গথ বাধা নিয়ম চাই না, চাই পরিবর্তন, আমূল পরিবর্তন... আমি দুবাই-তে জন্মগ্রহন করা বাংলাদেশি ছেলে। ১৯৯৮ সালে যখন বাংলাদেশে আসি, তখন আমার বয়স মাত্র ৮ বছর। এই দেশের নোংরা রাজনীতি বুঝে উঠার আগেই কলেজ জীবন শেষ করেছি। এই পর্যন্ত যা বুঝলাম তাতে আমি কাউকে সমর্থন ও করি না, আবার কারো বিরুদ্ধে ও যাই না। আমার কাছে যেটা সঠিক মনে হয় সেই কথাই বলি।
আমি কারো চরিত্রের সার্টিফিকেট দিতে পারব না। আবার কারো দুষ প্রমান ও করতে পারব না। তাই আমার উচিৎ এই ব্যাপার নিয়ে আমার নাকটাকে অযথা না গলানো। মানুষ যেটাকে গণজাগরণ বলছে, আমার কাছে সেটা কেবল বন্ধুদের সাথে আড্ডা, আমোদ-প্রমোদ আর গলা ছাড়িয়ে গান গাওয়া ছাড়া কিছুই নয়।
১৯৭১ সালে নিজামি, মুজাহিদ, সাঈদী, আবুল কালাম আযাদ, কাদের মুল্লা (এদের নাম মিডিয়াতে বেশি শুনেছি, তাই এদের নাম মনে আছে, আর কারো নাম জানিনা।
আশা করি এই ব্যাপারে আমার মত অনেকেই আছেন) কি করেছে, সেটা আমার জানার প্রশ্নই আসে না। তাই আমি আমার বুক ফাটিয়ে আর মুখ ফুটিয়ে বলতে পারবনা যে এরা নির্দোষ। সেই সাথে এটাও বলতে পারবনা যে এরা দোষী। যে বিষয়টা আমি জানি না সেটা নিয়ে কথা বলা কিংবা তর্ক করা আমার কাছে আহাম্মকের প্রলাপ ছাড়া কিছুই নয়। আমি তা করতেও চাই না।
আমি যদি জাতিসংঘের একজন প্রতিনিধি হিসেবে কাদের মোল্লার রায়ের বিষয়টা পর্যবেক্ষণ করি, তাহলে আমার কাছে প্রথমেই উঠে আসবে বিতর্কিত ট্রাইব্যুনাল, যা স্কাইপির মাধ্যমে সর্বত্র ছড়িয়েছে। এর পরেই মিডিয়া, যা আমাকে জানাচ্ছে এই রায় বাংলাদেশের কুনো মানুষই মেনে নেয়নি। জামাত-শিবির সহ দেশের সকল জনসাধারনের অবস্থান এই রায়ের বিরুদ্ধে। কেউ বলছে কাদের মোল্লা নির্দোষ আবার কেউ বলছে ফাঁসি চাই। বিচারকার্য মিডিয়ার অন্তরালে সম্পাদন হওয়ায় আভ্যন্তরীণ বিষয়গুলো জনসাধারনের অজানা।
আসামী পক্ষের উকিল বলছেন - ১ মিনিটের শাস্তি দেওয়ার মত সাক্ষ্য প্রমান প্রসিকিউশন দেখাতে পারেনি। আপরদিকে প্রসিকিউশন বলছে – উপযুক্ত প্রমানের ভিত্তিতে একটাতে খালাশ আর বাকি পাঁচটায় যাবজ্জীবন সাজা। দু পক্ষের আইনজীবীদের বিপরীত বক্তব্যই প্রমান করছে রায় সুষ্ঠুভাবে হয়নি। এতে এটা প্রমান হচ্ছে না, আসামী নির্দোষ নাকি দোষী।
তাই, কাদের মোল্লা যদি দোষী হন (আমি জানি না) তাহলে তাকে নির্দোষ দাবি করে স্লোগান দেয়ার পক্ষে কিংবা নির্দোষ হলে (তাও আমি জানি না) তার ফাঁসির দাবিতে স্লোগান দেয়ার পক্ষেও আমি নাই।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।