সকল মৌলিক লেখার সত্ত্ব লেখকের ।
কয়দিন আগে তসলিমা নাসরিনের “আমার মেয়েবেলা” আর “দ্বিখণ্ডিত” বই দু’টো পড়ার সুযোগ হয়েছিল। বই দু’টো পড়ে তিনি তাঁর মা বাবা আর ভাই বোনদের আর নিজের ব্যাপারে যা লিখেছেন তা পড়ে, বিশেষ করে রুদ্র, নাঈমুর রহমান খান, ইমদাদুল হক মিলন, মিনার মাহমুদ, কায়সার, পশ্চিম বঙ্গের জালাল এবং আরো অনেকের সাথে যে বিশ্রী শারিরিক সম্পর্কের কথা তুলে ধরেছেন তা পড়েই নিম্নলিখিত শংকা গুলো মনে জাগে। তাই ভাবলাম আমার চিন্তাগুলো ব্লগে সবার সাথে শেয়ার করি। অন্যান্য ব্লগারদের চিন্তা চেতনা সম্পর্কেও কিছু জানি।
সুন্দর মায়াময় এই পৃথিবীকে আমরা চাইলে যখনই খুশী জ্বালিয়ে দিতে পারি। সমাজ সংসার আর পরিবার নামক বন্ধন গুলোকে যখন ইচ্ছে পায়ের তলায় পিশে মিশিয়ে দিতে পারি।
যেমন শত মিলিয়ন বছর আগে ডায়নোসর নামক বৃহৎ প্রাণী গুলো এই পৃথিবী থেকে কোন এক কারনে ধংশ হয়ে গিয়ে ছিল। যেমন আজকের এই কালেও আধুনিক সভ্যতার তৈরি করা কিছু এটম বোমা মেরে Homo Sapience নামের এই প্রাণী গুলোকেও পৃথিবী থেকে নিশ্চিহ্ন করে দিতে পারে। তেমনি চাইলে আমরা আমাদের পারিবারিক বন্ধন গুলোকে ও নিশ্চিহ্ন করে দিতে পারি।
তেমনিই আমাদের দেশের আনন্দ বাজার পুরস্কার প্রাপ্তা নারী বাদী(?) লেখিকা তসলিমা নাসরিনের উপদেশ মতো গোল্লা থেকে ছুট দিতে গিয়ে, আপনার বা আমার মা তার মায়ের মতো যে কোন আমান কাকার দেহ তলে নিজেকে সমর্পন করতে পারে। আপনার বা আমার বাবা তার বাবার মতো যে কোন রাজিয়া বেগমের বড় বড় ওলান জড়িয়ে ধরে শু’তে পারে। আপনার বা আমার বোন তসলিমার মতো কোন লেখক মিলন নামের কাউকে নিয়ে ভারত ভ্রমন করে শরিরের স্বাদ বিলোতে পারে। আপনার বা আমার কন্যাও তার মতো কায়সার নামক কোন যুবক কে নিয়ে রাতদিন যৌন আনন্দ উপভোগ করতে পারে।
অথবা আপনি, আমিও যদি পূরুষবাদী (নারী বাদীর বিপক্ষে গিয়ে, তার মতো) হয়ে কোন তসলিমাকে সারা রাত গল্প শুনিয়ে মদ খেয়ে ভোর বেলায় আমূল পান করতে যান।
আপনার, আমার ভাইও যদি সাংবাদিক নাইমের মতো ঘরে স্ত্রী রেখে তসলিমার মতো কাউকে নিয়ে রাত কাটান । যদি উপরের এই সব ঘটনা আমাদের সবার জীবনে ঘটে, কি অবস্থা হতে পারে বিশ্বের সাড়ে ছয় শ কোটি মানুষের অস্তিত্বের ওপর?
ব্লগে লেখা আমার হয়ে ওঠেনা একটু সময় পেয়ে লিখলাম। আমার চিন্তার সাথে যে কারো চিন্তার অমিল থাকতে পারে, সবার মতকেই সম্মানের চোখে দেখাটাই ভালো লাগে। আমি শুধু আমার চিন্তা আর শংকাটাই লিখলাম।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।