ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন,'ছাত্রলীগেও ছাত্রশিবির ঢুকে পড়েছে। 'পত্রিকায় প্রকাশিত খবর থেকে (কালের কন্ঠ-১০-২-২০১০) জানা যায় তিনি আরো বলেন,, 'ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারটি হলে ছাত্রলীগের কমিটিতে গুরুত্বপূর্ণ পদ নিয়ে আছে ছাত্রশিবিরের চিহ্নিত কর্মীরা। ' তিনি রাজশাহীতে ছাত্রলীগ কর্মী হত্যার জন্য জামায়াত-শিবিরকে দায়ী করে বলেন, 'কিছু সুবিধাবাদী লোক আছে, যারা সুযোগের সন্ধানে সব সময় সরকারি দলে ঢুকে পড়ে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনার জন্য। '
প্রশ্ন হচ্ছে ছাত্রশিবিরের ছেলেরা ছাত্রলীগের ভিতরে ঢুকলো কিভাবে? চাইলেই কি কেউ ছাত্রলীগ কর্মী হয়ে যেতে পারে? ইচ্ছে হলেই আওয়ামীলীগে যোগ দিতে পারে? ছাত্রশিবির যদি ছাত্রলীগে ঢুকতে পারে , তাহলে ছাত্রলীগ ছাত্রশিবিরে ঢুকছে না কেন?
আমার অভিজ্ঞতা থেকে এসব প্রশ্নের উত্তর হচ্ছে যে কেউ চাইলেই ছাত্রলীগে ঢুকে যেতে পারে। কেউ চাইলেই আওয়ামীলীগে যোগ দিতে পারে।
এটাই সত্য কথা। ছাত্রলীগে যোগ দিতে হলে সে ছাত্রলীগের আদর্শে অনুপ্রাণিত কিনা তা কখনও দেয়া হয়না। সে কোন পরিবার থেকে এসেছে তাও দেখা হয়না। শুধু দেখা হয় সে কোন ছাত্রলীগ বা আওয়ামীলীগ নেতার অনুগত কিনা। ছাত্রলগি কর্মী হতে হলে আমি কাউকে কোন ফরম ফিলাপ করতে দেখিনি।
কারো সাথে কেউ যোগ দেয়ার পর তাকে সংগঠনের অংশ হিসেবে এক টুকরো কাগজও দেয়া হয় না। এসব দেয়ার নিয়ম নেই তা না। সবই আছে। কিন্তু সেসব নিয়ম পালন করা হয়না। পুরো সংগঠনই দেখা যায় কোন কোন ব্যাক্তির ইচ্ছায় চলে।
ঐ ব্যাক্তি বা কেন্দ্রীয় নেতা সন্তুষ্ট হলেই নেতা হিসেবে পদবী পাওয়া যায়। জীবনে একদিনও সংগঠনের কোন কার্যক্রমে ছিলোনা কিন্তু জেলা পর্যায়ের ছাত্রলীগের কমিটির সভাপতি হয়েছে এমন অন্তত একটি উদাহরন আমার জানা আছে।
কিন্তু ছাত্রশিবিরে তা সম্ভব নয়। ছাত্রশিবিরের সদস্য হতে হলে কাউকে কিছুদিন পর্যবেক্ষনে রাখা হয়। এরপর ধাপে ধাপে তার সাংগঠনিক পদোন্নতি হয়।
ইচ্ছে করলেই কেউ ছাত্রশিবিরে ঢুকতে পারবে না। কোন শিবির নেতা বিপদে পড়লে সংগঠন তার পাশে দাড়ায়। সে নেতা ব্যবসা শুরু করলে তার জন্য রয়েছে ইসলামিক ব্যাংকের সহজ ঋন। কিন্তু আজ কোন ছাত্রলীগ নেতা ব্যাংক থেকে কোন ঋন নিতে গেলে তার যোগ্যতা নয় উপরের নেতার সাথে তার লবিং কেমন তা বিবেচনায় আনা হবে। ছাত্রলীগ নেতারা কোন বিপদে পড়লে সাংগঠনিকভাবে তাকে সহায়তা করার কোন ফান্ড নেই।
বছরের পর বছর ত্যাগি নেতা-কর্মীরা মুল্যায়িত না হতে হতে আওয়ামীলেগের এ দূরাবস্থা তৈরী হয়েছে। তৃপ্তির ঢেকুর তোলার কোন সূযোগ নেই বিএনপির'ও। তাদের ঘারে পাড়া দিয়ে জামাত সংগঠিত হলেও সাংগঠনিকভাবে তারা আওয়ামীলীগের চাইতে মোটেও ভালো অবস্থানে নেই।
সঙগঠনকে সংগঠনের মতো চলতে না দিলে ফারুক হোসেনের মতো ছাত্রলীগ কর্র্মীর বর্বর হত্যাকান্ডের মতো আরো ঘটনা ঘটলেও আওয়ামীলীগের হয়তো কিছু করার থাকবেনা।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।