আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আমরা কি বানের জলে ভাইসা আসছি?

পথ বাঁধতে চেয়েছিল বন্ধনহীন গ্রন্থি...
আমরা যারা জাহাঙ্গীরনগরে মাথার ঘাম পাব্লিক বাসে ফেলে চার বছর যাবত বিবিএ করছি তারা কি আদতে দুনিয়াতে নাই?...অথচ আমাদের ডিপার্টমেন্টই আবার বাংলাদেশে সর্বপ্রথম বিবিএ ডিগ্রী চালু করেছিল...জ্বী হ্যা...আমরা আইবিএ এর একবছর আগে থেকে শুরু করেছি...আমাদের প্রতিটা অনুষ্ঠানের আগে উপস্থাপক বা উপস্থাপিকার গলা কাপিয়ে 'we are the pioneer institution that started giving out bachelor degree in business administration in Bangladesh' বলি ঠিকই, কিন্তু এই নোটিস দিয়ে বোঝা গেল যে বাজারে আমাদের দাম আসলে চার আনাও না। গত আটমাস ধরে আমরা আমাদের মহান পাইওনীয়ার ডিপার্টমেন্টের কাছে ইউজিসি প্রণীত গ্রেডিং সিস্টেমের জন্য আবেদন জানিয়ে আসছি। দেশের সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঝে একমাত্র আমাদের ডিপার্টমেন্টেই ৯০ এ দেয়া হয় গ্রেড এ, এক গ্রেড থেকে আরেক গ্রেডের মাঝে ফারাক দশ দশটি নাম্বারের! মার্কেটিং এবং ফিনান্সে পাঁচ পাঁচটি কোর্স করার পরেও দেয়া হয়না কোনও মেজর ডিগ্রী, যেখানে নিয়ম অনুযায়ী আমাদের ডাবল মেজর পাবার কথা। আমাদের শিক্ষক সংখ্যাও অপ্রতুল, আর তাদের শিক্ষকতার ধাঁচটা কেমন তা নিয়ে আগেও বলেছি অনেক বার। আমরা যখন এইসব নিয়ে খুব সুশৃংখল ভাবে দারস্থ হই আমাদের বিভাগীয় পরিচালকের তখন আচমকা আমাদের শিক্ষকেরা সিদ্ধান্ত নেন স্ট্রাইকের।

তাতেও হাল না ছেড়ে আমরা প্রতিদিন উপস্থিত হয়েছি ডিপার্টমেন্টে। বসে থেকেছি ক্লাসে, আমাদের প্রতিনিধিরা আমাদের শিক্ষকদের কাছে গিয়ে অনুরোধ করেছে ক্লাস নেয়ার। কিন্তু তারা নরম হননি। উপরন্তু চ্যানেল আইয়ের সাঙ্গবাদিক ডেকে এনে বলেছেন যে শিক্ষক নয় স্ট্রাইক করেছে ছাত্ররা! ডিপার্টমেন্টের আটমাসের দীর্ঘসূত্রীতা পেরিয়ে আমরা যখন ভিসির দারস্থ হয়ে আশ্বাস প্রাপ্ত হই যে আমাদের দাবী যৌক্তিক এবং শিক্ষকদের নির্দেশ দেন ক্লাস নেবার, তখন কিছু করার না পেয়ে আমাদের শিক্ষকরা তাদের সেচ্ছাচারীতার চূড়ান্ত দেখান। সবচেয়ে জুনিয়র ব্যাচের সাডেন টেস্ট নেয়া হয় [শুধু মাত্র তাদেরই যারা একাউন্টিং এর মোটা বইটা বয়ে এনেছিল, তার ফলে পরীক্ষার্থী দাঁড়ায় ৮ জন!], তাদের সিনিয়র ব্যাচকে বলা হয় যে শনিবারে তাদের মিডটার্ম, এবং এই মিডটার্মের কোনও সিলেবাস নেই।

আমরা যারা এখন সবচেয়ে সিনিয়ার, তাদের বাঁশ ভক্ষন শুরু হবে আগামীকাল থেকে। এখন ভাবছি, বাঁশটা ঠিক কতটুকু হলে আমি সম্পুর্ন গলাধঃকরন করতে পারব... [না জানে কোন পাপের ফলে এই ডিপার্টমেন্টে ভর্তি হতে হয়েছে...এখন আর যাই হোক, একটা জিনিস বুঝেছি, এখন থেকে আমার যারা শত্রু শ্রেনীর মানুষ থাকবে তাদেরকে আমি খুব বুঝাবো যেন তারা তাদের সন্তানদের এই ডিপার্টমেন্টে পড়ান!!!] [ভাইসকল, বুঝতেই পারছেন এই ঘটনা গত আটটা মাস ধরে চলছে, কাউকে অসম্মান করার জন্য এই পোস্ট না, অসহায়ত্ব আর ফ্রাস্ট্রেশন থেকে বের হতে না পারার দুঃখই এই পোস্টের জন্য দায়ী!]
 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।