কাঙাল জানিয়া বাবা দিও দরিশন, অধম জানিয়া বাবা দিও দরিশন.....
আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙ্গানো
একুশে ফেব্রুয়ারী
আমি কি ভূলিতে পারি।
পৃথিবীতে মায়ের ভাষার জন্য আত্নদানকারী আর কোন দেশ নেই। তাহলে বুকে হাত রেখে আমরা বলতে পারি বাংলাদেশ ভাষা শহীদের দেশ। বাংলা আমার প্রাণের ভাষা, হ্নদয়ের অহংকার।
আজ একুশে ফেব্রুয়ারী....মাতৃ ভাষা দিবস।
পাশাপাশি আন্তজার্তিক মাতৃভাষা দিবস হিসাবে স্বীকৃতি পেয়েছে বাংলাদেশ। তবে এখানে আমার একটা দ্বিমত আছে। কেন জানি মনে হয়, যখন ২১শে ফেব্রুয়ারী শুধু ভাষা দিবস ছিল তখন সারাটা বছর এই একটি দিনের জন্য অন্তরে ফুল লালন করতাম। কিন্তু আন্তজার্তিক মাতৃভাষা দিবস হিসাবে স্বীকৃতির পর কোথায় যেন প্রাণের টানটা আগের মতো অনুভব করিনা। কারণ ইন্টারনেট আর ডিজিটালের এই সময়ে এসে প্রতি মূহুর্তে পৃথিবীর অন্য দেশের খবর পেয়ে যাই এসব ডিজিটালের কারনে।
কিন্তু আজ টিভি আর ইন্টারনেটে বসে দেখলাম ইউরোপ থেকে আমেরিকা, দক্ষিন কোরিয়া থেকে ভারত।
শুধু ভারতের ১/২টা টিভি চ্যানেল ছাড়া কোথাও দেখলাম না আন্তজার্তিক মাতৃভাষা দিবসে কৃত্রিম শহীদ মিনারে ফুল দিতে। কিংবা আলোচনা সভা করতে। বেসরকারী একটি টিভি চ্যানেলে দেখলাম লন্ডনে শহীদ মিনারে বাংলাদেশের প্রবীন ও বর্তমান প্রজন্মের গুটি কয়েক লোক শহীদ বেদীতে পুস্প স্তবক অর্পন করতে।
বড় আফসোস হলো।
আমরা যেখানে বিশ্বের বড় বড় দেশ হতে প্রাপ্ত আন্তজার্তিক দিবস নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ি। প্রাচ্য থেকে আগত বিশ্ব ভালোবাসা দিবসের মতো দিবস নিয়ে রাত দিন পাড় করে দেই। সেখানে মায়ের ভাষার জন্য আত্ন ত্যাগকারী সালাম, রফিক, বরকত, জব্বারসহ নাম না জানা ভাষা শহীদদের কে যদি শুধুই মাতৃভাষা ও একুশে ফেব্রুয়ারীতেই সীমাবদ্ধ রাখতাম।
তাহলে সেখানে আমাদের শ্রদ্ধা , ভালোবাসা, আবেগ আর আগ্রহ থাকতো আর বেশী।
জানি নি আমার মতো এক বাঙ্গালীর এই আবেগ মাখা কথাগুলো এ সময়ে কতটুকু গ্রহনযোগ্য।
সবাইকে একুশের লাল শুভেচ্ছা।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।