তবুও জীবন যাচ্ছে কেটে জীবনের নিয়মে।
বছরখানেক কোন রকমের রান্নার কাছাকাছি যাওয়া হয় না। মাঝে মাঝে ব্লগে বিভিন্ন রেসিপি দেখে অপেক্ষাকৃত সহজগুলো সপ্তাহান্তে একটু চেষ্টা করি।
চিটি আপুর রসমালাই বানানোর রেসিপি দেখে বেশ সহজ মনে হলো। যদিও আমি রসমালাই তথা মিষ্টি খুব একটা পছন্দ করি না।
সহজ দেখে সপ্তাহান্তে তিন লিটার দুধ নিয়ে রান্নাঘরে ঝাপ দিয়েছিলাম। উনার রেসিপি অনুসারেই সবকিছু বানানো হলো। অবশ্য এলাচগুড়ো একটু সমস্যা করেছে। বাসায় হামান-দিস্তা নেই। কষ্ট করে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে এলাচ গুড়ো করতে হয়েছে।
রসমালাইয়ের রসটা ব্যাপক হইছে। কফির দুধ দিয়ে দিয়েছিলাম। তাড়াতাড়ি হয়ে গেছে। কিন্তু সমস্যা হলো ছানা দিয়ে যে গোল্লাগুলো বানানো হয়েছে সেগুলোকে নিয়ে। গোল্লাগুলো আমার কাছে অপেক্ষাকৃত শক্ত মনে হয়েছে।
ছানার গোল্লাগুলো ভেতরে রস প্রবেশ করে নাই। দোকানের রসমালাইয়ের গোল্লাগুলো বেশ নরম হয়। কিন্তু আমার বানানো গোল্লাগুলো শক্ত। অবশ্য লজিক্যালি শক্ত হওয়ারই কথা। ছানা যদি চিনির সাথে মিশিয়ে খুব বেশি করে মথানো হয় তাহলে ওগুলো মধ্য তো রসমালাইয়ের রস ঢুকার কথা না।
বানানোর পর এক পিছ মুখে দিয়েই আমার খাবার শেষ। প্রায় ২কিলো তখনো ফ্রিজে।
মায়ের বকা খাওয়ার ভয়ে বড়ভাই, ছোটভাই সবাইকে মিষ্টির দাওয়াত দিলাম। কিন্তু সময়ের অভাবে কেউ আসতে রাজি হয় নাই। মাইরের হাত থেকে বাচার জন্য এই ঠান্ডায় উনাদের বাসায় পৌছে দিতে হয়েছে
অবশ্য দোষ আমার একার না।
ঐদিন বাসায় পায়েস, ক্ষির রান্না হয়েছে। ছোটবোন পায়েস কি চেনে না। উনি পায়েস এক চামচ খেয়ে শখ শেষ। ক্ষিরেরও একই অবস্হা। মা সবগুলোকে পেকেট করে ফ্রিজের মধ্যে।
কয়েকমাস আগে আইরিন সুলতানার একটা রেসিপি দেখে বানানোর পরও একই অবস্হা। বাসার কেউই খেতে চায় না। পরে একটি পার্টিতে সরবরাহ করে রক্ষা।
আর মিষ্টি রেসিপিতে আমি নাই
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।