অতীত খুড়ি, খুঁজে ফিরি স্বজাতির গুলিবিদ্ধ করোটি
মহল্লা গরম। কেমনে কি! বহুত কিছু হয়া গেছে। যেই মুহূর্তে ব্লগাররা যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে তাদের কার্যক্রমরে একটা উচ্চতায় নিয়া গেছে (২ লাখের উপর স্বাক্ষর, আরো ১০ লাখ টার্গেট) তখনই সামহোয়ার ইন ব্লগে দেখি তুলকালাম। আন্দোলন বিষয়ক ঐক্যে অবশ্য এরই মধ্যে একটা ফাটল দেখা দিছে যা সূক্ষ চিড় বলা যায়। কিন্তু এইটা অচিরেই পুরা ব্যাপারটা কাচাইয়া দিতে পারে বইলা আমার বিশ্বাস।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবির সঙ্গে ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবি যোগ হওয়াতে কিছু ব্লগার ইতিমধ্যে তীব্র আপত্তি জানাইছেন। তবে তারচেয়ে বড় হইয়া দাড়াইছে অনেক ক্যাচাল কইরা সাধারণ ব্লগারদের সমর্থন ও সহযোগিতায় সামহোয়ার ইন ব্লগে মুক্তিযুদ্ধের পোস্ট বিষয়ক নীতিমালা যারা আদায় করছে, তাদের অন্যতম এক ফাইটারের উৎখাত। এ-টিমে এই একটাই লোক ছিলো যে কিনা কোনো কালে দ্বিতীয় নিক ব্যবহার করে নাই। (টেকনিকালি কথাটা যদিও ঠিক না, কারণ তার পুরা নামের নিকটা স্থগিত ছিলো কিছু দিন যে সময়টায় তিনি পদবী বিসর্জন দিয়া ফাস্ট নেমে ব্লগাইছেন, কিন্তু এ-টিম অপারেশনে কখনোই না। )
মূলত সামহোয়ারে স্বাধীনতা বিরোধী পোস্ট ও সেগুলোর রচয়িতাদের প্রতিরোধের জন্য এ-টিমের জন্ম হইছিলো।
এমনকি এইসব পেইড ব্লগারদের ভাই-বেরাদর মানে পৃষ্টপোষকরাও বাদ যায় নাই। ২০০৭ সালের শেষ দিকে যখন নীতিমালা বিষয়ে স্বাধীনতা বিরোধী পোস্টের ব্যাপারে কর্তৃপক্ষের সুস্পষ্ট ঘোষণা পাওয়া গেলো, তখন এ-টিম নেহাতই অতীতের খাতায় নাম লেখাইলো। এখন ছাগুরাম ও তার মতোদের দেখলে সাধারণ ব্লগাররাই লাঠি হাতে দৌড়াইয়া আসে। এ-টিমের প্রয়োজনীয়তা নাই। তবে টিমে যারা ছিলেন তাদের ব্যক্তিগত ক্যাচালগুলোরে দলীয় পরিচিতি দেয়ার একটা প্রবণতা সবসময়ই লক্ষ্য করা গেছে।
সেইটা যথারীতি ব্লগনোটের মাধ্যমে অস্বীকারও করা হইছে। কারণ রাজাকারিতা প্রতিরোধের বাইরে হিজ হুজ সিস্টেম চালু ছিলো। যদিও ব্রাদার্স ইন আর্মসের সূত্র মতে কেউই কাউরে কখনোই একা মাইর খাইতে দেয় নাই। দিবেও না।
সরকারীদলে সবসময়ই গুন্ডাপান্ডা থাকে।
তাদের ব্যবহার করা হয় বিরোধী পক্ষরে দমানোর জন্য। এদের নাড়ি বাধা থাকে কর্তৃপক্ষের কাছে। সুবাদেই তাদের দুই নম্বরীগুলান বরাবরই নীতিমালার ম্যাগনিফাইং গ্লাসেও অদৃশ্য থাইকা গেছে স্বার্থের প্রশ্রয়ে। মজার ব্যাপার হইলো এ-টিম অপারেশনাল অবস্থায় কি করছে না করছে সেইটা ব্লগের সবাই জানে। এখন কেউ যদি চুরি কইরা শুইনা আইসা বলে কেডায় কি করছে আমি সব জানি, তারে লোকে বাহবা দিবো নাকি চোর কইবো সেইটা লোক মানসিকতার উপর নির্ভর করে।
তয় চোরে যদি কই সাবধান সব কইয়া দিমু, তার বালখিল্যতা নিয়া হাসুম না কান্দুম। ক'না, বাড়াইয়া বুড়াইয়া হইলেও ক, লোকে জানুক কেমনে কি! এ-টিমের কোনো ই-বুক বাইর করার ইচ্ছা নাই। তয় কেউ যদি সেরম কিছু বাইর কইরা ক্রেডিট নিতারে নিক না। মাগনা প্রচারে লসাছে নিকি?
যখনই কুনু কাহিনী ঘটে, তখনি দেখা যায় সেই কাহিনী নিয়া লোকমুখে আরো কাহিনী রটে। এমনই একটা কাহিনী হইলো কুন কুটিপতি ব্লগার নিকি টেলিটকে ঝড় উঠাইতেছিল কয়দিন ধইরা।
যারা তার পয়সায় কেক-বিস্কিট খাইছে, যারা তার অফিসের থিকা দুই পেগ হুইস্কির ট্যাকা লইয়াছে, যারা তার জীবনি ই-বুক বাইর করার কন্ট্রাক্ট সই করছে, যারা মগবাজারী ভাতার সম্পূরক হিসাবে কয়েক থোক দু্বাই ডলার নিয়া তারে পুনর্বাসিত করার শপথ নিয়াসছে- সবারই কান জাম। এত দেরি ক্যান? শুধু ব্লগার না, এই লুক পুরা ব্লগ কিনার ক্ষমতা রাখে। তারে তুয়াজ না করাটা অবশ্যই সেরম বিয়াদবী। সে কারণে নাকি সিনেমার চিত্রনাট্য করা হইছে সিস্টেমিটেকালি। হে আইবো, ব্লগের নানা খাতে দেশী-বিদেশী মুদ্রায় অনুদান হবে- এমন অর্থকরী প্রস্তাবনাও নিকি সংযু্ক্ত হইছে টেলিটকে।
ব্যবসায় কেডা কার বাপ, কেডা পুলা! তো তুমি ব্যান সেও ব্যান, তুমিও ফিরো, সেও ফিরুক, ব্লগে শান্তি- এরম একটা স্পেশাল ট্রাইবুনালের রায় নিকি সকালে ঘোষিত হবে। পাবলিক যে কতো গপ্পো বানাইতারে, আল্লারে!
তাও ভালো তারা কয় নাই যে এই বিজনেস ডিলে চলমান আন্দোলনটাও অন্তর্ভুক্ত হইছে। নানা ঘিরিঙ্গিতে সেইটারে ফার্দাফাই কইরা দেওয়া হবে। হাসিনা বিচার করুক না করুক, সামুতে সব বন। যেইডি ফালায় সেইডিরেই আগে সাইজ।
পাবলিক!কথা কথা বলেরে!!!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।