সিয়াম রিপে যখন পৌছালাম তখন বাজে দুপুর দুটো। বাস থেকে নামতেই গাইডের হাতে আমাদের নাম চোখে পড়ল। এবার আমরা গাইড হিসেবে পেলাম একজন প্রচুর কথাবলা এবং অতি উৎসাহি গ্রমের শজ সরল ছেলে।
সে আমাদের লান্চের পর নিয়ে গেল জেমস স্টোনের দোকানে। কেম্বডিয়া জেমস স্টোনের জন্য বিক্ষ্যাত।
সোনা, এমারেল্ড, নিলা, রুবি, রুপা আরও অন্যসব পাথড়ের ক্ষনি আছে ওদের। দেখলাম আনকাট ৪/৫ কেজি ওজনের বিভিন্ন পাথড় আর সোনা মেশান পাথড়ের বিশাল টুকরা। জীবনে কখন দেখিনি ৬ কেজি ওজনের নিলার টুকরা বা এমারেল্ডের টুকরা বা আনকাট হিরে!!!! উমমম অসাধারন অনুভুতি!!!
দেখলাম গরুর শিং দিয়ে বাননো জুয়েলারি আর নানান রকমের হাতে বানান জিনিস।
এরপর সে আমাদের নয়ে গেল ভাসমান শহরে। সেখানে সব কিছু পানির উপর ভাসছে।
ভাসমান অফিস, বাড়ি, ভাসমান ইস্কুল,
ভাসমান ক্লাব ঘড়, ভাসমান দোকান, পুরো জীবনটাই ভাসমান!!! ভাসমান বাস্কেটবল ফিল্ড!!
চলাচলের বাহন ও নৌকা বা ডিংগি!! ওদের বেশির ভাগই ভিয়েতনামি রিফিউজি। মেয়েরা, মহিলারা বসে গল্প করছে বা কাজে বাইরে যাচ্ছে। খুবই গরিব অবস্থা ওদের। এরই মধ্য দেখলাম ওদের ক্লাব ঘড়ে একটা পুল টেবিল ও আছে!!
ছোট ছোট বাচ্চারা পানির উপর খেলছে আবার এবাড়ি থেকে ওবাড়ি যাচ্ছে ডিংগি নিয়ে একা একা। ডুবে মারা যাবার কাহীনি শোনা যায়না বললেই হয়।
ওখানে এক মাছের আড়তে গেলাম। সেখানে বিশাল বিশাল মাছ আর কুমিড় বিক্রি করছে। আহ সে এক অন্য জগত!!
সন্ধায় ও নিয়ে গেল আমাদের এক সুন্দর রেসটুরেন্টে যখানে খেতে খেতে অপ্সরাদের নাচ দেখা হয়।
অপ্সরাদের নাচ কাম্বডিয়ার প্রচিন কালের ঐতিয্য। প্রাচীন যুগে রাজা রানীরা অপ্সরাদের নাচ দেখতেন।
অপ্সরারা আর্কষনিয় পোশাক ও জুয়েলারি পরে রাজা রানীদের নাচ দেখাত। প্রচীন কালে এসব অপ্সরারা কোমড়ের উপর কোনো পোশাক পরার অনুমতি পেতনা।
এই কথা বহু যুগ আগের কথা। তবে এখনো অপ্সরারা নেচে সবার মনোরনজন করেন তবে পুরো কাপড় পরে।
প্রাচীন কালের অপ্সরারা দেখতে এমন ছিলেন পোশাকে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।