পটুয়াখালী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবিএ প্রোগ্রাম
নানামুখি সংকটে অকার্যকর হতে চলেছে
শিক্ষক সংকট, শিক্ষকের পদের অনুমোদন না থাকা, লাইব্রেরীতে বইয়ের সংকট, কম্পিউটার ল্যাবে প্রবেশাধিকার না থাকা ও পর্যাপ্ত পরিমানে ক্লাস না হওয়াসহ নানা মুখি সংকটের কারনে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পবিপ্রবি) ব্যবসায় প্রশাসন ও ব্যবস্থাপনা অনুষদের অন্তর্গত বিবিএ প্রোগ্রামটি বর্তমানে অকার্যকর হতে চলেছে। এতে বিবিএ এর শিক্ষার্থী ও অভিভাকরা তাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে শংকিত হয়ে পড়েছেন।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, ২০০৩-০৪ সেশন থেকে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিবিএ প্রোগ্রামের শিক্ষাদান কার্যক্রম শুরু হয়। কিন্তু অনুষদটি যাত্রা শুরু করে কোন প্রকার জনবলের অনুমোদন ছাড়াই। ফলে অনুষদটিতে শিক্ষক সংকট প্রকট আকার ধারণ করেছে।
বর্তমানে ৫ টি ব্যাচ অধ্যয়নরত থাকলেও শিক্ষকের সংখ্যা ৫ এর নিচে। ব্যবসায় প্রশাসন ও ব্যবস্থাপনা অনুষদের ফিনান্স ও মার্কেটিং বিভাগে কোন প্রকার স্থায়ী শিক্ষক নেই্। ফিনান্স বিভাগটির শুরু থেকে এখনও কোনপ্রকার শিক্ষক নিয়োগ হয়নি। অথচ বর্তমানে এ দুটি বিভাগে মেজর কোর্স করানো হচ্ছে। এছাড়া, একাউন্টিং বিভাগে ২জন ও ম্যানেজমেন্ট বিভাগে মাত্র ১ জন লেকচারার পদের শিক্ষক রযেছেন।
পদের অনুমোদন না থাকায় কোন শিক্ষক পদন্নতি পাচ্ছেন না। ফলে বর্তমানে যেসব শিক্ষক কর্মরত রয়েছেন তারাও অন্যত্র চলে যাওয়ার চেষ্টা করছেন বলে নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে।
এ ছাড়াও ক্লাসরুম সংকট, লাইব্রেরীতে বই সংকট, কম্পিউটার ল্যাবের প্রবেশাধিকার না থাকা, শিক্ষকদের রুম না থাকা, মাল্টি মিডিয়া প্রজেক্টর না থাকাসহ অসংখ্য সমস্যা বিরাজ করছে প্রোগ্রামটিতে। এতে প্রোগ্রামটিতে ভয়াবহ সেশন জট তৈরী হওয়ার আশংকা রয়েছে। এসব সমস্যার কারনে শিক্ষার্থী ও অভিবাবকরা চরম হতাশা প্রকাশ করেছেন।
বিবিএ ৫ম সেমিস্টারে অধ্যয়নরত কাজী আহসান রেজা জানান, গত প্রায় দেড় মাস যাবৎ নতুন সেমিস্টারের ক্লাস শুরু হলেও এ পর্যন্ত আমাদের ১৫ টি ক্লাসও হযনি। ৫টি কোর্সের ৩ টিই বন্ধ রয়েছে। রেজা আরো জানান, এ রকম সংকট চলতে থাকলে বিবিএ প্রোগ্রামটি ব্লাক লিস্টেড প্রাইভেট ভার্সিটির মতো একটি সার্টিফিকেট বিক্রির প্রতিষ্ঠানে পরিনত হবে। শিক্ষার্থীরা আরো জানান, ভর্তিও সময় প্রশাসন প্রসপেক্টাসে এসি ক্লাস রুমের কথা উল্লেখ করলেও আমাদেরকে সাধারণ ক্লাস রুমই দিচ্ছে না। বিভিন্ন সমস্যা সম্পর্কে আমরা বার বার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে অভহিত করলেও তারা প্রতিবারই মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে যাচ্ছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শিক্ষার্থীরা জানান, আগামী ৪ মাসের মধ্যে একটি ব্যাচ বিবিএ ডিগ্রী নিয়ে বের হওয়ার কথা। কিন্তু শিক্ষকদের পদের অনুমোদন না থাকায় তাদের সার্টিফিকেটের বৈধতা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে পারে। ফলে এরকম অচলাবস্থা চলতে থাকলে অচিরেই বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবিএ প্রোগ্রামটি অকার্যকর হয়ে যাবে বলেও শিক্ষার্থীরা জানান।
ব্যবসায় প্রশাসন ও ব্যবস্থাপনা অনুষদের ডীন প্রফেসর ড. সুলতান আহমেদ জানান, শিক্ষক নিয়োগের ব্যপারে চেষ্টা চলছে। কিন্তু নিয়োগের ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।
তবে আমরা ভিজিটিং টিচার নিয়োগ দিয়ে কার্যক্রম চালানোর চেষ্টা করছি। এছাড়া তিনি কোন সদুত্তর দিতে পারেননি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।