আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সেনাবাহিনী বিদ্বেষ এবং আমার কিছু কথা....

দিন বদলের ইশতেহার> ডিজিটালনামা।

বাংলাদেশের প্রায় অনেক মানুষ হুজুগি! তাদের আয়োডিনের অভাব আছে। সাধারনত আওয়ামীপন্হিরা আর্মি বিদ্বেষী ৭৫রের ঘটনার জন্য আর বি.এন.পি গত ১/১১ এর পর থেকে আর্মি এলার্জিতে ভুগতেছে। এসব আওয়ামীলীগ বি.এন.পি পন্হিদের উচিত একটু ঠান্ডা মাথায় ভাবা যে আমার কি বলছি কার বিরুদ্ধে বলছি. সেনাবাহিনী একটা প্রতিষ্টান দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের প্রতিক। তাদের মধ্যে খারাপ লোক থাকতে পারে তাদের বিচার হওয়া উচিত আইন অনুযায়।

কিন্তু আমরা কিভাবে সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধীতা করি? বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধীতা করবে ভারত, বার্মা, নেপাল, ভুটান, পাকিস্তান। কিন্ত অতি আশ্চর্যের বিষয় হলো বাংলাদেশের মিড়িয়া এবং বুদ্ধিজীবি মানুষেরা সেনাবাহিনীর অনেক ভালো কাজের প্রচার করে না! একবার চিন্তা করুন যদি ১/১১ এর সময় সেনাবাহিনী না থাকতো তাহলে কি হতো? অবশ্যই গৃহযুদ্ধ। ৭১রে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় কি এ সেনাবাহিনী কিছু করে নাই? পাকিস্তান সেনাবাহিনী থেকে কারা বিদ্রোহ করে ছিলো? কিসের মায়াই? অনেক বলে সেনাবাহিনী ক্ষমতা দখল করেছে কিন্তু কেন? আমাদের রাজনীতিবিদেরা বাংলাদেশের সুচনা লগ্ন থেকেই ব্যর্থার পরিচয় দিয়েছে। তা হয়তো অনেকে অস্বীকার করবে কিন্তু সত্যাটা কি? ১/১১ তে যদি রাজনীতিবিদেরা আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করতো তাহলে কি সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপ করার সুযোগ ছিলো কি? স্বাধীনতার পর থেকে তো আমাদের রাষ্টপতি বা প্রধানমন্ত্রীরা ব্যর্থ হয়েছে তাই বলে কি আমাদের বলতে হবে যে রাষ্টপতি এবং প্রধানমন্ত্রী নামের পদ বা প্রতিষ্ঠানিক ভিত্তিটা কে বিলুপ্ত করো? কোন ভাবেই না। প্রত্যকটা দেশেরই স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের প্রতিক থাকে আর সে প্রতিক গুলোর অন্যতম হলো সেনাবাহিনী।

কিছু ব্যক্তি বা গোষ্টি সমূহের কারনে একটা প্রতিষ্টানের বিরুদ্ধতা করা আর নিজেদের পায়ে নিজেরা কুড়াল মারার সমান। আমাদের প্রতিবেশী অনেক দেশেই চায় না বাংলাদেশে কোন সেনাবাহিনী থাকুক। এ সত্যের প্রমান ইতিহাসে আছে। কিন্তু বঙ্গবন্ধু সে পথে পা দেন নাই। হয়তো কেউ বলবেন যে সে ভুলের কারনে তার প্রান বিসর্জন দিতে হয়েছে।

সত্য কি তাই? না পুরা প্রতিষ্টান বা সেনাবাহিনী বঙ্গবন্ধু কে হত্যা করে নাই। বরং রক্ষা করতে গিয়ে তাদের অনেকে প্রান ও দিয়েছে। সে হত্যা কান্ডের পিছনে কি রাজনীতিবিদেরা জড়িত ছিলো না? আমরা ব্যক্তি বা কিছু সংঘবদ্ধ মানুষের অন্যায়ের বিচার চাইতে পারি। কিন্তু কোন ভাবেই সে প্রতিষ্টানের প্রতি বিদ্বেষ প্রকাশ করে বা তা বিলুপ্তির ষড়যন্ত্রে গা ভাসিয়ে নয়। বাংলাদেশের অনেক পন্হার অতি বুদ্ধিমানেরা চায় ভুটানের মতো স্বাধীন থাকতে।

সে রকম স্বাধীনতার জন্য তো বীর শ্রেষ্টরা প্রান দেয় নি। তারা সবাই কি সিভিলিয়ান ছিলো? আমি নিজস্ব চিন্তা থেকেই পোষ্টি লিখেছি। হয়তো অনেক ভুল হতে পারে তাই বলে আমাকে আইপি সহ ব্যান করার আবেদন নিশ্চয় করবেন না...

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।