গেরিলা কথাবার্তা

আমরা যখন কোনো কিছু করতে চাইনা তখন আমরা আল-ফাল বকি, কিংবা উল্টোপাল্টা বলে অনেক কিছু বাধা দেওয়ার চেষ্টা করি। - ট্র্যানজিট নিয়ে বাংলাদেশের কিছু রাজনৈতিক দলের বিরোধীতা প্রসঙ্গে ৮ ফেব্রুয়ারি সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ভারতীয় রাষ্ট্রদূত পিনাকের এই বক্তব্যটিকে অনেকেই বলছেন কুটনৈতিক শিষ্টাচার বহির্ভূত। বিএনপি বলেছে: এ ধরনের কথা বলে ভারতীয় হাই কমিশনার প্রচলিত কূটনৈতিক শিষ্টাচার ভঙ্গ করেছেন। সরকার এই ব্যাপারে এখনো কোন ব্যবস্থা নেয়নি। আমরা আশা করবো সরকারের পররাষ্ট্র দপ্তর নির্ভয়ে তার দায়িত্ব পালন করবে।

Click This Link এখন প্রশ্ন হলো: এটি কি স্রেফ কুটনৈতিক শিষ্টাচারের প্রশ্ন?- নাকি বাংলাদেশের বিষয়ে আধিপত্যকামী ভারতের প্রকৃত মনোভাব- যা আওয়ামী সরকারের নতজানু পররাষ্ট্রনীতির সুযোগে তার প্রকৃত চেহারা দেখাতে শুরু করেছে। উল্লেখ্য, গত কয়েকদিন আগে এক ভারতীয় সাংবাদিক বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে বাংলাদেশকে সন্ত্রাসের মদদ দাতা এবং পাকিস্তানের বাফার স্টেট অভিহিত করলে, ডা. দিপুমণি নামে যিনি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নিয়েছেন, তিনি তার প্রতিবাদ করেন নাই। বরং মুচকি হেসে তার বক্তব্যের সমর্থনে, ''সন্ত্রাসীদের কোন দেশ নেই, পরিচয় নেই, শুধু ভারত নয়, ভবিষ্যতে বাংলাদেশের ভূমিকে এরকম কারো বিরুদ্ধেই সন্ত্রাসের কাজে ব্যবহার করতে দেয়া হবে না''- ধরণের কথা বলেছেন। এ পরিস্থিতিতে আমরা শঙ্কিত না হয়ে পারি না। এখন দেখার বিষয়, সরকার এই ব্যাপারে আদৌ কোন ব্যবস্থা নেয় কিনা।

আমরা আশা করবো সরকারের পররাষ্ট্র দপ্তর নির্ভয়ে তার দায়িত্ব পালন করবে, যে কথাটি বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে।
।