সব হৃদয়ের গল্প বলি, রংধনুটাকে রং করি, নির্ঘুম চোখের কথা নিয়ে বৃষ্টির মত ঝরে পড়ি
প্রিয় ব্লগারদের জ্ঞাতার্থে বলছি কিছুদিন আগে ঘটে যাওয়া একটি সত্য ঘটনা।
.
শিরিন নামের এক গৃহবধুর কাছে গত ২৭শে মার্চ বিকাল ৪টায় তার (০১৮১৫-৫৭০ . . .) নাম্বারে ০১৮২৩-২৭৮৪৮৭ থেকে ফোন আসে। শিরিনকে বলা হয়
"একটেল গুলশান হেল্পলাইন থেকে বলছি। আপনি সেই সৌভাগ্যবান ব্যক্তি যিনি ১৪ লাখ টাকার পুরস্কার পেয়েছেন। একটেল থেকে আমরা ১০ জনকে লটারীর মাধ্যমে নির্বাচিত করেছি।
আপনি তাদের একজন। এই পুরস্কারটি পেতে হলে আপনাকে ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা খরচ করতে হবে। আপনার কি সার্মথ্য আছে ? "
তার কন্ঠস্বর ও বাচনভঙ্গি ছিল হবুহু একটেল হেল্পলাইন অপারেটরদের মত। শিরিন রাজি হলে ঐ ব্যক্তি তাকে ৩০ মিনিটের মধ্যে ৩০০ টাকার ৭ টি একটেল কার্ড নিয়ে তাকে জানাতে বলে। শিরিন কার্ড কিনে ঐ নাম্বারগুলো তাকে দেন।
এরপর ঐ ব্যক্তি তাকে ৬ টি গ্রামীন মোবাইল নাম্বার দেয় এবং প্রতিটি নাম্বারে ১ হাজার টাকা ফ্ল্যাক্সি করতে বলে। নাম্বারগুলো হল
০১৭৩৭-৬৯১৯৩৫
০১৭৩৭-৬৯১৯৩৭
০১৭৩৭-৬৬৮৯৭৭
০১৭৪৬-০০৯৯৬২
০১৭২৮-৯১৬০৩৯
০১৭৩৫-২৯৯৫৭২
এই নাম্বারগুলো দিয়ে শিরিনকে বিষয়টি গোপন রাখার জন্য বলা হয়। জানাজানি হয়ে গেলে তিনি পুরস্কার হারাবেন এবং তার ক্ষতি হবে। হেল্প লাইনের কথিক অপারেটর শিরিনের ব্যাংক এ্যাকাউন্ট নাম্বার নেয় এবং ২৯ মার্চ সকাল ৯ টায় ব্যাংকে খোজ নিতে বলে। নির্দিষ্ট তারিখে শিরিন ব্যাংকে গিয়ে দেখেন তার এ্যাকাউন্টে কোন টাকাই আসে নি।
ইতিমধ্যে শিরিন তার আত্মীয়-স্বজনকে বিষয়টি জানান। এদের মধ্যে কেউ কেউ এরকম প্রতরণার শিকার হয়েছেন। তারা শিরিনকে জানান এটি প্রতারণার ফাঁদ। বিভিন্ন সেলফোন অপারেটরের প্রতিনিধি পরিচয় দিয়ে গ্রাহকদের এভাবে নানা ধরনের লোভের ফাঁদ পেতে একটি সংঘবদ্ধ চক্র লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। শুধু শিরিন নয় এবং একটেল পরিচয়ের নয়, বিভিন্ন অপারেটরের পরিচয়ে এ ধরনের প্রতরণা করা হচ্ছে।
পরে গৃহবধু শিরিনের কাছ থেকে নাম্বার নিয়ে ফোন করা হলে এক ব্যাক্তি ফোন রিসিভ করেন। বেশ কিছুক্ষন তার সাথে অন্যান্য বিষয় নিয়ে কথা বলে তার সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তুললে তিনি স্বীকার করেন তার আসল নাম মোঃ নাসিম। তারা কয়েকজন বন্ধু মিলে এই প্রতারণার কাজটি করে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। এভাবে তারা জনপ্রতি ২০থেকে ৩০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। গ্রাহকদের কাছ থেকে পাওয়া কার্ড নাম্বারগুলো তারা পরিচিত দোকানে কম মূল্যে বিক্রি করে।
এই প্রতরণার খেলা তাদের কাছে এক ধরনের নেশাও বটে। প্রতিদিন সকাল ৮ টা থেকে রাত ১০ টা পর্যন্ত তারা নিরীহ গ্রাহক স্বীকারে নামে।
এই বিষয়ে সমস্ত ব্লগারদের সাবধান হতে অনুরোধ করছি। এবং আপনারা আপনাদের গ্রামের আত্মীয়-স্বজনদের এ ব্যাপারে সর্তক থাকতে বলবেন।
আল্লাহ হাফেজ
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।