সাধারণ মানুষ
আমরা জাতিগত ভাবে জাদুঘরে যেতে খুব একটা পছন্দ করি বলে মনে হয় না। Museum of Bad Art হইলে আলাদা কথা
আমার কাছে মনে হয় পুরানা ভাঙ্গা হাড়ি-পাতিল আর পুরানা ঢাল তলোয়ার দেখার কি আছে? (ব্যালিস্টিক মিসাইল টিসাইল হইলে কথা আলাদা হইত)
জাদুঘরে গেলে আরেকটা জিনিস দেখতে পাওয়া যায় সেইটা হইল, পুরান আমলের টাকা পয়সা। (যেগুলা এখন অচল, দোকানদারকে দিলে সে আপনাকে নির্ঘাত মাইর দিবে)। আর আর্ট মিউজিয়ামে অনেক ছবি টবি থাকে।
আমি আপনাদের এরকম একটা যাদুঘরে নিয়া যাইতেছি যেইটা আলাদা কারণে বিখ্যাত (মানে কুখ্যাত)।
দুনিয়ার আজাইরা জিনিস টিনিস দিয়া তারা তাদের সংগ্রহকে সমৃদ্ধ করে থাকে।
Museum of Bad Art (MOBA) এর মূল উদ্দেশ্য হইল যেন আজিব Piece of Art গুলা পৃথিবীর বুক হইতে হারাইয়া না যায়, এর শিল্পীরা(!) যেন তাদের জথাজত (মানে যথাযথ) সম্মান পায়। তাদের মটো হইল:"Art too bad to be ignored", এইটা ১৯৯৪ সালে এইটা তৈরি হয়।
যাক কথা না বাড়াইয়া চলেন আমরা তাদের দেখি:
তাদের প্রথম কালেকশন ছিল এইটা:
তাদের কালেকশনের আরেকটা চিজ:
তাদের কালেকশন থেকে একটা বিখ্যাত (নাকি কুখ্যাত) ছবি চুরি হয় ১৯৯৬ সালে।
এর শিল্পী R Anglo Le।
এইটা চুরি হবার পর হইচই শুরু হয়। (আমার মনে হয় চোর ভুল জাদুঘরে ঢুকছিল)
জাদুঘরের কর্তৃপক্ষ প্রথমে $6.50 ডলার পুরষ্কার ঘোষনা করে, পরে তারা বুঝতে পারে কোনো বেকুবও এই টাকায় রাজি হবে না, তখন তারা এট বাড়িয়ে $36.73 করে। ১০ বছর পর চোর ফোন করে ৫০০০ ডলার চায়, জাদুঘর কর্তৃপক্ষ রাজি হয় নাই, তবে ছবিটা ২০০৬ সালে ফেরত আসে।
জাদুঘর কর্তৃপক্ষ এরপর থেকে সাবধান হয়ে যায়, তারা একটা নকল ভিডিও ক্যামেরা বসায়
তাদের আরও কয়েকটা ...
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।