বিডিআর হত্যাকান্ড জোয়ানদের কাজ নয়, এটা এখন জলবৎ তরলং। হাইলি প্রফেশনাল এবং হাইলি স্কিল্ড একদল খুনীকে একাজে ব্যবহার করেছে সেই চক্র। সম্ভবত: তাদের মহাপরিকল্পনার সামান্য অংশ মাত্র মঞ্চায়িত হলো। নাটকের আরো সিকুয়েন্স হয়তো এখনো বাকি!
অবস্থাদৃষ্টে যা মনে হচ্ছে, ষড়যন্ত্রকারীরা যেভাবে যা চেয়েছে, তাই হয়েছে। এখনো হচ্ছে।
প্রাথমিকভাবে তাদের মিশন সফল। খুনী চক্র যারাই হোক, তাদের মূল উদ্দেশ্য অফিসার খুন করা নয়, এটা উপায় মাত্র। উদ্দেশ্য আরো দুরে।
মূল উদ্দেশ্য হাসিল করার জন্য এটা একটা কাভার হতে পারে। সবাইর মনোযোগ এদিকে ভিড়িয়ে কার্যসিদ্ধি।
অবশ্য মৃত অফিসাররা সেই কার্যসিদ্ধিতে জীবিত অফিসারদের চেয়ে অনেক উপযোগী। খুনের সাথে নৃশংতা মিশিয়ে জলঘোলা করতে চাওয়া হয়েছে, যাতে কোনো ভাবেই ক্ষমা করা না হয় জোয়ানদের, সব ঘৃণা গিয়ে পড়ে জোয়ানদের ওপর...এককথায় বিভক্তি তৈরি।
এই বিভক্তি সাধারন ব্যাপার না বিরাট গোলযোগের দিকে দেশকে ঠেলে দেয়ার জন্যে যথেস্ঠ। কুচক্রের পরিকল্পনা মাফিকই সব হচ্ছে, বিভক্তির চুড়ান্ত হয়েছে, লেজগোবরে একটা অবস্থা তৈরি করছে রাজনৈতিক দল, জণগণ মিলে। হয়তো এসব দেখে হাসছে ঘাতকের দল।
তারা চেয়েছে ঘটনার আকস্মিকতায়, চমকতায় বিহ্বল, হতদ্যোম, শকড, ঘৃণা...ইত্যাদি এসবের সুবাদে, আসল অপরাধী এতোক্ষণে চলে গেছে হয়তো অনেক দুরে। আরো বোকামী করলে হাতের নাগাল ছাড়িয়েও চলে যেতে পারে।
এখন প্রশ্ন, কারা এই ষড়যন্ত্রকারী?কাদের স্বার্থ জড়িত এই ঘটনার সাথে?উত্তরটা হয়তো আমাদের হাতের কাছে। দরকার সুচিন্তিত, নিরপেক্ষ, স্বচ্ছ তদ্ন্ত। তাতে কিছুটা হলেও বের হয়ে আসবে অপরাধীর পরিচয়।
সন্দেহের বৃত্তের চক্রবৃন্দ:
যুদ্ধাপরাধী জামাত গোষ্ঠী...যারা পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থার সাহায্যে এমন তৎপরতা চালাতে পারে, কারন যেহেতু বিচার প্রক্রিয়া জোরদার হচ্ছিলো। এধরনের নৃশংস খুন এই চক্রের পক্ষে ডাল-ভাত।
ভারত-ভিত্তিক চক্র। সীমানা অরক্ষিত এবং দূর্বল হয়ে পড়লে তাদের বিরাট লাভ। তাছাড়া দেশ অস্থিতিশীল হয়ে পড়লেও আখেরে লাভ তাদেরই।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।