আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মন্ত্রী লতিফ বিশ্বাসের পদত্যাগ জরুরী

.এই ব্লগে যে কয়টি পোস্ট আছে, সেগুলোর মন্তব্য সরাসরি প্রকাশিত হবে না। এই অক্ষমতার জন্য অগ্রিম ক্ষমাপ্রার্থী।

শেখ হাসিনার মন্ত্রীসভা একটা চমৎকার চমক নিয়ে এসেছিল আমাদের মাঝে । আমার পরিচিত মানুষদের মাঝে এমন কাউকে দেখিনি যিনি এই মন্ত্রীসভা দেখে খুশী নন । ব্যক্তিগত ভাবে আমি মনে করি সৎ মন্ত্রীসভা মানেই দক্ষ মন্ত্রীসভা এমনটা ভাবার কোন কারন নেই , একই ভাবে গরীব মন্ত্রীসভা মানেই ভালো মন্ত্রীসভা এমনটা মানতেও আমি রাজী নই ।

এই সমস্যাসংকুল দেশে আমরা চমক নয় , কাজ দেখতে চাই । আর কাজের জন্য প্রয়োজন দক্ষ ব্যবস্থাপকের , তার আর্থিক অবস্থান কখনোই বিবেচ্য হতে পারে না । শেখ হাসিনার মন্ত্রীসভায় তারাই শুধু স্থান পেয়েছেন যারা কোন অবস্থাতেই শেখ হাসিনার নেতৃত্বকে কোনদিনই চ্যালেঞ্জ করতে পারবেন না বা চ্যালেঞ্জ করতে যাবেন না বলেই পরীক্ষিত । এতে কোন সমস্যা নেই , আমরা সবাই আমাদের পাশে বশংবদ মানুষ দেখতে পছন্দ করি । কিন্তু শুধুমাত্র আনুগত্যের উপর ভিত্তি করে একটা রাষ্ট্র চলতে পারে কি না সেটা আগামীতে দেখার বিষয় ।

মন্ত্রীসভার সদস্যদের উপরে আশাবাদী থাকতে হবে আমাদেরকে , কারন বিপুল জনসমর্থন নিয়ে এই মন্ত্রীসভা গঠিত । কিন্তু এই জনসমর্থন আসলে কিছু বেসিক পয়েন্টের উপর নির্ধারিত । মানুষ চায় রাষ্ট্র সত্যিকার রাষ্ট্র হিসেবেই আচরন করবে , আমাদের গনতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান এবং তাদের কর্মকর্তারা দেশপ্রেম নিয়ে দেশের স্বার্থকে সবার উপরে স্থান দিয়ে কাজ করবেন । মন্ত্রীসভার অন্তত একটি নিয়োগ আমাকে বিরক্ত করেছে , সেটা হচ্ছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের এডভোকেট সাহারা খাতুন । নির্বাচনোত্তর সারা দেশের সন্ত্রাস সম্পর্কে তিনি যে মন্তব্য করেছেন , সেটি নিন্দা কুড়িয়েছে ।

উত্তরার সামান্য চক্ষুশিবির উদ্বোধন করার জন্য তিনি এবং তার চ্যালাচামুন্ডারা যখন উত্তরার সবগুলো স্কুল ছুটি দিয়ে বাচ্চাদের ধরে এনে সভা বড় করেন , তখন তার মাঝে আমি এরশাদ সরকারের মন্ত্রীদের প্রেতাত্মা দেখতে পাই । মন্ত্রী হওয়ার কিছুদিন আগেও তিনি টেলিভিশনে মন্তব্য করেছেন যে জয়নাল হাজারী আসলে সন্ত্রাসী নয় , তার এলাকায় সে পীরের মতো সম্মানিত । এমন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী দিয়ে এই দেশ আগামীতে কতোদূর যেতে পারবে সেটা দেখার বিষয় । এই সব ভুলত্রুটি নিয়েই একটা মন্ত্রীসভা এবং তাকে বিচার করার চূড়ান্ত সময় এখনও আসেনি । এখনও এই মন্ত্রীসভা একমাস পূর্ণ করেনি , তাই যদিও মর্ণিং শোজ দ্য ডে বলে একটা প্রবাদ আছে , তবু আমরা আশাবাদী থাকতে চাই ।

তবে , সিরাজগঞ্জ-৫ আসন থেকে নির্বাচিত মন্ত্রী আবদুল লতিফ বিশ্বাস যে কাজ করেছেন সেটি শুধু নিন্দার যোগ্য নয় , এর বিধান প্রয়োজন । তিনি প্রকাশ্যে নির্বাচন কমিশনের অনুরোধ উপেক্ষা করে নির্বাচনী আচরনবিধি ভেঙ্গে উপজেলা নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে চেয়েছেন । তার বউ এবং মেয়ে সেখানে নির্বাচনী কর্মকর্তাদের পিটিয়ে দাত ভেঙ্গে হাসপাতালে পাঠিয়ে দিয়েছেন ! এই প্রেক্ষিতে আবদুল লতিফ বিশ্বাসকে মন্ত্রীসভা থেকে পদত্যাগ করার আহ্বান জানানোর জন্য আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছে দাবী জানাই । কারন আবদুল লতিফ বিশ্বাস একটি গনতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় বাধা সৃষ্ঠি করেছেন , রাষ্ট্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান নির্বাচন কমিশনের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করেছেন , তার পরিবার সন্ত্রাসী কার্যকলাপ চালিয়েছে । গনতন্ত্রের অভিযাত্রায় যে বিপুল প্রত্যাশা নিয়ে জনগন আওয়ামীলীগের জোটকে ভোট দিয়েছে , লতিফ বিশ্বাস সেই প্রত্যাশার স্পিরিটটি বুঝতে অক্ষম হয়েছেন ।

এমন মানুষ সরকারে থাকলে শেষ বিচারে সরকারের জন্য দায় হিসেবেই থাকবেন । এই ধরনের মানুষ দিয়ে আগামী দিনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করা যাবে না । এই ধরনের একজন মানুষের কারনেই একটা দল পাঁচ বছর পরে সরকার থেকে ছিটকে পড়তে পারে , অতীতে এমন ভুরি ভুরি উদাহরন আমাদের আছে । এই ধরনের জঞ্জাল যতো আগে ছুড়ে ফেলা যাবে , ঘর ততোই দূর্গন্ধমুক্ত থাকবে ।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.