অন্য মেয়েতে আকৃষ্ট হও অথবা বিয়ে করো, তবে নারী নির্যাতন অথবা তার ভরণপোষণের দায়িত্ব নিতে হবে। যদি তোমাকে ছেড়ে চলে যায়, তবে সমাজে মুখ দেখানো যাবে না।
সবার মুখে তোমার নপুংশক হবার কাহিনী ঘুরতে থাকবে। যেইদিকেও যাবে, শাঁখের করাত তোমার উপরেই থাকবে।
একটু আধটু মদ বিড়ি খাও, আড্ডাবাজি করো, সত্যি বলতে তাতে কিছু যায় আসে না। বিয়ের পর হয়ত মজার এই আইটেমগুলো আর আগের মতো উপভোগ করতে পারবে না। তখন শুধু বৌয়ের টেনশান থাকবে মাথায়।
সিগেরেট/বিড়ি ছাড়া যায়, কিন্তু এই টেনশান জড়িয়ে গেলেও যা, ছাড়তে গেলেও তা, মানুষ খালিই পস্তায়।
বাবা হতে চাও, তবে অনাথ সন্তানদের নিয়েও বাবার দায়িত্ব পালন করতে পারো। তাদেরও আশ্রয়ের দরকার হয়। আর, তোমার যৌবন নিয়ে চিন্তা করো না। এটা আর সাধারণ ক্ষুধারই মতন।
মনে রেখ শুধুমাত্র বীর্যস্খলনেই বাবা হওয়া যায় না।
একাকিত্বকে ভয় লাগে। ভয় পেও না। তুমি একলা এসেছ, যাবেও একলা। "
ধুপ করেই এলেন, আবার তেমনি চলে গেলেন।
মানুষটি তার ব্যক্তিগত জীবনে যথেষ্ট সুখি বলেই জানি। যেকোন কারণেই হোক, আমার বিয়ে করার পরিকল্পনা আবারও পিছিয়ে গেল।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।