সকল অন্ধকারের হোক অবসান
কাজী নজরুল ইসলামের গানটি সকলেই শুনেছেন: উচাটন মন ঘরে রয় না। তবে নজরুলের গানের যে সমস্যা সেটি হলো, গায়কেরা মোটামুটি সুর ঠিক রেখে নোটের এদিক সেদিক করতে পারেন। কারণ নজরুল নিজের গানের নোটেশন লিখে রাখার ব্যাপারে ছিলেন চরম উদাসীন। ফলে একটি গানের একটি মাত্র রূপ আর পাওয়া যায় না। আর তাই বিভিন্ন শিল্পীর গলায় গিয়ে নজরুলের গান কখনো হয়ে ওঠে চনমনে প্রাণবন্ত চপলা কিশোরী।
আবার সেই একই গানের অক্কাপ্রাপ্তি হয়।
আমি 'উচাটন মন ঘরে রয় না' এই গানটি তিন শিল্পীর গলায় শুনছি গত এক ঘন্টা ধরে। কৌতুহল নিয়েই তিন শিল্পীর গাওয়া একই গান জোগাড় করেছি। অজয় চক্রবর্তী, মোহম্মদ রফি এবং হালের তরুণ শিল্পী তানভীর আলম সজীবের গলায় গাওয়া একই গান বাজছে কম্পিউটারে। পার্থক্য যেটা কানে ধরা পড়লো সেটা নিজের কাছেই বেশ ভালো লাগলো।
অজয়ের গলায় গানটি যেন করুণ রসে উপচে পড়া কোনো পানপাত্র। মন প্রিয়ার তরে উচাটন হয়ে বিরহে কাতর। এ গানে ব্যবহৃত হয়েছে সানাই। ফলে গানটি হয়ে উঠেছে আরো হৃদয়ভেদী।
রফির গলায় ঐ একই গান হয়ে উঠেছে নতুন চপলমতি প্রেমিকের আনন্দভরা চঞ্চলতা, অধীরতা।
সেখানে দুঃখের চেয়ে অস্থিরতাই বেশী। প্রেমী সত্ত্বা দুইভাবে ধরা দিয়েছে বিখ্যাত দুই গায়কের কণ্ঠে। গায়কীর কারণেই।
তানভীরের গলায় গানটি হয়ে উঠেছে যান্ত্রিক। মাঝে তবলার বোল, বেইজ গিটার সব মিলিয়ে মনে হয় গানটি গাওয়ার জন্য গাওয়া।
কণ্ঠে দরদটাও নেই।
উৎসাহী শ্রোতাদের গানটি শোনার আমন্ত্রণ রইলো। আপাতত কথাগুলো দিয়ে দিচ্ছি:
উচাটন মন ঘরে রয় না (প্রিয়া মোর)
ডাকে পথে বাঁকা তব নয়না।
তেজিয়া লোক-লাজ
সুখ সাধ গৃহকাজ
নিজ গৃহে বনবাস সয় না।
লইয়া স্মৃতির লেখা
কত আর কাঁদি একা
ফুল গেলে কাঁটা কেন যায় না।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।