রবি কি সোম সব দিন আমার আজ এক।
অবশেষে গাজা ইস্যুতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা মুখ খুলেছেন এবং সেটি তার ওয়াশিংটনে প্রদত্ত ২২/০১/০৯ তারিখের ভাষণে। ভাষণটি ছিল সিনেটর জর্জ মিচেল ও রিচার্ড হলব্রুককে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি রূপে মধ্যপ্রাচ্য এবং পাকিস্তান-আফগানিস্তানে নিয়োগদান উপলক্ষ্যে। দিনটি ছিল ওবামার প্রেসিডেন্ট রূপে দায়িত্ব নেওয়ার দ্বিতীয় দিন। তিনি যা বলেছেন সেটি অবিকল তাই যা প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশ বিগত আট বছর ধরে বলে এসেছেন।
এবং সেটি হল, ইসরাইলের অধিকার রয়েছে তার নিজ নিরাপত্তাকে নিশ্চিত করা। ভাবটা এমন, সে জন্য যদি অন্যদের বসতভূমি দখল ও হাজার হাজার নিরস্ত্র নারী-শিশুর হত্যারও প্রয়োজন হয় সেটিও জায়েজ। গত ২২ দিনের যুদ্ধে ইসরাইল বস্তুতঃ সেটিই করলো। এ যুদ্ধে ইসরাইল ১৩২৮ জন ফিলিস্তিনীকে হত্যা করেছে -যার মধ্যে প্রায় ৪৪২ জন ছিল শিশু, ১৮৮ জন নারী এবং ১২২ জন বৃদ্ধ। আহত করেছে পাঁচ হাজারের বেশী মানুষকে।
দুই লক্ষ মানুষকে উদ্বাস্তু রূপে পথে বসিয়ে ছেড়েছে। ধ্বংস করেছে বিশ হাজারের বেশী ঘর-বাড়ী। বোমা ফেলেছে হাসপাতাল, স্কুল, বসতবাড়ী, সরকারি অফিস-আদালত এমনকি জাতিসংঘ আশ্রয় শিবির ও দফতরে। ব্যবহার করেছে আন্তর্জাতিক ভাবে নিষিদ্ধ ফসফরাস বোমা যা বহু মানুষকে জ্বালিয়ে হত্যা করেছে। কোন কোন পরিবারে নিহত হয়েছে সবাই।
অনেকে বিধ্বস্ত ঘরবাড়ীর নীচে চাপা পড়েছিল কয়েকদিন ধরে। আহতদের উদ্ধারে ইসরাইলী সেনাবাহিনী বহু স্থানে এ্যাম্বুলেন্সও পৌঁছতে দেয়নি। অনেক প্যারামেডিককে হত্যা করা হয়েছে। এ্যাম্বুল্যান্স ও হাসপাতালের উপর হামলা করা হয়েছে। বিশ্ববাসী সে চিত্র টিভিতে দেখেছে।
এমন বীভৎস বর্বরতাকে নিন্দা করতে বেশী মানবতা লাগে না। দরবেশ বা মহা-মানব হওয়ার প্রয়োজন পড়ে না। ইসরাইল এত ধ্বংসযজ্ঞ চালালো অথচ তার বিরুদ্ধে বারাক ওবামার মুখে কোন কথা নাই। কোন নিন্দাবাদ নেই। কোন দুঃখবোধও নেই।
যেন দুনিয়ায় গত ২২টি দিনে নিন্দনীয় কিছুই ঘটেনি। এটি কি মানবতা? এটি কি সুস্থ্য বিবেকবোধ? বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী মানুষটির মানবতার দুরবস্থা যদি এতটা শোচনীয় হয় তবে তার পক্ষে কি সম্ভব বিশ্ব-শান্তি প্রতিষ্ঠায় কোন ভূমিকা রাখা?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।