টাটকা একটা দুঃসংবাদ দিয়ে শুরু করি।
অফিসে ঢোকা মাত্র খবর পেলাম, গতকাল সন্ধ্যায় রাজশাহীর কাদিরগন্জ গ্রেটার রোডে ট্রাকের নিচে চাপা পড়ে নিহত হয়েছেন এক মহিলা। আম্চর্যজনক ভাবে সঙ্গে থাকা ছোট্ট সন্তানটি বেঁচে গেছে; চিরদিন মা হারাবার কষ্ট বুক বয়ে বেড়াবার জন্য। রিক্সায় করে তাঁরা যাচ্ছিলেন কোথাও, পেছন থেকে ঘাতক ট্রাক রিক্সায় ধাক্কা দিলে মহিলা ছিটকে ট্রাকের নিচে পড়েন। রিক্সা পিষ্ট হয়।
চালকের অবস্থাও গুরুতর।
ঐ রাস্তায় এমন ঘটনা নতুন না। এর আগেও একই ভাবে আরেক মহিলা আর তার সন্তান মারা যায়।
মনটা খারাপ হল। অনেকের কাছে একটা দুর্ঘটনা মাত্র।
একবার চেয়ে দেখবে, আহা উহু করবে (ঠিক যেমন আমি এখন করছি)। তারপর ঘন্টা পেরুবে না ভুলে যাবে। কিন্তু যার জীবনে ঘটল, তার কি অবস্থা হয়?
এই রাস্তাটা বরাবরই বেশ ব্যাস্ত থাকে। বিশেষতঃ বিন্দুর মোড় রেল গেট পড়ে আমার অফিস থেকে বেরিয়েই। কিছুদিন আগে এই মোড়টা বড় করা হয়েছে অনেক স্থাপনা ভেঙ্গে।
তারপর বছর পেরিয়ে গেছে, কিন্তু মোড়ের ট্রাফিক সিস্টেম এখনও ফাইনাল টাচ পায়নি। নেই কোন সুশৃঙ্খল ট্রাফিক ব্যবস্থা। ট্রাফিক সার্জেন্ট ও ট্রাফিক পুলিশ থাকলেও কোন নিয়্ন্ত্রণ আছে বলে মনে হয়না। যে যার ইচ্ছামত চলছে। কি যে ভয়াবহ অবস্থা!
তার ওপর আছে ট্রাকের বেপরোয়া চালনা।
কোন হুঁশ নেই যেন। সেদিন আমাকে একটা ট্রাক মেরেই দিয়েছিল আরকি। তা ছাড়া মাঝে মাঝেই দেখি বালি বোঝাই ট্রাক যাচ্ছে নিজের মত। কোন হর্ণ ই শোনেনা, সাইডও দেয়না কাউকে। অথচ দিনে বেলা এদের মনে হয় শহরে চলাচল করার কথা না (আমি নিশ্চিত না)।
সিটি বাইপাস সড়ক থাকলেও সব ট্রিকের ভীড় এই পথেই। তাছাড়া কিছু কিছু ট্রাকের সড়কে চলার ফিটনেস সার্টিফিকেট পাবার কথা না অথচ দিব্যি চলছে; ধোঁয়ায় দুনিয়া আঁধার করে।
এসব দেখার কি আসলেই কেউ নাই? আমরা কি কখনোই একটা নিরাপদ সড়ক আশা করতে পারিনা? পারিনা কি আমাদের পরিবারকে এতটুকু নিশ্চয়তা দিতে যে, যে মানুষটা ঘর থেকে কাজে বেরিয়েছে, সে সন্ধ্যায় নিরাপদেই ঘরে ফিরবে?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।