আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

যমুনা গ্রুপ চেয়ারম্যানের উদ্ধত আচরণে বিব্রত মন্ত্রী

যমুনা গ্রুপের চেয়ারম্যান নূরুল ইসলাম বাবুলের উদ্ধত আচরণে বিব্রত হলেন যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। আর বাবুল ও তার লোকজনের তোপের মুখে পড়ে নাজেহাল হলেন ঢাকা সিটি করপোরেশনের (ডিসিসি) কর্মকর্তারা। রাজধানীর প্রগতি সরণি থেকে বারিধারার বসুন্ধরা মোড়ে যানজট পরিস্থিতি সরেজমিন দেখতে এসে গতকাল বিব্রতকর অবস্থায় পড়েন যোগাযোগমন্ত্রী। পরিদর্শনের প্রতিটি মুহূর্ত পাশে থেকে বসুন্ধরা ক্রসিং বন্ধ করার রব তুলে মন্ত্রীর কান ঝালাপালা করে ছাড়েন যমুনা গ্রুপের চেয়ারম্যান বাবুল। মন্ত্রী স্বয়ং বারবার তাকে থামানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন।

হঠাৎ বসুন্ধরা ক্রসিং বন্ধ করা ঠিক হবে না বলে মত দিলে সেখানে উপস্থিত ট্রাফিক পুলিশ এবং ডিসিসির কর্মকর্তারাও পড়েন বাবুলের তোপের মুখে। কেউ কেউ নাজেহালও হন বাবুলের লোকজন দ্বারা। ডিসিসি উত্তরের প্রধান প্রকৌশলীকে নাজেহাল করেন এবং তাকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেন যমুনা গ্রুপের প্রকৌশলী এরশাদ। পরে সব মহলের প্রতিনিধিদের নিয়ে সভা করে সমস্যা সমাধানের নির্দেশ দিয়ে চলে যান মন্ত্রী। এদিকে বসুন্ধরা ও আশপাশ এলাকায় যানজট নিরসনে আজ বৈঠক আহ্বান করেছে ডিসিসি।

বৈঠকে যানজট নিরসনের উপায় বের করতে আলোচনা হবে। ডিসিসি উত্তর গতকাল এ বিষয়ে নোটিস জারি করে।

সূত্র জানায়, প্রগতি সরণি-কুড়িল সড়কের পাশে মার্কেট ও ফিউচার পার্ক নির্মাণ করে যমুনা গ্রুপ। কিছু দিনের মধ্যেই উদ্বোধন করা হবে এ মার্কেট ও পার্ক। তবে মার্কেট ও পার্কে আগতদের যাতায়াত নির্বিঘ্ন করতে আগাম কোনো ব্যবস্থা নেয়নি যমুনা গ্রুপ।

বরং উল্টো বসুন্ধরা ক্রসিং বন্ধ করতে উঠেপড়ে লেগেছেন যমুনা গ্রুপের চেয়ারম্যান বাবুল। এক ধরনের চাপে পড়েই কাল বসুন্ধরা মোড়ে যানজট পরিস্থিতি দেখতে আসেন যোগাযোগমন্ত্রী। বেলা সাড়ে ১০টায় তার আসার কথা ছিল। তবে এর আগে থেকেই বসুন্ধরা ক্রসিংয়ে নিজস্ব লোকজন নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকেন বাবুল।

সরেজমিনে দেখা গেছে, বেলা পৌনে ১১টার দিকে গাড়িযোগে বারিধারায় বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার প্রধান গেটের পাশে মূল সড়কে আসেন যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

গেটের ভেতরে না ঢুকে মূল সড়কে দাঁড়িয়ে কথা বলেন তিনি। মন্ত্রী গাড়ি থেকে নামার পরই যমুনা গ্রুপের চেয়ারম্যান বাবুল তার লোকজন নিয়ে ঘিরে ধরেন তাকে। এখানে বাবুল আধঘণ্টা আগে থেকেই অপেক্ষা করছিলেন। মন্ত্রীর সঙ্গে কথার শুরুতেই বসুন্ধরা ক্রসিং এখনই বন্ধ করে দিতে হবে বলে দাবি তোলেন বাবুল। বারবার এ দাবির কারণে বিব্রত বোধ করেন মন্ত্রী।

তিনি বারবার হাত নাড়িয়ে বাবুলকে থামার ইঙ্গিত দেন। এতেও বাবুল ক্ষান্ত হননি। কড়া রোদে দাঁড়িয়ে এ সময় মন্ত্রী বক্তব্য দেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু মন্ত্রী মুখ থেকে কথা বের করতে না করতেই বাবুল তাকে থামিয়ে দিয়ে নিজেই বলতে থাকেন। এ পরিস্থিতিতে কমবেশি অস্বস্তি বোধ করেন উপস্থিত সবাই।

মন্ত্রীর একেবারে কাছ ঘেঁষে দাঁড়িয়ে বাবুল বলেন, 'আপনি এসেছেন তাই যানজট দেখা যাচ্ছে না। পুলিশও বেশি তৎপর। এটা পরিকল্পনা করেই করা হয়েছে। এখানে মাইলের পর মাইল যানজট হয়। এই বসুন্ধরা ক্রসিং বন্ধ করে দিলে এক সেকেন্ডের জন্যও যানজট থাকবে না।

' ঘর্মাক্ত যোগাযোগমন্ত্রী এ সময় স্বভাবসুলভ ভঙ্গিতে হাত নেড়ে বাবুলকে বোঝানোর চেষ্টা করেন, সমস্যার সমাধান হবে। আর এ জন্যই তিনি এসেছেন।

এ সময় এখানকার যানজট নিরসনে সমন্বিত উদ্যোগের ওপর জোর দেন উপস্থিত ট্রাফিক উত্তর জোনের উপ-পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ রুহুল, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রশাসক আখতার হোসেন ভূঁইয়া, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বি এম এনামুল হক ও প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আবুল খায়ের। সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তারা বসুন্ধরা ও আশপাশের সড়কের নকশা তুলে ধরেন মন্ত্রীর সামনে। তখন যমুনা গ্রুপের চেয়ারম্যান বাবুল নকশায় চিহ্নিত বসুন্ধরা ক্রসিং বন্ধ করে দেওয়ার জন্য আবারও দাবি জানান।

একই কথা বাবুল এমনভাবে বারবার বলছিলেন যে উপস্থিত সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তারাও এতে বিরক্ত হন। তার কথায় সবাই বিরক্ত হচ্ছেন তা অবশ্য একসময় বুঝতে পারেন বাবুল। এ সময় তিনি মন্ত্রীকে বলেন, 'আমি আর এক সেকেন্ড কথা বলব। তাহলেই আমার কথা শেষ হয়ে যাবে। বসুন্ধরা ক্রসিং বন্ধ করে দিলে এক সেকেন্ডের জন্য যানজট থাকবে না।

' বাবুলের এমন বক্তব্য শোনার পর একপর্যায়ে যোগাযোগমন্ত্রী বলেন, 'এ সমস্যা সমাধানের জন্যই তো এখানে এসেছি। '

বাবুলের উপর্যুপরি দাবির একপর্যায়ে উপ-পুলিশ কমিশনার রুহুলকে বসুন্ধরা ক্রসিং স্বল্পসময় বন্ধ রেখে যানজট কমে কি না তা দেখার নির্দেশ দেন যোগাযোগমন্ত্রী। বাবুল তখন মন্ত্রীকে উদ্দেশ করে বলেন, 'আপনি না এলে এটা হতো না। আপনার এ নির্দেশে মানুষ খুশি হবে। ' এ সময় সিটি করপোরেশনের একাধিক কর্মকর্তা হঠাৎ এ ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়া সমীচীন হবে না বলে যোগাযোগমন্ত্রীকে জানান।

সেখানে উপস্থিত ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী আবুল খায়ের বলেন, 'এ পথে কত-সংখ্যক গাড়ি চলাচল করে এর ওপর একটি সমীক্ষা চালিয়ে সবাইকে একসঙ্গে নিয়ে বসে তবেই উপায় বের করতে হবে। রাস্তার ওপর কী লোড পড়ে তা তো আমরা জানি না। তা দেখতে হবে। '

আবুল খায়েরের এ বক্তব্য শুনে বাবুল উত্তেজিত হয়ে বলেন, 'এলাকার মানুষের দাবি_ বসুন্ধরা ক্রসিং বন্ধ করে দেন। কুড়িল ফ্লাইওভারের সামনে দিয়ে ঘুরে লোকজন বসুন্ধরায় ঢুকবে।

আমার মার্কেট চালু হলে মানুষ মার্কেটে যেতে পারবে না। তখন কী হবে?'

এ সময় পাশে উপস্থিত স্থানীয় এক বাসিন্দা বাবুলকে উদ্দেশ করে বলেন, 'ওভারপাস বা আন্ডারপাস করুন, সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। ' এ প্রস্তাব শুনে বাবুল কোনো জবাব দেননি।

এরপর মন্ত্রী মূল সড়ক পার হয়ে বসুন্ধরার গেট দিয়ে ঢুকে পাশে অবস্থান নেন। এ সময় অর্ধশতাধিক ব্যক্তি মন্ত্রীকে ঘিরে ধরেন।

তবে বাবুল একমুহূর্তের জন্যও মন্ত্রীর পাশ ছাড়েননি। মন্ত্রীর পাশে দাঁড়িয়ে বাবুল তখনো তীব্র যানজট হয়, বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার লোকজন কষ্টে আছে, এখনই বসুন্ধরা ক্রসিং পুরোপুরিভাবে বন্ধ করতে হবে বলে বক্তব্য দিতে থাকেন। মন্ত্রী এ সময় বলেন, 'আমি আগামী ৯ তারিখ আবার আসব। ' মন্ত্রী আরও বলেন, 'সমাধানের লং টার্ম ও শর্ট টার্ম প্রসেস আছে। তবে শর্ট টার্ম প্রসেসই গ্রহণ করতে হবে।

কারণ মানুষের দুর্ভোগ কমাতে হবে। বসুন্ধরা ক্রসিং বন্ধ করে ট্রায়াল করা যায়। এ ছাড়া বিকল্প কী ব্যবস্থা নেওয়া যায় তা বের করবে ট্রাফিক পুলিশ ও ডিসিসি। ' এ সময় ডিসিসি উত্তরের প্রশাসক আখতার হোসেন মন্ত্রীকে বলেন, 'সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে বসুন্ধরা গ্রুপের প্রতিনিধির মতামত নেওয়া দরকার। ' ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন ও ট্রাফিক পুলিশ কর্মকর্তারা তখন সভার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রস্তাব করেন।

ঢাকা সিটি করপোরেশনের প্রশাসক আখতার হোসেনকে কাছে ডেকে নিয়ে মন্ত্রী জিজ্ঞেস করেন, 'কবে সভায় বসছেন আপনারা?'

ডিসিসি উত্তরের প্রশাসক জবাবে মন্ত্রীকে বলেন, 'বৃহস্পতিবারই সভায় বসব। আজ নোটিস করে দেব। ডিসিসি, পুলিশ, বসুন্ধরা ও যমুনা গ্রুপের প্রতিনিধিরা সভায় থাকবেন। '

মন্ত্রী তখন বলেন, 'কুড়িল ফ্লাইওভার, মিরপুর-বিমানবন্দর সড়কে ফ্লাইওভার হওয়ায় যানজট কমেছে। গুলিস্তান-যাত্রাবাড়ী ফ্লাইওভার উদ্বোধন হয়ে যাবে।

আমাদের বিভিন্ন সংস্থার মধ্যে পরিকল্পনা ও সমন্বয় নেই। এ জন্য সামান্য কারণে ভয়াবহ যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। ফুটপাতও দখল হয়ে যাচ্ছে। এ এলাকা সিটি করপোরেশনের মধ্যে। এখানে আমার কাজ নেই।

ডিসিসি ও পুলিশ মূল কাজ করবে। তবে আমি এখানে জাতীয় সড়ক নিরাপত্তা কাউন্সিলের চেয়ারম্যান হিসেবে এসেছি। যানজটের দায় আমি এড়াতে পারব না। ' প্রায় ৪০ মিনিট ওই এলাকায় অবস্থান করেন মন্ত্রী। এরপর বেলা ১১টা ২৬ মিনিটে তিনি বসুন্ধরার গেট পার হয়ে সড়কের ওপারে গিয়ে নিজের গাড়ির কাছে যান।

তখনো বাবুল মন্ত্রীর পেছন পেছন হাঁটতে থাকেন। মন্ত্রী দ্রুত গাড়িতে উঠে তবেই যেন রেহাই পান।

যোগাযোগমন্ত্রীর পরিদর্শনকালে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. কুদরত উল্লাহ, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আবদুর রাজ্জাক, নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান, অঞ্চল-৩-এর নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুর রহমান প্রমুখ।

'কার লগে লাগছস বুঝছ নাই' : মন্ত্রী চলে যাওয়ার পর ডিসিসি উত্তর প্রশাসক আখতার হোসেন ও প্রধান প্রকৌশলী আবুল খায়ের পড়েন যমুনা গ্রুপের চেয়ারম্যান বাবুলের তোপের মুখে। রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে বাবুল তাদের তখনই বসুন্ধরা ক্রসিং বন্ধ করতে বলেন।

তিনি বলেন, 'মন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন। বন্ধ কইরা দ্যান। ' তখন কর্মকর্তারা বলেন, 'সভার পর সিদ্ধান্ত হবে। ' এ সময় বাবুল খেপে যান। তখন বাবুলকে লক্ষ্য করে ডিসিসির প্রধান প্রকৌশলী আবুল খায়ের বলেন, 'আপনি নির্দেশ দেওয়ার কে?' বাবুল তখন বলেন, 'এতক্ষণ ভালোভাবে বলছি।

আমাকে চিনছ না?'

তখন ডিসিসি প্রশাসকের মধ্যস্থতায় পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হয়। বাবুল রাস্তায় দাঁড়িয়ে প্রায় ছয় মিনিট তর্ক করেন ডিসিসির প্রধান প্রকৌশলীর সঙ্গে। বাবুল চলে যাওয়ার পর আবুল খায়েরের দিকে তেড়ে আসেন তার সহযোগী যমুনা গ্রুপের প্রকৌশলী মো. এরশাদ হোসেন। খায়েরকে শাসিয়ে এরশাদ বলেন, 'কার লগে লাগছস বুঝছ নাই। বাবুল ভাইয়েরে চিনছ না? তোর অবস্থা তো এক্কেবারে খারাপ হইয়া যাইবগা।

'

সমবেত লোকজন এরশাদকে তখন হাত ধরে টানতে টানতে সেখান থেকে সরিয়ে নিচ্ছিলেন। খায়েরকে এরশাদ তখনো বলছিলেন, 'তোর অবস্থা খারাপ হইয়া যাইবগা। তুই শ্যাষ হইয়া যাবি। ' এ ব্যাপারে জানতে চাইলে এরশাদ বলেন, 'ডিসিসির ওই কর্মকর্তাকে আমি চিনি না। তার আচরণ খারাপ ছিল।

'

ডিসিসি কর্মকর্তা আবুল খায়ের বলেন, 'নিয়ম মেনে কাজ করতে গিয়ে এই আচরণ দেখতে হলো। '

'ফাটাইয়া দিয়েন' : মন্ত্রী আসার আগে থেকেই রাস্তায় দাঁড়িয়ে অপেক্ষায় ছিলেন যমুনা গ্রুপের চেয়ারম্যান এন ইসলাম বাবুল। তিনি বসুন্ধরা ক্রসিংয়ের সামনে এসে দেখতে পান কোনো যানজট নেই। পুলিশ কর্মকর্তারাও তৎপর। এ সময় ক্ষুব্ধ হয়ে বাবুল মুঠোফোনে একজনকে বলতে থাকেন, 'সিনিয়র পুলিশ অফিসাররা দাঁড়ায়া আছে।

এখানে ব্যারিয়ার নাই। মন্ত্রীর জন্য দাঁড়ায়া আছি। মন্ত্রী আইস্যা এখন কী দেখব? এখন তো আগের মতো যানজট দেখা যাইতাছে না। '

আকাশি রঙের গেঞ্জি ও নীল জিন্স প্যান্ট পরা বাবুল একপর্যায়ে ফোনে বলেন, 'আজ ফাটাইয়া লেইখ্যা দিয়েন। '

আজ বৈঠক : প্রগতি সরণি-কুড়িল বিশ্বরোড অংশে যানজট নিরসনে আজ বেলা ২টায় রাজধানীর গুলশানে নগর ভবনে বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।

এ ব্যাপারে ডিসিসি উত্তরের প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুল খায়ের বলেন, 'আমরা বৈঠকে বসুন্ধরা ও যমুনা গ্রুপের প্রতিনিধিদের উপস্থিত থাকতে বলেছি। বৈঠকের পর সিদ্ধান্ত হবে। আমরা সরকারি সড়ক কোনোভাবেই হঠাৎ বন্ধ করতে পারি না। আমরা সারা দিন বসুন্ধরা এলাকা ও আশপাশে সরেজমিন পরিদর্শন করেছি। যানজট নিরসনে কী কী বিকল্প ব্যবহার করা যায় তা আমরা দেখছি।

'

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বি এম এনামুল হক বলেন, 'আমরা এ সমস্যার সমাধান চাই শান্তিপূর্ণভাবে। হুট করেই রাস্তা বন্ধ করা যাবে না। কারণ এ পথ দিয়ে অ্যাপোলো হাসপাতাল, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নগরবাসী যাতায়াত করেন। আমরা মন্ত্রীকে বুঝিয়েছি, বসুন্ধরা ক্রসিং বন্ধ করলে যদি ফল না হয় তাহলে হঠাৎ বন্ধ করা ঠিক হবে না। তবে ডানে টার্ন নেওয়া বন্ধ করা যায়।

পথ খোলা থাকবে, না বন্ধ রাখা হবে, এটি ঠিক করতেই আমরা সভায় বসছি। ওয়াসা, ঢাকা মহানগর পুলিশ, বসুন্ধরা গ্রুপ, যমুনা গ্রুপের প্রতিনিধিরা এতে থাকবেন। '

 

 

সোর্স: http://www.bd-pratidin.com/

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।