অনেকদিন ধরেই ভাবছিলাম আমরা ঝালকাঠি স্কুলের ৯৯ ব্যাচের ছাত্র যারা ঢাকাতে আছি তারা সবাই একত্রিত হবো। কিন্তু কেন জানি হয়ে উঠছিল না। গতকাল বৃহস্পতিবার জানতে পারলাম আমাদেরই এক ফ্রেন্ড যে চারুকলায় পড়ে ওর আর্ট এক্সিবিশন হচ্ছে। তাই সিদ্ধান্ত নিলাম এই এক্সিবিশনেই আমরা একত্রিত হবো। যাদের ফোন নাম্বার আমার কাছে ছিলো তাদের ফোন করতে শুরু করলাম এবং সবাইকে বললাম চারুকলায় আসতে।
আজ বেলা ১১টার সময় চারুকলায় চলে গেলাম। বসন্ত উৎসব থাকার কারনে প্রচন্ড ভিড় ছিলো। গেলাম সেই বন্ধুর আঁকা ছবিগুলো দেখতে এবং সাথে সাথে বন্ধুকেও দেখতে। কারন ওর সাথে আমার শেষ দেখা হয়েছিলো এস.এস.সি পরীক্ষায়। পরীক্ষার পর ওর সাথে আর দেখা হয়নি।
দেখা হলো ওর সাথে। ইলেক্ট্রিসিটি না থাকায় ছবি গুলো ভালোভাবে দেখতে পারছিলাম না। যাই হোক, একটু পর এক এক জন ফ্রেন্ড এর ফোন পেতে শুরু করলাম যে তারা চারুকলার সামনে এসেছে। আস্তে আস্তে মোট ১১ জন বন্ধু একত্রিত হলাম। অনেকের সাথেই ৩ বা ৪ বছর এমনকি ১০ বছর পর দেখা হলো।
এত অসাধারন একটা অনুভুতি যে বলে বোঝাতে পারব না। একসময় ইলেক্ট্রিসিটি আসলো। বন্ধুর আঁকা ছবি গুলো দেখলাম। আর্ট এর আমি তেমন কিছু বুঝিনা কিন্তু অন্যদের কথা শুনে বুঝতে পারলাম যে ওর আঁকা ছবিগুলো বেশ সুন্দর হয়েছে। ও এবার ফাইন আর্টস এ ফার্ষ্টক্লাস ফার্ষ্ট হয়েছে।
এর পর চারুকলার পেছনে গিয়ে দীর্ঘ সময় আড্ডা দিলাম। অনেক মজা করলাম। দুপুরে খেতে গেলাম কিন্তু ক্যাম্পাস এর ভিতরে এত মানুষ যে খাবার পাওয়া মুশকিল হয়ে দাড়ালো। তাই সবাই মিলে নীলক্ষেতে চলে গেলাম। ওখানে খাওয়া শেষে আবার ফিরে এলাম।
আবারো চললো আড্ডা। সন্ধ্যার পরে সাড়ে ছয়টার দিকে আমরা আড্ডা শেষ করে যার যার বাসায় ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলাম। বাস না পাওয়ায় হেটে হেটে ফার্মগেট চলে আসলাম। অনেক ক্লান্ত এখন। তারপরও এমন একটি অসাধারন দিন আমার জীবনে স্মরনীয় হয়ে থাকবে।
দুইখান ফটুক দিলাম। ।
আপনারা চাইলে আমার ফ্রেন্ড এর ছবি দেখে আসতে পারেন জয়নুল গ্যালারীতে। ১৫ তারিখ পযর্ন্ত চলবে। তবে এটা ওর একক প্রদশর্নী নয় – ওদের ৫ জনের একত্রিত প্রদশর্নী।
১৩.০২.২০০৯
রাত ৯.৫৫
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।