এই দেশের ভবিষ্যত নিয়ে খুব সংকিত
ছাত্রশিবিরকে সমর্থন করেন অথবা সমর্থন করেননা এমন অনেককেই একটা কথা বলতে শুনেছি, তা হল, ১৯৭১ সালে ছাত্রশিবিরের কারও জন্ম হয়নি। সুতরাং তাদের রাজাকার হবার প্রশ্নই উঠে না। খুবই অকাট্য যুক্তি। ১৯৭১ সালে যাদের জন্ম হয়নি, তারা কিভাবে স্বাধীনতা বিরোধী হয়?
কিন্তু আমি বলব, ছাত্রশিবির রাজাকার। কেন বলব? কারণ রাজাকার বলতে আমরা বুঝি স্বাধীনতা বিরোধী।
জামায়াতে ইসলামী হল চিহ্ণিত রাজাকারদের আড্ডাখানা। এই রাজনৈতিক দলটির আবির্ভাবই হয়েছে ধর্মের আশ্রয় নিয়ে রাজাকারদের নিজস্ব দল করবার উদ্দেশ্য নিয়ে। ওরা ইসলামিক শাসনতন্ত্রের নাম ভাঙ্গিয়ে খাচ্ছে। ইসলামিক শাসনতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা ওদের উদ্দেশ্য না।
ছাত্রশিবিররা সরাসরি ওদের অনুসারী।
যারা ছাত্রশিবির করে, তারা কি জামায়াতের চরিত্র জানে না? তারা কি জানে না যে জামায়ার হল রাজাকারদের সংগঠন? অবশ্যই জানে। এবং তারা জেনে শুনে এই দল সমর্থন করেছে। যারা জেনেশুনে রাজাকারদেরকে সমর্থন দিয়েছে, যারা জেনেশুনে স্বাধীনতা বিরোধীদেরকে সমর্থন দিয়েছে, তারা অবশ্যই স্বাধীনতা বিরোধীদের দলে পড়ে। ছাত্রশিবিরদের একমাত্র উদ্দেশ্য হল ইসলামের নাম করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ত্রাস সৃষ্টি করা। সেই সাথে মনে রাখতে হবে, জামায়াতের রাজাকাররা আজ পর্যন্ত ১৯৭১ সালে তাদের কৃতকর্মের জন্য ক্ষমা চায় নি।
যারা রাজাকারদের সমর্থন করেছে, তাদের আমি রাজাকারই বলব। তাদের জন্ম ১৯৭১ সালের আগেই হোক আর পরে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।